হকিতে মেয়েদের দল গড়াটায় কঠিন ছিল। কোনো টুর্নামেন্ট করবে মেয়ে খুঁজে পাওয়া যেত না। আসলে ক্রিকেট ও ফুটবলের প্রতি আগ্রহটা থাকলেও হকিতে তা ছিল না। কোনো রকম টুর্নামেন্ট নামালেও দেখা যেত মেয়েরা ঠিকমতো স্ট্রিক চালাতে পারছে না। কেউ কেউ বলত মেয়েরা খেললেও তা ঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। ভাবা যায় মেয়েরা এখন আন্তর্জাতিক আসরে খেলছে এবং নজরও কেড়েছে। এবার অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের নারী দল প্রথমবার অংশ নেয়। অভিষেক আসরে মেয়েরা ফাইনাল খেলবে তা কেউ আশাও করেননি। তবে যে ফল এসেছে তাতে অবাক করেছে।
অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়ান কাপে তৃতীয় হয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা তামার পদক জিতেছে। একই আসরে ছেলেরা খেলেছে। তারা পারেনি। মেয়েরা তৃতীয় হয়ে সবার মন জয় করেছে। এমন সাফল্যে প্রমাণ মেলে মেয়েদের প্রতি নজর দিলে ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে পারবে। হকি ফেডারেশনের দায়িত্ব বেড়ে গেল। এটা ঠিক মেয়েরা আগেও খেলেছে কিন্তু এবারের মতো সাড়া পড়েনি। ফেডারেশন কি পারবে আলাদা নজর দিতে। অতীতে ফেডারেশন চেয়েছিল পর্যাপ্ত অনুশীলন ও সুযোগসুবিধা দিয়ে নারী দলকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে। নানা প্রতিকূলতায় তা সম্ভব হয়নি। এবার তো নাকি কোনো সমস্যা নেই। নেই কোনো দ্বন্দ্ব। অ্যাডহক কমিটির এগিয়ে যেতে বাধা নেই। তাহলে তারা মেয়েদের নিয়ে অগ্রগতির কাজটা শুরু করুক। ভয় হয় বাস্তবে তা রূপ দেবে কি না। কেননা পুরুষ হকিই তো অচল অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানে নারীদের নিয়ে ভাববার সময় কই?