সিরিজে এগিয়ে যেতে পঞ্চম দিন ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪টি উইকেট। আর ইনিংস হার এড়াতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১৮৮ রান। কাজে এলো না ১০ উইকেটে কেশব মহারাজ-ডেন প্যাটারসনের ৯৯ রানের পার্টনারশিপ। ঘরের মাঠে তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইনিংস হার এড়াতে ব্যর্থ প্রোটিয়ারা। উল্টো দিকে ইনিংস ও ৫৩ রানে হারিয়ে চার টেস্টের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংরেজরা।
বেন স্টোকস ও ওলি পোপের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে পোর্ট এলিজাবেথে প্রথম ইনিংসে ৪৯৯ রান তোলে ইংল্যান্ড। জবাবে প্রথম ইনিংসে ২০৯ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২৯০ রানে এগিয়ে থেকে প্রোটিয়াদের ফলো-অন করতে পাঠান ইংরেজ অধিনায়ক জো-রুট।
প্রথম ইনিংসে ডমিনিক বেসের ৫ উইকেটের পর চতুর্থ দিন বল হাতে ভেলকি দেখান ইংরেজ অধিনায়ক স্বয়ং। তার ৪ উইকেটের সৌজন্যে চতুর্থ দিনই ম্যাচ কার্যত পকেটে পুড়ে নেয় থ্রি-লায়ন্সরা।
চতুর্থ দিন ৬ উইকেটে ১০২ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস। অর্থাৎ, পঞ্চম দিন ইংল্যান্ডের জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। স্কোর বোর্ডে কোনও রান যোগ না করেই দিনের শুরুতে ফিরে যান গতকালের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ভার্নন ফিলান্ডার।
প্রোটিয়াদের অষ্টম উইকেটের পতন হয় দলীয় ১২৮ রানে। ব্যক্তিগত ১৬ রানে ফিরে যান কাগিসো রাবাদা। এরপর ৫ রানে ফেরেন অ্যানরিচ নর্তজে। ১৩৮ রানে ৯ম উইকেটের পতনের পর ইনিংস হার এড়াতে দশম উইকেটের জুটিতে মরণ কামড় দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছিল অনেকটাই বেশি। তাই অন্তিম উইকেটে কেশব মহারাজ-ডেন প্যাটারসনের জুটিতে ৯৯ রান উঠলেও তা ইনিংস হার এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৭১ রানে কেশব মহারাজ রান আউট হয়ে ফিরতেই ইনিংস ও ৫৩ রানে জয় নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের। একই সঙ্গে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১৩৫ রানের সুবাদে ম্যাচের সেরা ইংরেজ ব্যাটসম্যান ওলি পোপ।
প্রথম টেস্টে হারের পর টানা দুই ম্যাচে জয় সিরিজে এগিয়ে দিল রুটের দলকে। এমন অবস্থা থেকে সিরিজ কোনও মতেই হারবে না ইংল্যান্ড। ২৪ জানুয়ারি সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে জোহান্সবার্গে শেষ টেস্টে প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হবে তারা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত