বাংলাদেশে এসে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরই যেন বদলে গেছে নিউজিল্যান্ড। আগের সিরিজে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দাপুটে পারফরম্যান্সের পর চলতি সিরিজে বেকায়দায় ফেলেছে ভারতকে। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। আজ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে অকল্যান্ডে জিতলেই সিরিজ হাতের মুঠোয় চলে আসবে। ২০০৩ সালের পর দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজে ভারতকে হারাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।
এদিকে ভারতের জন্য আজকের ম্যাচটি 'ডু অর ডাই'। জিতলে সিরিজের আশা জিইয়ে থাকবে। হারলেই সব শেষ। দক্ষিণ আফ্রিকায় স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে সিরিজ হারার পরই যেন ওয়ানডেতে স্বরূপে ফিরতে পারছে না ভারত। বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও তারা নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ধুঁকছে। আজ তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি মনে করেন দুই ম্যাচ হারার পরও অকল্যান্ডে এগিয়ে থাকবে ভারতই। তবে সতীর্থদের সতর্কভাবে খেলার কথা বলেছেন। ধোনি বলেন, 'এর আগেও আমরা অনেক সিরিজে এমন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আশা করছি, এই ম্যাচ থেকেই আমরা নতুন করে শুরু করব। তাছাড়া এটাই আমাদের শেষ সুযোগ। সবাইকে ম্যাচে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে হবে।'
গত ম্যাচে পরাজিত হয়ে একটা বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে ভারত। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান থেকে নামতে হয়েছে তাদের। ওয়ানডের এক নম্বর জায়গাটি দখল করেছে অস্ট্রেলিয়া। তাই শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করতে হলে সিরিজের শেষের সব কটি ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই।
নিউজিল্যান্ড তাদের ঘরের মাঠে পছন্দ মতো ফাঁদ পেতে রেখেছে। যে কোনো মূল্য তারা ভারতকে বধ করতে চাইবে আজ। তাছাড়া খেলা হবে বাউন্সি উইকেটে। তাই ভারতের জন্য এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোটা চ্যালেঞ্জিংই বটে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর কিউইরা তাদের উইকেটগুলো তৈরি করেছিল উপমহাদেশের আদলে। আগের সিরিজে তার ফলটাও পেয়েছে হাতেনাতে। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে তারা কৌশল হিসেবে পেস সহায়ক বাউন্সি উইকেটই বেছে নিয়েছে। কিউই পেসার টিম সাউদি বলেন, 'এমন উইকেটে পেসাররা অনেকটা সুবিধা পাবে। এখানে বল অনেক বাউন্স করবে। তবে আমার টার্গেট বিরাট কোহলিকে দ্রুত আউট করা। আমার বিশ্বাস, আমি সফল হব।' সাউদির মতো কিউই অধিনায়ক ম্যাককালামও মনে করেন ভারতের ব্যাটিংয়ের টপ অর্ডারকে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে পারলেই ম্যাচ হাতে চলে আসবে।