সেকায়েপ প্রকল্পের অধীন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার অতিরিক্ত শ্রেণী শিক্ষককে (এসিটি) রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছে এ প্রকল্পের অধীন নিয়োগপ্রাপ্তরা। রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্তি বিলম্বিত হলে এমপিওভুক্তি অথবা অন্য প্রকল্পে স্থানান্তরের দাবি জানান তারা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ এসিটি এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। এর আগে সোমবারও প্রেসক্লাবের সামনে একই দাবিতে কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সকাল সাড়ে ১০টায় তিন শতাধিক এসিটি শিক্ষক প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে এসিটি শিক্ষকরা পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনা, পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে অভিভাবকদের সমম্বয় সভা, অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা, বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন বন্ধসহ নানা ধরনের ইতিবাচক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল এসিটি শিক্ষকরা। গত ৩১ ডিসেম্বর সেকায়েপ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে সেকায়েপ এই অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালিয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়।
সেকায়েপভুক্ত এসিটিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী। শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া ও কোচিং বাণিজ্যে প্রবনতা রোধ করতে এসে এসিটি প্রায় সাড়ে ৫ হাজার তরুণ মেধাবী ঝড়ে পড়ার আশংকায়। প্রায় ৯ মাস ধরে বিনা বেতনে পাঠদান করে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে এই এসিটি শিক্ষকরা। অভিজ্ঞ ও মেধাবী অতিরিক্ত এসব শ্রেণি শিক্ষকদের (এসিটি) চাকরি স্থায়ীকরণ করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান তারা।
বাংলাদেশ এসিটি এসোসিয়েশনের সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন হোসেনসহ অন্যরা অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন।
বিডি প্রতিদিন/৯ অক্টোবর ২০১৮/হিমেল