চতুর্থর্ ইনিংসে ৪০০-এর ওপর রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার রেকর্ডই সাকুল্যে চারটি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান ধাওয়া করে ম্যাচ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রতিপক্ষ ছিল ভয়ঙ্কর অস্ট্রেলিয়া। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অবিশ্বাস্য কাজটি করতে হলে কল্পনাতীত ক্রিকেট খেলতে হবে বাংলাদেশকে। কেননা টার্গেট ৪৬৭ রান। যদিও আজ পঞ্চম ও শেষ দিন লাগবে ৪৫৫ রান টাইগারদের। হাতে রয়েছে ১০টি উইকেট। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, তারপরও স্বপ্ন দেখা অসম্ভব মনে করছেন দুই বছর পর টেস্টে ফিরে সেঞ্চুরির দেখা ইমরুল কায়েস। তাই আজ সেশন বাই সেশন খেলে ম্যাচ ড্রয়ের লক্ষ্য_ জানালেন এই বাঁ হাতি। ৪৬৬ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে বিনা উইকেটে ১২ রান তুলে দিন পার করেছে টাইগাররা। আজ ৯০ ওভারে করতে হবে আরও ৪৫৪ রান। এটা কি সম্ভব? ইমরুল সপাটে ব্যাট চালিয়ে প্রশ্নটিকে মাঠের বাইরে না ফেলে কূটনীতির ভাষায় বললেন, 'আমার মনে হয় কাল (আজ) আমরা যদি লাঞ্চ পর্যন্ত কোনো উইকেট না হারিয়ে ব্যাটিং করতে পারি, তাহলে সহজেই ম্যাচ ড্র করতে পারব। যদি টার্গেটের দিকে এগোতে থাকি, সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে না। ৪৫০ রান চেজ করা এই উইকেটে একটু কঠিনই। তাই আমাদের উচিত ড্রয়ের জন্য খেলা।'
টার্গেট ড্র। তাই রয়েছে পরিকল্পনাও। সেই পরিকল্পনা সেশন বাই সেশন খেলা। তেমনটিই জানালেন মিডিয়ার মুখোমুখিতে ইমরুল, 'আগামীকাল (আজ) আমাদের পরিকল্পনা থাকবে সেশন বাই সেশন ব্যাটিং করা। যদি শুরুতে উইকেট পড়ে যায়, তাহলে পরিকল্পনা হবে অন্যরকম। তখন কোচ আমাদের মেসেজ দেবে। পরিকল্পনার প্রথম অংশ হচ্ছে, লাঞ্চ পর্যন্ত তামিম ও শামসুরের ব্যাটিং করা। তাদের সেটা জানানোও হয়েছে।' প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ খেলেছে ১১৯.৫ ওভার। সেঞ্চুরি ছিল দুটি। ওভার প্রতি স্ট্রাইক রেট ৩.৫৬। এখন হরহামেশাই স্ট্রাইক রেট থাকছে চারের ওপর। তারপরও লঙ্কান স্ট্রাইক বোলার অজন্থা মেন্ডিস বলেছিলেন, বেশি স্ট্রোক খেলেই আউট হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এর ব্যাখ্যায় ইমরুল বলেন, 'বোলার বাজে বল করলে ব্যাটসম্যান স্ট্রোক খেলে। হ্যাঁ, আমরা একটু রিস্কি শটস খেলি। আশা করছি কাল (আজ) এটা হবে না। আমরা এখন এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে, যেখান থেকে ম্যাচ
ড্র করতে পারি।'