শিরোনাম
রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
পানি নিষ্কাশনের খালে বাঁধ

স্বপ্নভঙ্গ তিন হাজার কৃষকের

জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

স্বপ্নভঙ্গ তিন হাজার কৃষকের

আমন ধান, পাটসহ বিভিন্ন ফসল ঘরে তুলতে পারেনি কৃষক। আবাদ করতে পারেনি চলতি মৌসুমে রবিশষ্যও। এবার বোরো ধান রোপণ নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন তারা। খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় কয়েক হাজার বিঘা জমি এখানো পানির নিচে। জলাবদ্ধতায় বার বার স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছে ভেড়ামারা উপজেলার নওদা ক্ষেমিরদিয়াড় এলাকার তিন হাজার কৃষকের। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোনো ফল হয়নি। নওদা ক্ষেমিরদিয়াড় এলাকার মওলার বিলের জমি ঘিরে জীবন-জীবিকা এলাকার প্রায় তিন হাজার কৃষকের। এই জমি ঘিরেই তারা স্বপ্ন বোনেন। নামে বিল হলেও এর চারপাশের বিস্তীর্ণ জমিতে সারা বছর চাষাবাদ করেন কৃষকরা। বর্ষা যেমনই হোক বিলশুকা খাল ও হিসনা নদী দিয়ে মওলার বিলের পানি বের হয়ে যায়। এ কারণে চাষাবাদে সমস্যা হয় না। কিছু লোক বিলশুকা খাল ও হিসনা নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় এবার মওলার বিলের পানি বের হতে পারেনি। ফলে কৃষকের আমন ধানসহ অন্য ফসল ডুবে নষ্ট হয়েছে। রবিশষ্যের বীজও বপন করতে পারেননি তারা। আসন্ন বোরো মৌসুমে ধানের চারা রোপণ নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা। বিলের ১৩ বিঘা জমি চাষাবাদ করেন কৃষক গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, এ জমিতে প্রতি বছর আমন ধান, পাট, আখ, গম, খেসারি ও বোরো আবাদ করে আসছেন। এবার বর্ষায় বিলে পানি আটকে তার আমন ধান ও পাট ডুবে গেছে। এখনো জমিতে বুক সমান পানি। রবি শষ্যের বীজও বুনতে পারেননি। বোরো রোপণ করতে পারবেন কিনা বুঝতে পারছেন না। কৃষক রহমত আলী বলেন, হিসনা নদী ও বিলশুকা খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় আটকা পড়ে বিলের পানি। বিল সংলগ্ন উঁচু জমিও ডুবে আছে। বর্গচাষী ভাদু বিশ্বাস বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউএনও কাছে গেছি। কেউ আমাদের কথা শুনছেন না। আমন ও রবি ফসল তো মার গেলই, বোরো আবাদ করতে না পারলে ছেলেমেয়ে নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’

সর্বশেষ খবর