রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

পাকা মরিচের রঙে বর্ণিল ধু-ধু বালুচর

শেরপুর প্রতিনিধি

পাকা মরিচের রঙে বর্ণিল ধু-ধু বালুচর

শেরপুরের ব্রহ্মপুত্র নদ ও দশআনি নদীর অববাহিকা ঘিরে বিশাল চরাঞ্চলে চাষ হয় মরিচ। চর যত বড় হচ্ছে মরিচ চাষের পরিধিও বাড়ছে। চরজুড়ে লাগানো গাছে থোকা থোকা মরিচ এখন পেকে লাল হয়ে আছে। চাষিরা পাকা মরিচ তুলে তপ্ত বালুতে পলিথিনের ওপর ছড়িয়ে রোদে শুকাচ্ছেন। সোনালি রোদে শুকানো লাল মরিচের রঙে ধু-ধু সাদা বালু বর্ণিল হয়ে উঠেছে। জানা যায়, আশ্বিন-কার্তিক মাসে চরাঞ্চলের বিশাল এলাকায় মরিচ চারা রোপণ করা হয়। চারা লাগানোর দেড় মাসের মাথায় গাছে মরিচ ধরা শুরু হয়। তখন থেকে শুরু কাঁচা মরিচ বিক্রি। মাঘ-ফাল্গুন মাসে মরিচ পাকা শুরু হয়। বর্তমানে কৃষক-কৃষাণিরা কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মরিচ তোলা ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত। আরও অন্তত ১৫ দিন মরিচ তোলা ও শুকানোর উৎসব চলবে। শেরপুর সদর, শ্রীবরর্দী ও নকলা উপজেলার বৃহত্তর চরাঞ্চলে মরিচের চাষ হয়। শেরপুরের পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুরের ইসলামপুর, মেলান্দ, দেওয়ানগঞ্জ, বাহাদুরাবাদে চাষ হয় মরিচ। চরাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট বাজারগুলো এখন মরিচ চাষি, পাইকার, শ্রমিক, দালাল, খুচরা কারবারি, ঠেলাগাড়ি ও ট্রাকের আনাগোনায় সরগরম। মরিচ চাষি মোবারক আলী জানান, ছয় মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে মরিচ আবাদ করে এ সময়টার জন্য অপেক্ষা করি। এ মাসেই শুকনা মরিচ বিক্রি করে ভালো টাকা পাই।

সর্বশেষ খবর