বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি

মেহেরপুর প্রতিনিধি

ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি

মেহেরপুরের গাংনীতে কৃষকের ফসল নষ্ট করে মাথাভাঙা নদীর পাড়ের মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় ও পুকুর ভরাটের জন্য বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। মাটি কাটার ফলে বাঁধের পাড় নিচু হয়ে গেছে। বর্ষায় নদীর পানি বেড়ে গেলে তা উপচে এলাকার শত বিঘা ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় গ্রামবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও বিষয়টি তদন্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গাংনী উপজেলার সিন্দুরকোটা ও শুকুরকান্দি গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত মাথাভাঙা নদী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে খনন করা হয়। খননের সময় নদীর দুই পাড় মাটি দিয়ে উঁচু করে বাঁধা হয়। এখন গ্রামের স্থানীয় প্রভাবশালী কামালসহ কয়েকজন মিলে মাথাভাঙা নদীর পাড়ের মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় ও পুকুর ভরাটের জন্য বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফসলি জমির তুলনায় নদীর বাঁধ নিচু হয়ে গেছে। বর্ষায় নদীতে পানি বেড়ে গেলে তা উপচে প্রায় শত বিঘা আবাদি জমি প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুকুরকান্দি গ্রামের শামসুল হক জানান, আমাদের জমির ফসল নষ্ট করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন প্রভাবশালীরা। ক্ষমতার বলে ও অর্থের লোভে এসব করছেন। প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতিসহ জীবননাশের হুমকি দেন। মো. কামাল বলেন, গাংনী আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের নির্দেশেই বাঁধের মাটি কাটা হচ্ছে। বাঁধের মাটি কাটার বিষয়ে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি শুধু নদী ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছি। গাংনী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় একজন কৃষক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসক আমাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। প্রভাবশালীদের তোপের মুখে আমি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করতে পারিনি। তবে বাঁধের মাটি কাটার বিষয়টি সত্য। মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন সাংবাদিকদের জানান, আমার নির্দেশে মাটি কাটছে এটি সঠিক নয়। ওরা আমার দলের ছেলে। হয়তো নিজেদের বাঁচানোর জন্য আমার নাম ব্যবহার করেছে। এর সঙ্গে আমার জড়িত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তবে মাটি যাতে না কাটা হয় সে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর