বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দুই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

আজ কুড়িগ্রামের চিলমারী ও রৌমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত সোমবার মধ্যরাত থেকে এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার প্রচারণা শেষ হয়েছে। আর এর পরই গতকাল সকাল থেকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

দুই উপজেলায় মোট ১১৪টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ        অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপনির্বাচনে চিলমারী উপজেলায় মোট পাঁচজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যেখানে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন মো. সোলায়মান আলী সরকার। অপর চার প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৪৩ ও মোট ৪৫টি কেন্দ্রে ২৯২টি কক্ষে ইভিএম মেশিনে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে, রৌমারী উপজেলায় মোট সাতজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যার আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম। অপর ছয়জন প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম শালু কাপ-পিরিচ প্রতীকে এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাইদুল ইসলাম মিনু হেলিকপ্টার প্রতীকে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপর এক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী দোয়াত-কলম প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানা গেছে। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৫০ যার মোট ৬৯টি কেন্দ্রে ৪৭৮টি কক্ষে ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দুই উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে ছয়জন করে মোট ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়াও বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনছারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব জানান, উপনির্বাচন ঘিরে সবধরনের প্রচার প্রচারণা রাত থেকে শেষ হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ উপনির্বাচনে পূর্বের ন্যায় কোনো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো থাকছে না কিন্তু নির্বাচনে কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষক দল নিযুক্ত থাকবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর