সবুজ প্রকৃতির মাঝে লাল-সাদা শাপলা আর পদ্মফুলে পর্যটকদের জন্য সাজে আশুড়ার বিল। আর রূপসী আশুড়ার বিল ও গহিন শালবনের সৌন্দর্য মুগ্ধকর পরিবেশ একই সুতোয় গাঁথা ছিল দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু। রাতে দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতুতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা। পর্যটকদের কাছে যেমন আকর্ষণ, তেমনি বিলের দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াতে নতুন দিগন্তের দুয়ার খুলেছিল ওই দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু। পূর্বে হরিপুর বাজার ও পশ্চিমে রতনপুর বাজারে কেনাকাটা করতে সেতুর ওপর দিয়ে যোগাযোগের সুবিধার্থে এলাকাবাসীও খুশি ছিল। বিলের বিশুদ্ধ পানি, মুক্ত বাতাস, চারপাশে সবুজ ঘন অরণ্য, পাখিদের কিচিরমিচির ডাকাডাকি, বিলের ওপর ঝাঁকে ঝাঁকে বিচিত্র পাখির ওড়াউড়ি এসব মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের অন্তরে শিহরণ জাগিয়ে দেয়। লাল, সাদা শাপলা ফুল বিলের স্বপ্নীল রূপ আরও ফুটিয়ে তোলে। অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত হয় বিলের পরিবেশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন আশুড়ার বিল কচুরিপানায় ভরে আছে। এরই মাঝে ফোটে লাল-সাদা শাপলা আর পদ্মফুল। এসব ফুল ফোটার পর কে বা কারা ছিঁড়ে নিয়ে যায়। অরক্ষিত এ অবস্থায় পর্যটকদের আগমন শূন্যের কোঠায় নেমেছে।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে উত্তর-পশ্চিমে প্রায় দেড় কি. মি. দূরে সরকার ঘোষিত জাতীয় উদ্যানের শালবনের কোল ঘেঁষে এ বিলের অবস্থান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা আশুড়ার বিল নিয়ে রয়েছে নানান পৌরাণিক কাহিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই