চরভদ্রাসনের গোপালপুর-মৈনট লঞ্চঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার গোপালপুর অংশে ব্যাহত হচ্ছে লঞ্চ চলাচল। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীদের। বুধবার গোপালপুর ঘাটের পল্টুনে গিয়ে কোনো লঞ্চ দেখা যায়নি। লঞ্চে পার হতে আসা যাত্রীদের ট্রলারে করে ঘাটের পাশের একটি চরে রাখা লঞ্চের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে মৈনটের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ। আর মৈনট থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে সেই চরে। সেখান থেকে হেঁটে তারা ঘাটে আসছেন। দোহার উপজেলা থেকে আসা লঞ্চযাত্রী সোহেল খলিফা জানান, ঘাটে লঞ্চ না ঢোকায় তাদের পাশের চরে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালামাল নিয়ে সেখান থেকে হেঁটে আসতে হয়েছে। ভোগান্তি নিরসনে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। লঞ্চমালিক সমিতির সুপারভাইজার বাদশা মিয়া বলেন, পদ্মায় পানি কমে যাওয়ায় কয়েক দিন বিভিন্ন স্থানে লঞ্চ আটকে যাচ্ছিল। গত সোমবার থেকে গোপালপুর অংশের পল্টুনে প্রবেশ মুখে চরে আটকে যাচ্ছে লঞ্চ। ফলে ঘাটে ভিরতে পারছে না। বাধ্য হয়ে যাত্রীদের লঞ্চ পর্যন্ত ট্রলারে করে নিতে হচ্ছে। দ্রুত খনন কাজ শুরু না হলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শিমুলিয়া নৌবন্দর কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ২ নভেম্বর তিনি ঊর্ধ্বতনদের লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে খনন কাজের জন্য সংশ্লিষ্টারা গোপালপুর ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। খননযন্ত্র আসার পর কাজ শুরু হবে।