শিরোনাম
২০ জুলাই, ২০২২ ১২:৪৩

নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমিতে অলকানন্দা ফুলের রূপে মুগ্ধ সবাই

আবদুল বারী, নীলফামারী

নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমিতে অলকানন্দা ফুলের রূপে মুগ্ধ সবাই

সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা এই দেশ ফুলের দেশ, ধানের দেশ, কবির দেশ, ছবির দেশ, আমাদের এই বাংলাদেশ। এক-একটি ঋতুতে প্রকৃতি যেন নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়। তাই ছয়টি ঋতুতেই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে দেখতে পাই বিচিত্র ফুলের সমারোহ। আমাদের দেশে বিভিন্ন ফুল দেখা যায়। ফুলের বিভিন্ন আকার এবং বিচিত্র রঙে এদেশের প্রকৃতি সমৃদ্ধ। সাদা, লাল, রক্তিম, হলুদ, গোলাপী প্রভৃতি বর্ণের ফুলে প্রজাপ্রতি উড়ে উড়ে বসে। কিছু কিছু ফুলের কোনও গন্ধ নেই। শুধু আছে রঙের সমাহার।

নীলফামারী জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে রয়েছে তেমনি এক ফুলের সমারোহ। এর মধ্যে সবুজ পাতার মাঝে অলকানন্দা ফুলের হলুদ রূপে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। যদিও অলকানন্দা ফুলের গন্ধ নেই তবুও গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে ফুটে থাকা হলুদ রঙের অলকানন্দায় সৌন্দর্যের কোনও কমতি নেই।

এই ফুলগুলো গাঢ় হলুদ রঙের পাঁচটি পাপড়ি বিশিষ্ট। লতানো সবুজ পাতার নান্দনিক গঠনের কারণে সহজেই নজর কারে প্রকৃতি প্রেমীদের। গাছটি লতানো হওয়ার ফলে কোনও শক্ত খুটি, দেয়াল অথবা বারান্দার রেলিংয়ে দিলে সবচেয়ে ভাল হয়। শীতকালে গাছের সমস্ত পাতা ঝরে যায় ও বসন্তের শেষ ভাগে গাছে নতুন পাতা গজায় এবং ফুলের কলির আগমন ঘটে। এই ফুলটি মূলত বসন্ত ও গ্রীষ্মকালীন ফুল। তবে বর্ষার সময়ও ফুটতে দেখা যায়। ফুলটি প্রায় দু’ সপ্তাহ খানেক সতেজ থাকে। এই গাছটি বিশ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার কে এম আরিফুজ্জামান বলেন, ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। তাই এখানে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য অলকানন্দাসহ বিভিন্ন ফুলের চারা রোপন করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর