শিরোনাম
শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

কুড়িগ্রামের লটকন যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের লটকন যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়

কুড়িগ্রামের বিভিন্ন কৃষকের গাছের মগডালে এখন ঝুলছে জংলি ফল খ্যাত লটকন। অত্যন্ত সুস্বাদু ও লোভনীয়। এ রকম সুস্বাদু ফলটির দিকে তাকালে যে কারোরই মুখে রস এসে যায়। জেলায় এবার ব্যাপক হারে চাষ হয়েছে লটকন। চলতি বছর এর ফলন বিপর্যয়ের কারণে কৃষক চিন্তিত হলেও লাভের আশা দ্বিগুণ রয়েছে। ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ এ ফল চাষে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। একটু যত্ন ও আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করতে পারলেই ব্যাপক ফলন হয় বলে কৃষক জানান। তবে এ ফলের প্রধান শত্রু পিঁপড়া ও বিভিন্ন প্রজাতির আঁচা। এদের থেকে দূরে থাকতে হলে একটু ডালপালা ছাঁটাই ও সঠিকভাবে কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নয় উপজেলায় লটকন চাষ করেছেন সহস্রাধিক কৃষক। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, তারও বেশি হবে কৃষকের সংখ্যা। আর লটকনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী। তবে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে সদর উপজেলায়। সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের সন্ন্যাসী গ্রামের কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘আমাদের এ জেলায় সবচেয়ে বেশি লটকন চাষ হয়েছে। আর এ জেলার চাহিদা পূরণ করে আমরা প্রতি বছর বাইরের জেলাগুলোয়ও লটকন পাঠাই। এখানকার লটকনের স্বাদ, সাইজ ও মান ভালো হওয়ায় প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা ছুটে আসেন কিনতে। গত বছর আমরা ১২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত মণ বিক্রি করি। এবার লটকনের মণ ২৬০০ থেকে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ এবার দাম অনেক বেশি কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, এবার ফলন ভালো হয়নি। ফলন ভালো হলে চাষিরা প্রচুর লাভবান হতেন।’ চাষি জয়নাল মিয়া বলেন, ‘আমরা শুনেছি ১১ থেকে ১২টি দেশে রংপুর ও রাজশাহীর ফজলি, গোপালভোগ আম রপ্তানি হয়। আমরা জানি দেশের বাইরে লটকনেরও চাহিদা রয়েছে। সরকার যদি চেষ্টা করত তাহলে লটকন বাইরে বিক্রি করে আমরা আরও বেশি লাভবান হতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য, লটকন চাষে স্থানীয় কৃষি বিভাগ সঠিকভাবে পরামর্শসহ দেখভাল করে না। এজন্য আমরা ফলন বিপর্যয়ের মুখে পড়ছি।’

সর্বশেষ খবর