মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

হাওরাঞ্চলে ডুবন্ত বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

হাওরাঞ্চলে ডুবন্ত বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় বাঁধ নির্মাণে পিআইসি গঠনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধনসহ দুদকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শফিকুল ইসলাম তালুকদার নামের ওই এলাকার এক কৃষক। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা ও ঢাকা থেকে আগত হাওরবাসীর উদ্যোগে জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করেছে হাওররক্ষা উন্নয়ন পরিষদ। তারা কমিটি গঠনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থির দাবি জানান। জানা গেছে, প্রতি বছর সময় ক্ষেপণ করে হাওরের ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণের কারণে এবং বাঁধের বরাদ্দে লুটপাটের কারণে সরকারের টাকা গচ্ছা গেলেও ফসলের কম-বেশি ক্ষতি হয়। এবার প্রশাসন কঠোর মনিটরিং করে আগে-ভাগেই কাজ শুরু করলেও প্রকল্প কমিটি গঠনে নেত্রকোনা জেলার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীতে উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ। জেলার সাত উপজেলায় মোট ২০৬টি পিআইসি হলেও শুধু খরিয়াজুরীতে হয়েছে ১১৫টি। ১১৫টির মধ্যে বাজারের খাদ্যগুদামের লেবার, গৃহহীন, দোকানের কর্মচারী, অটোরিকশাচালকসহ প্রভাবশালীদের আত্মীয়-স্বজনদের দিয়ে গঠন করা হয়েছে অধিকাংশ কমিটি। প্রকল্পে জমি না থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে যা নীতিমালা বহির্ভূত। এসব কমিটি অনুমোদন করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এসব অনিয়ম প্রকাশ পাওয়ায় গত ১৬ এপ্রিল দুদক ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ে এবং ১৭ এপ্রিল নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৃথক দুটি অভিযোগ করেন খালিয়াজুরী উপজেলার কৃষক শফিকুল ইসলম তালুকদার। অভিযোগে জানা গেছে, ইউএনও এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে খালিয়াজুরী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি-সম্পাদকের বাবা-ভাইদের নামে, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী, দিনমজুর, অটোরিকশাচালক, ফটোস্ট্যাট দোকানের কর্মচারী, ডেকোরেশন ব্যবসায়ী ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহহীনের নামও রয়েছে এসব প্রকল্প কমিটির সভাপতি হিসেবে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউএনও রুয়েল সাংমা জানান, আমাদের কাছে আবেদন করলেই দিয়েছি। নিজের জমি না থাকলে পত্তন নিয়েও করতে পারে। অভিযোগটি মিথ্যা বানোয়াট বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, মাটির কাজ বৃষ্টিতে সমস্যা হতেই পারে আমরা ঠিক করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান জানান, তদন্ত হলে পরে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে। বাঁধ নির্মাণ জেলা মনিটরিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর