সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

আমি অনেক সৌভাগ্যবান, স্বর্ণযুগে বাবাকে অনেক কাছে থেকে পেয়েছি

আলিফ আলাউদ্দিন

আমি অনেক সৌভাগ্যবান, স্বর্ণযুগে বাবাকে অনেক কাছে থেকে পেয়েছি

আজ আব্বুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। দেখতে দেখতে কেটে গেল একটি বছর। আব্বুকে নিয়ে অনেক কথাই মনে পড়ছে। আব্বু-আম্মুর বিয়ে হয় ১৯৭৮ সালে। ওই বছরটি আব্বুর সৌভাগ্যের বছর ছিল। কারণ, ওই বছর থেকেই পরপর তিন বছর জাতীয় পুরস্কার পান আব্বু। আমি বাসায় জাতীয় পুরস্কার দেখেই বড় হয়েছি। বিষয়টি খুব সাধারণ ছিল। বাসায় যখন আব্বু একটি গান তৈরি করছেন, দেখা যেত ক্যাসেট প্লেয়ারে সারা দিন সে গানটা বাজত। আমাদের পরিবারের সবাইকে তিনি শোনাতেন। নানা প্রতিক্রিয়া নিতেন সেখান থেকে। যখন খুব ছোট ছিলাম, অনেক সময় রেকর্ডিং স্টুডিওতে যেতাম। বাসায় অনেক বিখ্যাত মানুষ আসছেন। গানের জলসা বসত। আব্বু খাওয়া-দাওয়া পছন্দ করতেন। সারা ঘর মাতিয়ে রাখতেন। এ বিষয়টি এখন মিস করছি। আমার চোখের সামনে অনেক সুন্দর সুন্দর গান তৈরি হয়েছে। তাঁর আশি ও নব্বই দশকের গান শুনলে স্মৃতিকাতর হয়ে যাই। এ গানগুলো অনেক বছর বেঁচে থাকবে। আমি অনেক সৌভাগ্যবান। স্বর্ণযুগে তাঁকে অনেক কাছ থেকে পেয়েছি। আব্বুর কাছে আমি গানের তালিম করার সুযোগ কম পেতাম। কারণ, ওই সময় তিনি অনেক ব্যস্ত থাকতেন। কলকাতায় আসা-যাওয়া করতেন। কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে সরাসরি শ্রুতি স্টুডিওতে ঢুকে যেতেন। কিন্তু তার মধ্যেও আব্বুর কাছে কিবোর্ডের বিভিন্ন কর্ড ধরা শিখতাম। আব্বু চাইতেন, আমি সংগীতে অনেক বেশি সময় দিই। মিউজিক নিয়ে বেশি ভয়ে থাকতাম। যে জন্য সবাই আমাকে বকা দিতেন।

আব্বু সংগীতে এত কিছু দিয়ে গেছেন, যখনই আমি কোনো কাজ করতে যাই সবাই আমার কাছে অনেক প্রত্যাশা করেন। যে জন্য আমি অনেক চিন্তাভাবনা করে কাজ করি। যখন আমি কথা বলা শুরু করি, তখন ‘বন্ধু তিন দিন’ গানটি করেছি। এটি আমার প্রথম শেখা গান। আমার প্রথম ও দ্বিতীয় অ্যালবামের গান আব্বু করে দিয়েছিলেন।  আব্বুর সৃষ্টি অন্য সবার চেয়ে আলাদা ছিল।

সর্বশেষ খবর