মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি সাইলো নির্মাণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

কয়েক দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি আশুগঞ্জ স্টিল রাইস সাইলো নির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যে নির্ধারিত সময়ের দুই বছর পেরিয়ে গেছে প্রকল্পটির। কাজ শেষ হতে আরও প্রায় এক বছর লাগবে বলে জানান খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন। গতকাল দুপুরে কাজ পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, আগামী বছরের মে-জুনে কাজ সম্পন্ন করে সাইলোটির খাদ্য অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। আধুনিক স্টিল রাইস সাইলোর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনের সময় সঙ্গে ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাকারিয়া মোস্তফা, আশুগঞ্জের ইউএনও অরবিন্দ বিশ্বাস প্রমুখ।

আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পের পরিচালক রেজাউল ইসলাম শেখ। ৫০৪ কোটি ৪৫ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৪ টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জে নির্মাণ হচ্ছে ১ লাখ ৫ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক স্টিল রাইস সাইলো। ২০১৮ সালের এপ্রিলে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে জেরিকো-ফ্রান্স। এরই মধ্যে তিনবার প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়। গত বছর এই সময়ে কাজের অগ্রগতি ছিল ৭৩ শতাংশ। আর বর্তমানে অগ্রগতি মাত্র ৭৫ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়বে না বলে সচিব জানান। তিনি বলেন, আশুগঞ্জ স্টিল রাইস সাইলো চালু হলে একটি দেশে খাদ্য মজুদের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সংযোজন হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এক বছরে কাজের অগ্রগতি না হওয়ার নানা কারণ ছিল। এরমধ্যে ঠিকাদারের আর্থিক সমস্যা, করোনার প্রভাব অন্যতম। বর্তমানে পুরোদমে কাজ চলছে। ২০২৩ সালের মে-জুনের মধ্যে শেষ করা যাবে। আশুগঞ্জ স্টিল রাইস সাইলোতে স্বয়ংক্রিয় তাপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের মাধ্যমে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে প্রায় দুই বছর পর্যন্ত চাল সংরক্ষণ করা যাবে। সংরক্ষিত চাল প্যাকেট ও বস্তাবন্দি করতে প্রতি ঘণ্টায় ৫০০ টন স্পিডের বেল্ট কনভেয়িং ও চেইন কনভেয়িং সিস্টেম থাকছে। চুক্তি অনুযায়ী, আধুনিক এ সাইলোতে মোট ৩০টি সাইলো বিন থাকবে। এছাড়া পরিদর্শন বাংলো, গোডাউন ও ব্যারাকসহ প্রয়োজনীয় ভবন থাকবে ১৬টি। সাইলো ভিমগুলোর প্রতিটির ধারণক্ষমতা ৩ হাজার ৫০০ টন।

সর্বশেষ খবর