করোনাভাইরাসের প্রকোপ প্রতিরোধে সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও চট্টগ্রামের প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে। সড়কে নেই কোনো মানুষ, যানবাহন। সড়কে যান বলতে আছে কেবল রিকশা। বাসা থেকে বের হলেই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। তাই অনেকেই বের হচ্ছে না বাসা থেকে।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ও বিকালে নগরীতে এমন চিত্র দেখা যায়। তাছাড়া নগরের চার প্রবেশ পথে তল্লাশিও অব্যাহত রয়েছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় সেনাবাহিনীর ৬টি টিম কাজ করছে। এছাড়াও বিজিবির ৬টি টিম নগরজুড়ে টহল দিচ্ছে। সকাল থেকেই দুই শিফটে ভাগ হয়ে মাঠে আছেন জেলা প্রশাসনের ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলা পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারগণ (ভূমি)। তাছাড়া মাঠে আছে পুলিশ। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ জরিমানা এবং মানুষকে সতর্ক, সচেতন বুঝিয়ে বাসায় ফেরত পাঠাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম নগরে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সকাল বিকাল দুই শিফটে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে আছেন। বিধি-নিষেধ অমান্য করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় কঠোর লকডাউন। তবে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় অফিসে যাওয়ার তাড়া না থাকায় কর্মব্যস্ততা দেখা যায়নি। ফলে সকাল থেকেই অনেকটা ফাঁকা নগরের সড়ক, গলি-উপগলি। কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন দেখা যায়নি। মোড়ে মোড়ে আছে পুলিশের চেকপোস্ট।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন