উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্যপ্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে এখন মা-মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম। কিন্তু এমন সময়েও হালদা নদীতে অবৈধভাবে জাল ফেলা বন্ধ হচ্ছে না। তাই এ নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরেন এমন ১২ জেলেকে আর মাছ না ধরার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিনিময়ে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় ভালবাসার থলে নামের খাবারের প্যাকেট।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, হালদায় ডিম ছাড়ার এই মৌসুমে উপজেলা প্রশাসন ব্যস্ত করোনাভাইরাস প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে। এ সময় রাতের আধারে অবৈধভাবে জাল ফেলে মাছ ধরছে সুযোগসন্ধানীরা। গত সপ্তাহে চারদফা অভিযানে প্রায় ৫ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়। এর মধ্যে গুমানমর্দন ইউনিয়নের পেশকার হাট এলাকায় পরপর দুই দিন অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয় ৩ হাজার মিটার জাল। এরপর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে যারা জাল বসিয়ে মাছ ধরে তাদের নাম-ঠিকানা বের করতে বলা হয়। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান তাদের নোটিশ দিয়ে ডেকে আনলে তারা হালদা রক্ষায় জাল না বসানোর অঙ্গিকার করেন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘গত প্রায় একমাস ধরে করোনাভাইরাস প্রকোপ প্রতিরোধে আমরা ব্যস্ত। এই সুযোগে অনেকে জাল ফেলছে হালদা নদীতে। তাই ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তাদের তালিকা করা হয়। পরে তারা জাল না ফেলার অঙ্গিকার করেন। এর বিনিময়ে ১২ জন জেলেকে (১০ কেজি চাল, এককেজি ডাল, আধা লিটার তেল, পেয়াজ লবণ) সম্বলিত ভালবাসার থলে উপহার দেওয়া হয়।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ