মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ঝিনাইদহ পৌর নির্বাচনে বেকায়দায় আওয়ামী লীগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ পৌর নির্বাচনে বেকায়দায় আওয়ামী লীগ

সীমানা জটিলতা মামলায় ঝুলে থাকা ঝিনাইদহ পৌর নির্বাচন হবে আগামী ১৫ জুন। নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। তবে নির্বাচনে চারজন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। অন্যজন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজনীতি করেন। এখন পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরাতে পারেনি। দিন যতই যাচ্ছে দলীয় নেতারা একজন অন্যজনের প্রতি সন্দেহ করছেন। এদিকে নির্বাচনে যারা দাঁড়িয়েছেন তারা একজন অপরজনকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দিতে একেবারেই নারাজ। জানা গেছে, পৌর নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ প্রথম সারির এক ডজন ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়ন চান। কিন্তু কেন্দ্র বিচার-বিশ্লেষণ করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ আবদুল খালেককে দলীয় মনোনয়ন দেন। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে নেতারা অনেকে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। নেতারা প্রকাশ্যে মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নিলেও মনে মনে দলীয় প্রার্থী জয়ী হোক সেটা অনেকেই চাচ্ছে না বলে জানা গেছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল খালেক ত্যাগী নেতা হলেও দলীয় নেতা-কর্মীরা ঠিকমতো কাজ না করলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া কষ্ট হয়ে পড়বে। এ ছাড়া পৌর সভায় বিএনপি-জামায়তের ভোটাররা আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হোক কখনো চাইবে না। সে ক্ষেত্রে নাগরিক ঐক্য ব্যানারে দাঁড়ানো প্রার্থী সেই সুবিধা পেতে পারেন। সে হিসেবে তিনি বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন। অন্যদিকে শুরু থেকে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মাসুম। তিনিও দুযোর্গকালীন পৌরবাসীর পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। শহরে তার রয়েছে শক্তিশালী বলয়। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ভোট ভিক্ষায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, পৌর নির্বাচনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পৌর নির্বাচনে দলের জন্য কে কতটুকু কী করছেন তার ওপর নির্ভর করে দলীয় পদ-পদবি। বিষয়টি কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের অবজারভেশনে রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। সব মিলিয়ে ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে কাজ শুরু করেছেন। ফলে তৈরি হয়েছে বিভক্তি। এমনটাই মনে করছেন পৌরবাসী। তারা বলছেন, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন। তবে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর