বাঁচানো যাচ্ছে না ফেনীর নদ-নদী। ছোট ফেনী নদীর পর এবার পানিশূন্য হয়ে পড়েছে মুহুরি ও সিলোনিয়া। মুহুরি নদীর ফুলগাজী উপজেলার দেড়পাড়া থেকে পরশুরাম পর্যন্ত শুকিয়ে গেছে। সিলোনিয়া নদীর ফুলগাজীর বন্দুয়া ব্রিজ অংশের পূর্ব-পশ্চিম পাশে দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত ছাড়া বাকি অংশে পানি নেই। ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার সিলোনিয়া এবং মুহুরি নদী ঘুরে দেখা যায়, উজান থেকে নদীতে পানি আসছে না। দুটি নদীই শুকিয়ে গেছে। মুহুরি নদী ফুলগাজীর দেড়পাড়া গ্রাম থেকে পরশুরাম পর্যন্ত পানি শুকিয়ে মাটি দেখা যাচ্ছে। এ নদীর পানিতে সেচনির্ভর কয়েক গ্রামের কৃষক বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে। এদিকে সিলোনিয়া নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় দুই পাশে নিলক্ষ্মী, গোসাইপুর, করইয়া, শ্রীবউরা, নোয়াপুর, কামাল্লা, রাজেশপুর, মনতলা, গাবতলা, মান্দারপুর ও পৈথারা গ্রামের কৃষকরা পড়েছেন দুঃশ্চিন্তায়। পানিরে অভাবে মাঠে ধান শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। ফসল উৎপাদনে বিভিন্ন নদী ও ভূগর্ভস্থ পানির ওপরই নির্ভরশীল ফুলগাজী-পরশুরামের বেশিরভাগ চাষি। গত কয়েক বছরে ফেনী জেলার নদ-নদী ও ভূগর্ভস্থ পানি আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এতে কৃষিপণ্য উৎপাদনে ব্যয় বাড়ছে। নদীতে পানি না থাকায় এ জেলার মৎস্যজীবীরাও পড়েছেন সংকটে। দেশি প্রজাতির মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। সূত্র জানায়, ফেনীর নদীগুলো মরা খালের মতো হয়ে যাওয়ায় বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি উপচে আশপাশের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খরা মৌসুমে এসব নদীর পানি না থাকায় দেখা দেয় সেচ সংকট। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবীরা। ফুলগাজী উপজেলার গোসাইপুর গ্রামের কৃষক আবু আহম্মদ বলেন, ‘বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা কৃষিকাজ করছি। পাঁচ বছর আগেও সিলোনিয়া নদী থেকে ফসলের খেতে পানি দিতাম। এবার সেচের অভাবে জমির ধান শুকিয়ে গেছে।’ তিনি জানান, এ মৌসুমে দুই একর জমিতে তিনি বোরো ধান চাষ করেছেন। অর্ধেক ফসল পাবেন কিনা তা নিয়ে তিনি দুঃশ্চিন্তায় আছেন। কৃষক মতিন জানান, নদী মরুভূমির মতো হয়ে গেছে। বর্তমানে মাটিতে গর্ত করে ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তুলে খেতে দিতে হচ্ছে। মাটির নিচ থেকেও ঠিকমতো পানি উঠছে না। ফলে ডিজেল খরচ বেড়ে যাচ্ছে। একই সমস্যার কথা জানান ফুলগাজী উপজেলার শ্রীবউরা গ্রামের কৃষক নাঈমুল ইসলাম বলেন। ফুলগাজীর শ্রীবউরা গ্রামের মাছ চাষি আমির হোসেন বলেন, ‘বাড়ির পাশেই সিলোনিয়া নদী। কয়েক বছর আগেও এই নদী থেকে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালিয়েছি। এখন নদীতে পানি নেই। ফলে মাছও পাওয়া যায় না। মাছ ধরা বাদ দিয়ে অটো চালাই। কী করব, পরিবার-তো চালাইতে হবে।’ আমির জানান, তার মতো আরও অনেক এই পেশা ছেড়েছেন। ফুলগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় নদী শুকিয়ে গেছে। নদী খনন করে নাব্য বাড়ালে জলাধারের আয়তন বাড়বে।
শিরোনাম
- বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান
- তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি
- আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম
- শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে রাশিয়া
- খসড়া টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ওটিটি ও সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিধান
- মালদ্বীপে প্রবাসীদের জন্য এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমে মতবিনিময় সভা
- যুক্তরাষ্ট্রে মেয়র-গভর্নর নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয়জয়কার, চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাম্প
- পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’
- আজ বিশ্ব সুনামি সচেতনতা দিবস
- নিউ জার্সির গভর্নর হলেন মিকি শেরিল
- সূচকের মিশ্র প্রবণতায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
- অন্য দেশের ভিসা আবেদন গ্রহণ করে না জার্মান দূতাবাস
- অ্যাশেজ সিরিজ : অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে চমক ওয়েদারল্ড
- আর কোনও ইউরোপীয় দেশে হামলা করবে না রাশিয়া: আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের ৮ম দিনের শুনানি চলছে
- বসনিয়ার নার্সিং হোমে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের মৃত্যু
- চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে হারিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ
- আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির
- অনলাইনে জুয়া খেললেই কমবে ইন্টারনেটের গতি, বন্ধ হবে এমএফএস
- ‘যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল ও মিত্ররা ৩০ লাখ মুসলিমকে হত্যা করেছে’
পানিশূন্য সিলোনিয়া নদী
জমির বেগ, ফেনী
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর