সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

চলচ্চিত্র কোনো নির্দিষ্ট ফুলের বাগান নয়

আলাউদ্দীন মাজিদ

চলচ্চিত্র কোনো নির্দিষ্ট ফুলের বাগান নয়

 চলছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ঝড়। দীপংকর দীপেন নির্মিত এই ছবিটি দর্শক মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখছেন। দর্শক যখন সিনেমা হল বিমুখ তখন কী এমন জাদু আছে এই ছবিতে যে দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়েছে ছবিটি দেখতে। তাই নিয়ে আজ নির্মাতার সঙ্গে আলাপন—

 

ঢাকা অ্যাটাক এর সফলতায় আপনি কতটা মুগ্ধ?

বাংলাদেশ এখন সব ক্ষেত্রে স্মার্ট হচ্ছে। বিদেশি উন্নত ছবির সঙ্গে আমাদের ছবির দূরত্ব ঘোচাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ-ভারতের ছবিতে যেসব উপাদান থাকে তার বাইরে এসে এ ছবিতে একটি ব্যতিক্রম চিত্র তুলে ধরেছি। উপাদান এবং উপস্থাপনায় আধুনিকতা এনেছি। এ কারণেই ছবিটির প্রতি অন্যরকম দর্শক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এটিই আমার ভালোলাগা,সফলতা আর মুগ্ধতা।

 

ছবির বিষয়বস্তু দর্শক মন জয় করেছে, জাদুটা কী?

বিষয়বস্তু যাই হোক সফলতার জন্য স্টোরি টেলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গল্প যদি আধুনিকভাবে বলা যায় তবে তা দর্শক মন কাড়বেই। ছবির বিষয়বস্তু খুবই সহজ সরল। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপরাধ দমনে যে সক্ষমতা আছে সেটি বিশ্বাসযোগ্যভাবে চিত্রায়ণ করেছি। আধুনিকভাবে গল্প বলার কারণেই দর্শক মনেপ্রাণে ছবিটি গ্রহণ করেছে।

 

বিষয়বস্তুর বাইরে চমত্কারিত্বের উপাদান কেমন?

আধুনিক টেকনোলজি, গল্পের সঙ্গে মানিয়ে যাওয়া লোকেশন, অ্যাপ্রোচ ভ্যারিয়েশন, টেম্পু, সাসপেন্স, গ্রাফ। এসব উপাদানের সমন্বয়ে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দর্শকের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

 

প্রথম ছবির জয়যাত্রা নিজেকে কতটা আত্মবিশ্বাসী করেছে?

আমার সন্তুষ্টির স্থান হলো নিজের মতো করে গল্প বলে নিজের রুচির সঙ্গে দর্শকের রুচির সমন্বয় করতে পারা। আমি যে দর্শকের রুচিকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে পেরেছি এটিই আমার আত্মবিশ্বাসকে শক্তি জুগিয়েছে।

 

আপনার ছবির দর্শক কি ছকে বাঁধা নাকি সর্বস্তরের গ্রহণযোগ্যতায় বলীয়ান?

সব শ্রেণির দর্শক আমার ছবির সঙ্গে একাত্ম হয়েছে। বর্তমানে দর্শকের বড় একটা অংশ হলো ছাত্র সমাজ। ছাত্ররা দেশের প্রধান আর বড় সব পরিবর্তনে ভূমিকা রেখে চলেছে। আমার ছবির সফলতার ক্ষেত্রেও তারা স্বাক্ষর রেখেছে। তাদের অন্তর থেকে সাধুবাদ জানাই।

 

চলচ্চিত্র নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

চলচ্চিত্র কোনো নির্দিষ্ট ফুলের বাগান নয়, এখানে সব ধরনের ফুল ফুটবে। মানে অবট্রাক আর মেইনস্ট্রিম বলতে যা বোঝায় এ বাগানে সব ফুলই থাকবে। চলচ্চিত্রের পুনঃজাগরণে বৈচিত্র্য দরকার। বৈচিত্র্য থাকলে ‘সর্বস্তর’ এবং ‘বিশেষ শ্রেণি’ বলে দর্শকের মধ্যে কোনো বিভাজন থাকবে না। যেটি ঢাকা অ্যাটাকের ক্ষেত্রে ঘটেছে। সিনেমা হল বন্ধ ঠেকাতে আধুনিকভাবে গল্প বলে সময়ের পথে হেঁটে দর্শকদের সিনেমা হলে ফেরাতে হবে। এ জন্য ব্যক্তিগত আগ্রহ যথেষ্ট নয়। সংশ্লিষ্ট সবার সহযেগিতা আর আনুষঙ্গিকতা অপরিহার্য।

 

ঢাকা অ্যাটাকের পরের উপহারটা কেমন হবে?

‘ঢাকা অ্যাটাক টু’ নির্মাণের পরিকল্পনা মনে গেঁথে আছে। ভয় হয় যদি রিপিট করে ফেলি। তাছাড়া ‘টু’ আরও কঠিন কাজ হবে। এই ভয় দূর করতে আগে অন্য স্বাদ নিয়ে আসতে চাই। পিওর রোমান্টিক গল্প। এখন রোমান্টিকতার পথে এগুচ্ছি।

 

 

সর্বশেষ খবর