বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

অনাবৃষ্টিতে লিচুর ফলনের শঙ্কা

পাবনা প্রতিনিধি

অনাবৃষ্টিতে লিচুর ফলনের শঙ্কা

একদিকে মুকুল কম, অন্যদিকে বৈরী আবহাওয়া। রাতে ঠান্ডাভাব, দিনে গরম। আর এ কারণে ঝরে যাচ্ছে গুটি লিচু। ফলে চলতি মৌসুমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় লিচুর ফলনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাগান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন লিচু চাষিরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশে উপজেলা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি লিচুর উৎপাদন হয় ঈশ্বরদীতে। তাই উপজেলাটির এখন ‘লিচুর রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত। চলতি মৌসুমে উপজেলাটিতে ৪ হাজার ৭১১ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ হাজার ৭৪৬ মেট্রিক টন। কিন্তু এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবেই চলতি মৌসুমে লিচুর মুকুল বেরিয়েছে ৬৫ শতাংশ। বাকিটায় নতুন পাতা বের হয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে লিচুর জন্য প্রতিকূল আবহাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে এবার লিচুর ফলন কিছুটা কমার আশঙ্কা আছে। দেখা গেছে, পাবনা সদর উপজেলা থেকে শুরু করে গ্রামের পর গ্রাম শুধু লিচুর আবাদ। পাবনার দাপুনিয়া, আওতাপাড়া, ঈশ্বরদীর সলিমপুর, সাহারপুর, লক্ষ্মীকুণ্ডা, দাশুড়িয়া, সাড়া, জয়নগর, মানিকনগর ও মিরকামারি গ্রামে দেখা যায় সবুজ লিচু গাছ এখন হলুদরঙা মুকুলে ছেয়ে আছে। কিছু গাছে মুকুল থেকে বেরিয়েছে গুটি। বাগানে ঢুকলেই চোখে পড়ছে গুটি ঝরার দৃশ্য। চাষিরা গুটি ঝরা রোধে নানা চেষ্টা করছেন। কেউ ওষুধ ছিটাচ্ছেন, কেউ স্প্রের যন্ত্র দিয়ে পানি দিচ্ছেন। লিচু চাষিরা বলেন, ঈশ্বরদীতে চায়না-৩, বোম্বাই, মোজাফ্ফর ও দেশি জাতের লিচুর চাষ হয়। সারা দেশেই এখানকার লিচুর চাহিদা আছে। ফলে প্রতি বছর মৌসুম শুরুর আগেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাগানের লিচু কিনে নেন। এর পর থেকে লিচু তোলা ও বাজারজাতের দায়িত্বটা তারাই করেন। কিন্তু চলতি মৌসুমে লিচুর ফলন কম। তাদের হিসাবে গত বছরের তুলনায় অর্ধেক মুকুল এসেছে। অন্যদিকে বর্তমানে লিচুর জন্য বিরূপ আবহাওয়া রয়েছে। রাতে শীত ও কুয়াশা ভাব থাকছে। দিনে হচ্ছে দাবদাহ।

 

সর্বশেষ খবর