মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

খেতেই নষ্ট হচ্ছে সবজি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

খেতেই নষ্ট হচ্ছে সবজি

দিনাজপুরের বিরামপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ফুলকপি খেত -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাজারে চাহিদা কম থাকা এবং অজ্ঞাত রোগের কারণে দিনাজপুরে খেতেই নষ্ট হচ্ছে শীতকালীন সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। অনেকে ফুলকপি নিয়ে যাচ্ছেন গো-খাদ্য হিসেবে। দিনাজপুরের বিরামপুরের মাউনপুর এলাকায় দেখা যায়, বিঘার পর বিঘা চাষ হয়েছে ফুলকপি আর বাঁধাকপি। কয়েকজন শ্রমিক সেখানে কাজ করছেন। অদৃশ্য রোগে খেতেই পচন আর পোকা ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফুলকপি। বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, চলতি মৌসুমে বিরামপুরে ১ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হয়েছে।

কৃষক হামিদুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ১৮ বিঘা জমিতে বিভিন্ন সবজি আবাদ করেছেন। এর মধ্যে ১২ বিঘা জমিতে ফুলকপি এবং বাঁধাকপি চাষ করেন। পোকার আক্রমণে বাজারে বিক্রয় করতে না পেরে তার সব ফুলকপি খেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গো-খাদ্য হিসেবে এসব সবজি ব্যবহার করছেন এলাকাবাসী। কৃষক হামিদুল ইসলাম বলেন, আমার নিজের তেমন জমি নেই। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে সারা বছর সবজি চাষ করি। পরিবেশবান্ধব জৈব্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচলিত ও অপ্রচলিত নিরাপদ সবজি চাষ করে থাকি। ফুলকপি ও বাঁধাকপির পাশাপাশি সেই জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছি। একই সঙ্গে আলাদা জমিতে গ্রিন বাড হাইব্রিড শশা, করলা, মিষ্টি কদু, শিম, পিঁয়াজ, বেগুন, রসুনও বুনেছি। হামিদুল জানান, বাজারে এখন ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম নেই। পাইকাররা প্রতি পিস ফুলকপি এক টাকা বলে। শ্রমিক নিয়ে জমি থেকে ফসল তুলে বাজারে নিতেই চার থেকে পাঁচ টাকা খরচ পড়ে। প্রতিদিন আমার লোকসান গুনতে হচ্ছে। আমি ঢাকায় পাইকারদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা আমাকে তিন টাকা প্রতি পিস দাম দিতে চান। অথচ আমার জমি থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে খরচ হবে ১০ টাকা বেশি। উপজেলা কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি তারা কোনো সহায়তা করেনি। ফুলকপি চাষি আশরাফ আলী বলেন, প্রতি বছর এ সময় ফসলের দাম ভালো পেয়ে থাকি। এবার উল্টো, বাজারে দাম নেই।  গ্রামের মানুষ তুলে নিয়ে গরু-ছাগলকে খাওয়াচ্ছে। বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, আমি নতুন এসেছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর