বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

শরীয়তপুরে সড়ক যোগাযোগে আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরে সড়ক যোগাযোগে আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন

স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করার কথা শরীয়তপুরবাসীর। সরু আর ভাঙা সড়কের কারণে কাক্সিক্ষত সুবিধা পাচ্ছে না এ জেলার মানুষ। তবে দেরিতে হলেও শরীয়তপুরের সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। জেলাজুড়ে চলছে উন্নয়নযজ্ঞ। পদ্মা সেতুর নাওডোবা অ্যাপ্রোচ সড়ক থেকে শরীয়তপুর সদর পর্যন্ত চার লেন সংযোগ সড়ক প্রকল্পের অংশ হিসেবে ৩৪ মিটার প্রস্থের দুই লেনের নির্মাণকাজ চলছে দ্রুতগতিতে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে শরীয়তপুর সওজ বিভাগ। সড়কটি নির্মাণ হলে জনভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে। অন্যদিকে শরীয়তপুর থেকে নরসিংহপুর (মনোহর বাজার) ফেরিঘাট পর্যন্ত নির্মাণাধীন ৩১ কিলোমিটার চার লেন সড়কে পাল্টে যেতে শুরু করেছে পুরো জেলার যোগাযোগব্যবস্থা।

শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রমতে, জেলা শহর থেকে নরসিংহপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার এবং পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ থেকে শহর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার চার লেনের দুটি সড়ক ২ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। মনোহর বাজার থেকে নরসিংহপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কটির কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। জমি অধিগ্রহণ বিলম্বিত হওয়ায় পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কটি কিছুটা পিছিয়ে আছে। সওজ জানায়, চার লেন সড়কের কাজে বিলম্ব হওয়ায় পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নাওডোবা থেকে শরীয়তপুর শহর পর্যন্ত তিনটি গুচ্ছ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আপাতত দুই লেনের সড়ক হলেও পরে চার লেনে উন্নীত করা হবে। তিনটি গুচ্ছ প্রকল্পের মধ্যে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক থেকে জাজিরা ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার ৩৪ ফুট প্রশস্ত দুই লেন এবং শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস অফিস থেকে জাজিরা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার ১৪২ কোটি টাকায় করা হচ্ছে। যা পরে চার লেনে উন্নীত করা হবে। এ ছাড়া কাজীরহাট বাজার ব্রিজ (১৫০ মিটার) ও প্রেমতলা কোটাপাড়া ব্রিজ (১৯০ মিটার) নির্মাণ করা হচ্ছে ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে। ইতোমধ্যে তিনটি প্রকল্পই টেন্ডার শেষে নির্মাণ শুরু হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। শরীয়তপুর-২ আসনের এমপি ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর সঙ্গে সঙ্গে শরীয়তপুরের মানুষ সড়কের সুফল না পাওয়ায় আমি ব্যথিত। পদ্মা সেতুর প্রথম থেকে উদ্যোগ নিলে আগেই রাস্তা হয়ে যেত। আমি উপমন্ত্রী হওয়ার পর এমপি ইকবাল হোসেন অপু ও নাহিম রাজ্জাককে নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করি। কভিডের মধ্যেও টেন্ডার হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে। কাজ চলমান আছে। শরীয়তপুরবাসী সুফল পাবে ইনশা আল্লাহ।’ শরীয়তপুর সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন, ‘পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ থেকে শরীয়তপুর পর্যন্ত চার লেনে সড়ক নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। আপাতত দুই লেনের সড়ক করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে সড়কটি নির্মাণ সম্পন্ন হবে এবং পরে চার লেনে উন্নীত করা হবে। সড়কটি নির্মাণ হলে শরীয়তপুরের মানুষের যোগাযোগ আরও সহজ ও আরামদায়ক হবে।’

সর্বশেষ খবর