শিরোনাম
শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বগুড়ায় যেখানে সেখানে সিএনজি স্ট্যান্ড

দুর্ভোগ শহরবাসীর ঘটছে দুর্ঘটনা

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ায় যেখানে সেখানে সিএনজি স্ট্যান্ড

অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডের কারণে দুর্ভোগে শহরবাসী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বগুড়া শহরে যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে        শহরবাসীর। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অধিকাংশ সিএনজি ও অটোরিকশার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

জানা যায়, বগুড়ায় প্রায় ৭ হাজার সিএনজি এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রয়েছে। জেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী অটোরিকশার ৯০ শতাংশের রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, রুটপারমিট ও চালকের লাইসেন্স নেই। অবৈধ অটোরিকশা একদিকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। শহরের মধ্যে যেখানে-সেখানে স্ট্যান্ড গড়ে তোলায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বগুড়া শহরের দত্তবাড়ী, বড়গোলা, স্টেশন সড়ক, শেরপুর সড়ক, চেলোপাড়া, গোহাইল রোড, ইয়াকুবিয়া মোড়, রেলগেট ও চারমাথা এলাকায় সড়কে গড়ে উঠেছে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। সড়কের প্রায় অর্ধেক জায়গা দখল করে সিএসজি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। বগুড়া শহরের ইয়াকুবিয়া মোড়ের বাসিন্দা ইশরাত জাহান মিতু জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুরো শহর সিএনজি ও অটোরিকশার দখলে থাকে। সেই সঙ্গে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ স্ট্যান্ড। সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে পথ চলতে পারছেন না। প্রতিদিন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ১০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে লাগে ১ ঘণ্টা। আমাদের এ শহরে যানজট বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে চায়          শহরবাসী। ইশরাত বলেন, আমার বাড়ির সামনে সকাল হলেই শত শত সিএনজি অযথা দাঁড় করিয়ে রাখে। নিষেধ করলেও তারা শুনছেন না।

বগুড়া রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন রুটে কমপক্ষে ৭ হাজার অটোরিকশা চলাচল করছে। এর অধিকাংশের সড়কে চলাচলের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। চালক ও মালিক কৌশলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ। প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে দিব্যি মহাসড়কে সিএনজি চলছে। বগুড়া ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, শহরের মধ্যে সিএনজি প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময় ছাড়া মূল শহরে সিএনজি প্রবেশ ঢুকতে দেওয়া হয় না। শহরের ভিতর প্রবেশ করলেই আটক করা হয়। এর পরও যেসব অটোরিকশা শহরে চলছে রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, রুটপারমিট, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে সেগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর