রবিবার, ৮ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

‘মৃত্যুকূপ’ রাজশাহীর গোদাগাড়ী সড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

‘মৃত্যুকূপ’ রাজশাহীর গোদাগাড়ী সড়ক

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট কার

রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের গোদাগাড়ী সড়ক। প্রতিদিনই এ সড়কে ঘটছে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা। ঝরছে প্রাণ। সড়কটি যেন পরিণত হয়েছে ‘মৃত্যুকূপে’। চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে গোদাগাড়ী সড়কে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শুধু ফেব্রুয়ারিতেই প্রাণ গেছে ১২ জনের। ২৯ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন একই পারিবারের চারজনসহ ৮ জন। এ সব দুর্ঘটনায় ২০ জন আহত হয়েছেন। জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি গোদাগাড়ীর বিজয়নগর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নসিমন উল্টে শরীফুল ইসালাম (৪৮) নামে এক মাছ ব্যবসায়ী নিহত হন। গত ২৪ জানুয়ারি গোদাগাড়ীর রাজাবাড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন কলেজশিক্ষক আকরাম হোসেন (৪৮)। এ ছাড়া ২০ জানুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন এক আনসার সদস্য। পরে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে গোদাগাড়ী উপজেলার সাধুর মোড় এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নিহত হয় আবদুল আলিম সোহাগ ও সুমন নামে দুই শিক্ষার্থী। তারা উপজেলার নবগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সর্বশেষ ২৯ ফেব্রুয়ারি গোদাগাড়ীর কাদিপুর এলাকায় প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলে তিনজনের মৃত্যু হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আরও চারজন। দুর্ঘটনার পরদিন আহত আরেকজনের মৃত্যু হয়।

গোদাগাড়ীর পরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা বলেন, যে দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছেন- সেই গাড়িটি পুরনো মডেলের। হয়তো গিয়ার বক্স কাজ করেনি। হতে পারে ব্রেক ফেল (চালকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে) হয়েছে। তবে গোদাগাড়ী ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জগদীশ ওভার লোডিংকে দায়ী করেছেন। রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রাইভেট কারটিতে অতিরিক্ত যাত্রীই দুর্ঘটনার কারণ। গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি দেখে মনে হচ্ছে কারটি দ্রুতগতিতে চলছিল। তিনি বলেন, রাজশাহী-গোদাগাড়ী সড়কে পুলিশের কয়েকটি চেকপোস্ট আছে। সেখানে গাড়ির কাগজপত্র দেখা হয়। চেকপোস্টগুলোতে যানবাহনের সিট, ক্যাপাসিটি দেখা হবে। প্রয়োজনে মামলাও দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর