বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

২০ হাজার পরিবার পানিবন্দী

বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

২০ হাজার পরিবার পানিবন্দী

হাতীবান্ধায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

প্রবল বর্ষণ আর উজানের ঢলে হঠাৎ বেড়ে গেছে তিস্তা নদীর পানি। গতকাল সকাল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি ও আবাদি জমি। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে তিস্তা পাড়ের প্রায় ২০ হাজার পরিবার। বসতঘর ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে তারা। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তায় হু-হু করে পানি বাড়ছে। মঙ্গলবার বিকালে ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও ওইদিন সন্ধ্যা থেকে পানি বৃদ্ধি পায়। রাত ৯টায় তা বিপদসীমা অতিক্রম করে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বুধবার সকাল ৬টা থেকে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তার ডান তীরের দক্ষিণ ধুবনী এলাকার বাঁধ ভেঙে পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। তিস্তার চরের রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়া চরের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ডালিয়া ডিভিশনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জল-কপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। রাতের দিকে তিস্তার পানি কমতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তায় তৃতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ভারত থেকে পানি দ্রুত বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এর আগে গত ১১ জুলাই তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে। কিছুদিনের ব্যবধানে আবার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো স্থানীয় গাইডবাঁধ, স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ ও সড়কে আশ্রয় নিয়েছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, সার্বক্ষণিক তিস্তা পাড়ের মানুষের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ত্রাণসামগ্রী এলেই বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হবে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। বন্যার্ত পরিবারগুলোর জন্য এ পর্যন্ত ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর