বনজদ্রব্যের পাচার প্রতিরোধে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের অভিযান অব্যাহত আছে। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত ৯ মাসে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভিন্ন সড়ক পথে পাচারকালে সেগুনসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের কাঠ জব্দ করা হয়। তাছাড়া বনজদ্রব্য পাচারের অপরাধে ২৮ জন আসামীকে আটক করে আদালতে প্রেরণসহ ২০৩টি বন মামলা দায়ের করা হয়।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মাসে অভিযানে ১৬ হাজার ঘনফুট কাঠ, দুই হাজার ৬০০ ঘনফুট জ্বালানি কাঠ, ১৭৮টি বল্লী, ২৫টি দরজার পাল্লা, ১৪৫ প্রকারের আসবাবপত্র ও ২ হাজার ২৪০টি বাশ জব্দ করা হয়। এ সময় ১৭টি কাভার্ডভ্যান, ১৮টি ট্রাক, ১০টি পিকআপ, ৭টি জীপ, ১টি বাস, ২টি টেম্পোসহ মোট ৫৬টি যানবাহন আটক করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন সড়ক মহা সড়ক থেকে কাঠগুলো জব্দ করা হয়। এর মধ্যে আছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসক, খাগড়াছড়ি-রামগড়-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কর্ণফুলী সেতু সড়ক ও কালুরঘাট সেতু সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে আসা সড়কে রেঞ্জের বিশেষ টহলদল তল্লাশি চালিয়ে অবৈধ কাঠগুলো জব্দ করা হয়।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী বলেন, বন ও কাঠ রক্ষার্থে বন বিভাগ নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তাছাড়া বনজদ্রব্য পাচাররোধে অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার