৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:৫১

ফাইভ-জি’কে টু-জি, থ্রি-জির মতো মনে করবেন না : মোস্তাফা জব্বার

গাজীপুর প্রতিনিধি

ফাইভ-জি’কে টু-জি, থ্রি-জির মতো মনে করবেন না : মোস্তাফা জব্বার

আলোচনা সভায় বক্তব্য শেষে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন মন্ত্রী

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘আমরা আগামী ১২ ডিসেম্বর ফাইভ-জি’র যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। অথচ পৃথিবীর ৬-৭টি দেশের বেশি কোনো দেশ এখনো ফাইভ-জি’তে প্রবেশ করেনি। এর মধ্য দিয়ে ২০২৩ সালের ভেতরে ফাইভ জি প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। ফাইভ-জি’র যুগে প্রবেশের বিষয়টি ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়। আপনারা ফাইভ-জি’কে টু-জি, থ্রি-জি’র মতো আরও একটি মোবাইলের প্রযুক্তি মনে করবেন না। আগামী দিনের বিশ্বকে বদলে দেওয়ার একটি প্রযুক্তি হচ্ছে ফাইভ-জি।’

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরে সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পেছনে পড়া একটি দেশ। এই প্রথম পৃথিবীর সর্বাগ্রে যে দেশগুলো প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ স্থায়ী আসন গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এটাকে নেতিবাচকভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই, এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখতে হবে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ফাইভ-জি কতোটা জরুরি, আমি নিশ্চিত ২০২৩ সালের মধ্যে আপনারা প্রত্যেকে তা উপলব্ধি করতে পারবেন।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমি গর্বিত যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ফাইভ-জি’র মহাসড়ক তৈরি করে বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল কানেকটিভিটির সুবর্ণযুগের সূচনা করছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে আমরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ প্রযুক্তির একটা দেশে রূপান্তর করতে যাচ্ছি। এটি আমাদের গর্বের বিষয়। ফাইভ জি চালু হলে আপনি যেখানে বা যতো দূরেই থাকেন, সেখানে বসে তা ব্যবহার করে ঘরের লাইট, ফ্যান, এসি ও কৃষি ক্ষেত্রে পানির পাম্প চালু বা বন্ধ এমনকি জমিতে সেচের প্রয়োজন হলে তা বলে দেওয়াসহ সকল কাজ করতে পারবেন। এ ছাড়া রোবটের মাধ্যমে ঘরের কাজসহ মিল-কারখানা বা জমির কাজ রোবটের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে। আর এসবের কেন্দ্রবিন্দু হবে ফাইভ-জি।’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘২০২৩ সালের মধ্যে দেশে এমন কোনো ইউনিয়ন বাকি থাকবে না যেখানে দ্রুতগতির কানেকটিভিটি পৌঁছাবে না। আমি এ নিশ্চয়তা দিতে পারি। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার জন্য অবকাঠামোগত যে অগ্রগতি হওয়ার দরকার তার পরিপূর্ণ আকৃতির ওপর এখন দাঁড়িয়ে আছে। আপনারা হয়তো বিস্মিত হবেন, যে বাংলাদেশে আমাদের জন্য অবকাঠামো তৈরি করা বড় চ্যালেঞ্জ, সেই বাংলাদেশে মাত্র ১৬০টি ইউনিয়ন ছাড়া বাকি সব ইউনিয়নে আমরা কানেক্টিভিটি পৌঁছে দিচ্ছি। সবগুলোর মধ্যে কেবলমাত্র ২-৩শ’ ইউনিয়নে কানেক্টিভিটির কাজ চলছে। যেগুলো আমরা ২০২২ সালের মধ্যে সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো। যে ১৬০টিতে কানেকশন দিতে পারছি না সেগুলোতে আমরা স্যাটেলাইট ব্যবহার করব।’

বিএসসিএল’র চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব মো. কামরুজ্জামান, বিসিএসএল’র মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন, গাজীপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র।

পরে মন্ত্রী মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন। গাজীপুরের ২৫টি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত চারটি ক্যাটাগরিতে ১০১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর