বেলজিয়াম বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতর পালন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এবারের ঈদ উদযাপনে পড়েছে করোনার ছায়া। এ ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে সুরক্ষা ও সামাজিক দূরত্বের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে অন্য রকমভাবে উদযাপন করা হয়েছে ঈদ।
প্রবাস জীবনের যান্ত্রিকতা দূরে সরিয়ে ঈদের দিনে প্রবাসী বাঙালিরা মিলিত হন একে অপরের সঙ্গে। নামাজ শেষে এক সাথে বসে কাফি খাওয়া মজার সব গল্প করা। বেলজিয়াম ঈদের দিনেও অনেকে প্রবাসীর কর্ম দিবস থাকে। তবু তারা খুব ভোরে নতুন পোশাক পরে আগেভাগে বাসা থেকে বের হন পড়েন ঈদের নামাজ পড়তে। যাদের কর্মদিবস থাকে না, তাদের অনেকে মসজিদে নামাজ শেষে পরিবার পরিজন নিয়ে বেরহন ঘুরতে। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সবাই একত্রিত হয়ে মেতে ওঠেন গল্প-আড্ডায়।
ঈদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বেলজিয়াম প্রবাসী ব্রাসেলসের বাসিন্দা মাকসুদুল হাসান মম বলেন, খুব মিস করি শৈশবের সেই আনন্দের ঈদকে। সেই দিন সময় আর কখোনই ফিরে পাবার নয়। ব্যস্ত এই প্রবাস জীবনে পরিবার আর বন্ধু-বান্ধবদের নিয়েযদিও ঈদ করি, কিন্তু সেই সময়ের ঈদ এখন কেবলই স্মৃতি।
ব্যবসা হাবিবুল হাসান সোহাগ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, সবাই আছে শুধু সময়টাই নেই। ঈদের দিন সময় বের করে দোকানে কাজ করতে বাংলাদেশের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। শুধু এতোটুকুই।
সময় বড়ই নিষ্ঠুর, ইচ্ছে করলেই সবকিছু হয় না। তবু প্রবাসের ঈদ পরিবার পরিজন নিয়ে উপভোগ করি আনন্দ করি। বলেন, খালেদ মিনহাজ বাংলাদেশের মত আনন্দ করে এখানে ঈদ হয় না। প্রবাসে আমরা বাঙালিরা একে অপরের বাড়িতে যাই, শুভেচ্ছা বিনিময় করি। রোমান্থন করিদেশের সেই সময়ের স্মৃতি। নতুন প্রজন্মের অনেকেই আমাদের সময়কার সেই ঈদের আনন্দ বুঝতেই পারবে না। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত