সিডনির স্থানীয় ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে কমিউনিটি ফাস্ট দল থেকে নির্বাচন প্রার্থী আবুল সরকার ৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে নয়টায় মিন্টুর নওয়াব রেস্টুরেন্টে কমিউনিটির সম্মানে প্রাতঃরাশের আয়োজন করেন।
এই প্রাতঃরাশে স্থানীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক ও বাংলাদেশী কমিউনিটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রার্থী আবুল সরকার বলেন, আমি ২০০১ সাল থেকে মিন্টু এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমি এই এলাকার বসবাসের প্রথম দিন থেকেই অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার প্রতিষ্ঠা, শিশুদের জন্য নিরাপদ স্কুল, শিক্ষা ব্যবস্থায় বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতির জন্য কাজ, আন্তর্জাতিক সোশ্যাল সিকিউরিটি চুক্তির বাস্তবায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের সাথে জড়িত।
তিনি জানান, ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিল এলাকায় কমিউনিটির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যেমন-কবরস্থান, ফিউনারেল পার্লার, বৃদ্ধা আশ্রমসহ অনেক চাহিদার কথা বিবেচনা করে এবং এই সব কাজকে সহায়তা প্রদানের জন্য এইবার আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ইচ্ছা পোষণ করছি।
কমিউনিটি ফার্ষ্ট পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার কথা জানিয়ে আবুল সরকার বলেন, এই পার্টি দীর্ঘদিন থেকে কমিউনিটির জন্য কাজ করার পাশাপাশি পার্টির প্রধান মি. পল লেইক বিগত ২০০৪ সাল থেকে ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিলে কাউন্সিলর ও মেয়র ছিলেন। ২০১৪ সালে মেয়র থাকা কালীন সময়ে বেরোভিলে কবরস্থান প্রকল্প অনুমোদন দেয়। যেখানে মুসলমানদেরও কবরের ব্যবস্থা থাকবে। এ বছর পল লেইক রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। পলের ইচ্ছে তার দীর্ঘ ও রাজনৈতিক কর্মময় জীবনের লিগেসি অব্যাহত থাকুক। এই জন্য আমাকে আহ্বান করে তার পার্টি থেকে নির্বাচন করার। এভাবেই আমার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তার নির্বাচনী অঙ্গীকার গুলির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আবুল সরকার জানান, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিধির সাধারণ দায়িত্ব তার নির্বাচন এলাকার জনগনের ভালো মন্দ দেখার। ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিল এলাকায় বাংলাদেশীসহ অনেক এথনিক কমিউনিটি বসবাস করে। আমি যেহেতু বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান, সংগত কারনেই বাংলাদেশীদের সমস্যা ও প্রয়োজনগুলো আমার জানা। আপনারা দেখেছেন আমি দীর্ধদিন থেকেই এইসব নিয়ে কাজ করছি।
আমি বিডি হাবের সভাপতি। নির্বাচিত হলে সবার সম্বিলিত সহযোগীতায় এটি বড় ও স্থায়ী রূপ দেয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়াও এখানে সার্বজনীন উদ্যোগে বাংলাদেশের আদলে একটি শহীদ মিনার অথবা জাতীয় স্মৃতিসৌধ স্থাপন করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালাবো।
কমিউনিটির আরো যেসব চাহিদা বিষেশ করে কবরস্থানে মুসলমানদের অংশীদারিত্ব, গোছলখানা (ফিউনারেল পার্লার), বৃদ্ধা আশ্রম প্রতিষ্ঠার জন্য যেসব সংগঠন এগিয়ে আসবে তাদের সার্বিক সহযোগীতা প্রদানই আমার নির্বাচনী অংগীকার।
বিডি প্রতিদিন/এএ