রাঙামাটির সাজেক ভ্যালির দুর্গম পল্লী থেকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসা হাম ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৫ শিশু হাসিমুখে ফিরল তাদের মা-বাবার কোলে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও নিবিড় তত্ত্বাবধায়নে ১৮ দিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার বেলা ১১টায় তারা ছাড়া পায়।
অনেকটা মৃত্যুর মুখ থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসা ৫ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এই শিশুরা হলো- প্রতিল ত্রিপুরা (০৫), রোকেন্দ্র ত্রিপুরা (০৬), নহেন্দ্র ত্রিপুরা (১০), রোকেদ্র ত্রিপুরা (০৮) ও দীপায়ন ত্রিপুরা (১৩)।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস ধরে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রামে হাম ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় বেশ কয়েকজন শিশু। তাদের মধ্যে ৮ শিশু মারাও যায়। সংবাদ পেয়ে গত ২৪ মার্চ সেনাবাহিনীর একটি চিকিৎসক দল এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ জন ডাক্তারসহ ৮ সদস্যের এক চিকিৎসক দল হেলিকপ্টারযোগে ওই এলাকায় পৌঁছান। সেখানে ৫ শিশুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্ববধায়নে একটি বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে তাদের প্রথমে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে আনা হয় এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
১৮ দিন তাদের উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয় এবং বর্তমানে তারা শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। আক্রান্তদের পরিবারের মাধ্যমে জানা গেছে, দুঃস্থ পরিবারের এ শিশুদের চিকিৎসাধীন সময়ে সরকারি বরাদ্দের বাইরে অন্য সব আনুষঙ্গিক খরচ সদর দপ্তর ২৪ পদাতিক ডিভিশন বহন করে।
২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান বলেন, আমরা সব সময় পাহাড়ি নৃ-গোষ্ঠীদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। এর আগেও আমরা এরকম কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আমরা মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য করিনা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল