বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

উজাড় হচ্ছে গাছ

অজয় দাস, ভাঙ্গা

উজাড় হচ্ছে গাছ

ভাঙ্গা ও নগরকান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উজাড় হচ্ছে গাছ। দিনের পর দিন বৃক্ষ নিধন চলছে। এ বৃক্ষ নিধন সারা বছর কম-বেশি চললেও জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বেড়ে যায়। এ সময় শুষ্ক মৌসুম থাকায় বিভিন্ন ইটভাটার জ্বালানি হিসেবেও এ গাছ বিক্রি হয়। পাশাপাশি ফার্নিচারের দোকান দিনে দিনে এ এলাকায় বৃদ্ধি পাওয়ায় গাছ নিধনের হার বেড়েছে। গত কয়েক দিন নগরকান্দার রামনগর, ডাঙ্গী, ভাঙ্গার নাসিরাবাদ ও মানিকদহ ইউনিয়নের বেশ কিছু স্থানে গাছ কাটার চিত্র দেখা গেছে। নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নেই শতাধিক গাছ ব্যবসায়ী রয়েছেন বলে এলাকার বেশ কয়েকজন জানান। কয়েকজন গাছ ব্যবসায়ী জানান, সারা বছর তাদের ব্যবসা কোনো রকম চললেও জানুয়ারি মাস থেকে ব্যবসা চাঙা। ভালো মানের কাঠ ফার্নিচারের দোকান মালিকরা কিনে নেন। আর ছোট গাছ ও বড় গাছের ডালপালা বিভিন্ন ইটভাটার মালিকরা কেনেন। ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারপাড় গ্রামের বাসিন্দা মহসীন খন্দকার (৬৫) বলেন, আমাদের এলাকায় আগে অনেক মান্দার (শিমুল তুলা) গাছ ও বাবলা গাছ ছিল। এখন নেই বললেই চলে। সব গেছে ইটভাটায়। নগরকান্দার রামনগর গ্রামের আরিফ মিয়া বলেন, এ বছর আমাদের গ্রামের বেশ কয়েকটি বাগানের গাছ বিক্রি হয়েছে। অনেক বাগান মালিক ছোট ছোট গাছও বিক্রি করে দিয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলার মহেশ্বরদী গ্রামের এক প্রবীণ ব্যক্তি জানান, আমাদের এলাকার গাছ চোখের সামনে কমে গেছে। ভাঙ্গার চান্দ্রা ইউনিয়নের দিঘলকান্দা গ্রামের বাসিন্দা ও কলেজছাত্র সুজন মোল্লা বলেন, ভাঙ্গা এলাকায় ইটভাটা বেড়ে যাওয়ায় গাছ উজাড় হওয়ার হার বেড়েছে। ভাঙ্গা উপজেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সুভাষ ম ল বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বাগান করার প্রবণতাও বেড়েছিল। এখন আবার অনেকেই বাগানের ছোটো ছোটো গাছ বিক্রি করে দিচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি অফিসগুলোতেও উন্নয়নের নামে আগের দিনের বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ভাঙ্গা মহিলা কলেজের জীববিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক মাসুমা খানম বলেন, গাছ মানুষের বড় বন্ধু। গাছের দেওয়া অক্সিজেন গ্রহণ করেই আমরা বেঁচে আছি। তাই গাছ কাটার প্রবণতা কমানোর জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর