শিরোপা ধরে রাখার পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবলে টানা দুই ম্যাচ জিতে শীর্ষে রয়েছে স্বাগতিকরা। আজ ভুটানকে হারালে প্রথম পর্বে সবার ওপরে থাকবেন আফঈদা খন্দকাররা। বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় দিনের প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। আরেক ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে নেপাল। শক্তির বিচারে ভুটান দুর্বল হলেও বাংলাদেশ সতর্ক হয়ে লড়বে। দুই জয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। পয়েন্ট হারালে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। চার দলের ডাবল রাউন্ড পদ্ধতির লড়াইয়ে আজই শেষ ম্যাচ। ১৭ জুলাই ডাবল রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষেই লড়বে বাংলাদেশ। ২১ জুলাই নেপালের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ।
বাংলাদেশ যদি নেপাল লড়াইয়ে আগে তিন ম্যাচ জিততে পারে তাহলে শিরোপা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে। নেপালের কাছে হারলেও গোল বেশি হলে ট্রফি থেকে যাবে ঢাকাতেই। সে ক্ষেত্রে গোলের গুরুত্ব অনেক। বাংলাদেশ ও নেপাল যদি সমান পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করে তাহলেও চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ। তখন হেড টু হেড অর্থাৎ প্রথম রাউন্ডে নেপালকে হারানোর সুবাদে কপাল খুলে যাবে আফঈদাদের। ভুটানও টিকে আছে শিরোপার লড়াইয়ে। দুই ম্যাচ খেলে তারাও নেপালের সমান তিন পয়েন্ট অ্যাকাউন্টে জমা রেখেছে। গোল ব্যবধানে এগিয়ে নেপাল আছে দ্বিতীয় স্থানে।
আগের আসরে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ভারত এবার খেলছে না। বাংলাদেশ এবার এককভাবে শিরোপা জিততে পারে খেলার চিত্রই তা বলে দিচ্ছে। বিশেষ করে শেষ মুহূর্তে নেপালের বিপক্ষে তৃষ্ণার জয়সূচক গোলটি বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দিয়েছে। যদি ম্যাচ ড্র হতো তখন চ্যালেঞ্জটা আরও বেড়ে যেত। যেটাই হোক বাংলাদেশকে আজ ভুটানেরও বিপক্ষে জিততেই হবে। ভুটানের মেয়েরা প্রথম ম্যাচে নেপালের কাছে ১-৬ গোলে হেরেছিল। সেজন্য অনেকে ভাবছেন শুধু জয় নয়, গোল উৎসবেও মাতবে স্বাগতিকরা। বাস্তবে কি তাই হবে? ম্যাচে বাংলাদেশ ফেবারিট হলেও কি যে করে তা নিশ্চিত বলা যায় না। অনেক সময় আবার দুর্বলরাও বড়দের কাঁদাতে পারে। তা ভেবেই লড়বে বাংলাদেশ। যদি হালকা চোখে দেখে বিপদও ঘটতে পারে। তা ছাড়া সাগরিকাকে ছাড়া খেলতে হবে। সব কিছু মাথায় রেখেই খেলতে হবে বাটলারের মেয়েদের।