শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরির ই-টিকিট না থাকায় ভোগান্তি

রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরির ই-টিকিট না থাকায় ভোগান্তি

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুট। প্রতিদিন এ রুটে সাড়ে তিন থেকে ৯ হাজার যানবাহন পদ্মা পারাপার হয়। নদী পাড়ি দিতে ফেরির টিকিট নিয়ে যানবাহন চালকদের হয়রানির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অথচ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া প্রান্তে এখনো চালুই হয়নি অনলাইন টিকিট ব্যবস্থা। অভিযোগ রয়েছে, ঘাটের দালাল চক্রের কাছে ধরনা না ধরলে ভাগ্যে জোটে না অনেক যানবাহনের টিকিট। জানা যায়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসির) টিকিট কাউন্টার রয়েছে উভয় পাড়ে। এই কাউন্টার ঘিরে দালালচক্র যানবাহন চালকদের টিকিট কিনে দেন। নির্ধারিত মূল্য থেকে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয় দালালদের। ট্রাকচালক জামাল উদ্দীন বলেন, আমাদের ফেরিঘাটে লোক ঠিক করা আছে। তিনি টিকিট কেটে রাখেন। তাকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। ই-টিকিট পদ্ধতি চালু থাকলে মালিকরা টিকিট কেটে দিত। আমরা সেই টিকিট নিয়ে ফেরি পার হতাম। কোনো সমস্যা থাকত না। সেই পদ্ধতি দৌলতদিয়ায় নেই। জামান পরিবহনের সুপারভাইজার মনির আহম্মেদ বলেন, নদী পাড় হতে বাসের টিকিট মূল্য ১ হাজার ৮২০ টাকা। কিন্তু দালালের মাধ্যমে টিকিট করাতে হয় বলে বাস মালিকের অতিরিক্ত ২০০ টাকার মতো খরচ হয়। ই-টিকিট ব্যবস্থা থাকলে সুবিধা হতো। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের ভোগান্তি রোধে পুলিশ কাজ করছে। অনেক দালাল গ্রেফতার হয়েছে। তবে ই-টিকিট পদ্ধতি চালু করা গেলে ভোগান্তি অনেক কমে আসবে। এতে যাত্রী ভাড়াও কমবে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডবিব্লটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, সব ধরনের পরিবহনের জন্য ই-টিকিট পদ্ধতি চালু করলে সুবিধা হবে। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে টিকিট ক্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে ঘাট এলাকায় দালাল থাকবে না। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ভোগান্তি কমে আসবে। তখন এই রুট নিয়ে ভিন্ন চিন্তা রয়েছে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট আধুনিকায়ন শুরু হয়েছে। আমার জানামতে ই-টিকিট পদ্ধতি চালুর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সর্বশেষ খবর