শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঈদে সুই-সুতায় ব্যস্ত নারী

জামালপুর প্রতিনিধি

ঈদে সুই-সুতায় ব্যস্ত নারী

ব্যস্ত সময় কাটছে জামালপুরের সূচিশিল্পীদের —বাংলাদেশ প্রতিদিন

জামালপুর শহরতলির বগাবাইদ গ্রামের সূচিশিল্পী আজিরন, সুমি, রত্না, ফাতেমা, মাজেদা বেগমদের এখন অবসর নেই একটুও। রাত-দিন এক করে চলছে তাদের ব্যস্ততা। সুই-সুতায় নানা ডিজাইন, রঙ আর বর্ণে তারা ফুটিয়ে তুলছে নকশী কাঁথা, বেডকভার, শাড়ি, ফতোয়া, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজসহ নানা সূচি পণ্য। ঈদকে সামনে রেখে জামালপুরের গ্রামে গ্রামে নকশী সূচি শিল্পীদের এখন দিন রাত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। ঈদে বাড়তি দুপয়সা আয়ের জন্য কর্মীরা কাজ করছেন রাত জেগেও। জামালপুরের নারী কর্মীদের হাতে তৈরি নকশী কাঁথা, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবিসহ নানা নকশী পণ্যের সুনাম ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে।  এবার ঈদে দেশের বড়ো বড়ো শহরের শো-রুমের জন্য নতুন নতুন নকশার নকশী কাঁথা, বেডকভার, শাড়ি, লেহেঙ্গা, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতোয়া তৈরি হচ্ছে। উদ্যোক্তারা বলছেন সুতা ও কাপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার উৎপাদন খরচ বাড়লেও দাম রয়েছে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই।  এবার জামালপুরের সূচিশিল্পীদের তৈরী নকশী কাঁথা বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ৭০০০, বেডকভার ১৫০০ থেকে ৫০০০, শাড়ি ১৮০০ থেকে ১০০০০,  পাঞ্জাবি সুতি ৯০০ থেকে ৪০০০, সিল্ক ১৮০০ থেকে ৩৫০০, থ্রিপিচ ৯০০ থেকে ৫০০০, টুপিচ ৯০০ থেকে ২০০০, ফতোয়া ৩০০ থেকে ১৫০০, কটি ৪০০ থেকে ১০০০, ওয়ালমেট ৫০০ থেকে ৪০০০, শিশু ফ্রক ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায় । জামালপুরের নারী কর্মীদের হাতে তৈরি নানা ডিজাইনের নকশী পণ্য এবার ঈদে দেশের বাজার মাতাবে এমনটাই আশা করছেন এখানকার নারী কর্মী ও উদ্যোক্তারা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর