চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক নিয়োগ প্রার্থীকে পরীক্ষা দিতে বাধা ও অপহরণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগী প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. এমদাদুল হকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হেলাল উদ্দিন আহম্মদকে প্রধান, সহকারী প্রক্টর প্রণব মিত্রকে সদস্য সচিব ও আরেক সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমানকে সদস্য করে গঠিত এ কমিটিকে স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চত করেছেন। এবিষয়ে উপাচার্য বলেন, এমদাদুল হকের চিঠি পেয়েছি। সে মামলা করেছে, যা আইনের গতিতে চলবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কি করণীয় আছে? আর অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে এ কমিটি করা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭মার্চ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার অংশ নিতে আসে এমদাদুল হক। রেজিস্টার ভবনের সামনে থেকে তখন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিএফসির কর্মীরা সেখান থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে। পরে শিবির আখ্যা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তাকে।
এ ঘটনয ৩০মার্চ তার অভিযোগ সিন্ডিকেট সদস্যদের নিকট এবং ৩১মার্চ একই মর্মে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলায় ৭জনের নামসহ অভিযোগ ও অজ্ঞাতনামা ৫-৬জনকে আসামি করেন।
চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিম কামরুন্নাহার রুমীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের আনোয়ার হোসেন, একই বিভাগের আসিফ মাহমুদ, মোকসেদ আলী ওরফে মীলু প্রামাণিক, একই বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের জাহিদুল হাসান, রফিকুল ইসলাম, একই বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আসির উদ্দিন ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শরিফ উদ্দিন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন