লিন্ডা হ্যামিলটন এবং টনি সান্নেহ ২০১০ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া দূত হিসেবে। তিন বছর পর লিন্ডা ও টনি গত ৩ ফেব্রুয়ারি আমেরিকান পররাষ্ট্র দফতরের স্পোর্টস ইউনাইটেড কর্মসূচি নিয়ে আবারও বাংলাদেশে পা রাখেন। এবার বেশকিছু কর্মশালা পরিচালনা করেন তারা। গতকাল কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী এবং জাতীয় দলের কয়েকজন খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণে দুটি প্রদর্শনী ম্যাচ দিয়ে লিন্ডা ও টনি তাদের সফর শেষ করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডবি্লউ মোজেনা।
দুই ক্রীড়া দূত নিজেদের অর্জিত অভিজ্ঞতা কর্মশালার মাধ্যমে এখানকার ফুটবলারদের সঙ্গে ভাগ করেছেন। বাংলাদেশের ১৬-২১ বয়সের নারী ও ১৩-১৬ বয়সের পুরুষ ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। এই সংক্ষিপ্ত সফর খুব বেশি ফলদায়ক না হলেও দলের সঙ্গে যুক্ত কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেন 'এটা যদি কোচিং-এর দৃষ্টিতে দেখি, তবে এই সংক্ষিপ্ত সময়ে আসলে তেমন ভালো ফল পাওয়া সম্ভব নয়। এই সফরকে দুই দেশের বন্ধুত্ব বাড়ানো বা সম্পর্ক উন্নয়নের সেতু বন্ধন হিসেবেই দেখতে হবে।' তিনি আরও বলেন, 'সংক্ষিপ্ত সময়ে কোনো কোচিংয়েই ফুটবলের সবকিছু শেখানো সম্ভব নয়। ফুটবল একটি চলমান প্রক্রিয়া_ যা অধ্যবসায়ের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। ভালো ফুটবলার হতে হলে প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত ৫০ মিনিট চর্চা করতে হবে।'