অ্যান্ডারসনের ফিলিপের বলটি ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে শর্ট অব লেংথ। দুহাত বাড়িয়ে আমন্ত্রণ যেন শট খেলার জন্য। তামিম ইকবাল তাতে সাড়া দিয়ে বল পাঠিয়ে দিলে গ্যালারিতে। ওই শটে তার পূর্ণ হলো ১০০। নাহ, তার রানসংখ্যা ১০০ হয়নি, বরং তার ছক্কা হয়েছে ১০০টি। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে ছক্কার প্রথম সেঞ্চুরিয়ান তিনি।
বেশ কিছুদিন ধরেই এই মাইলফলকের দুয়ারে কড়া নাড়ছিলেন তামিম। গায়ানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রবিবার (১০ জুলাই) শততম ছক্কাটি মারেন তামিম। ক্যারিয়ারের প্রথম ছক্কা মেরেছিলেন তিনি দ্বিতীয় ওয়ানডেতে, ২০০৭ সালে। ১৫ বছর পর তার ১০০ ছক্কা হলো ২২৪ ইনিংস খেলে।
বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা মুশফিকুর রহিমের। ২১৮ ইনিংস খেলে তার ছক্কা ৮৫টি। ১৮০ ইনিংসে ৭১ ছক্কা নিয়ে তৃতীয় মাহমুদউল্লাহ। রেকর্ডে পরের নামটি কোনো ব্যাটসম্যানের নয়। তবে তার ব্যাটে দারুণ সব ছক্কা দেখা গেছে ক্যারিয়ার জুড়ে। ১৫৬ ইনিংসে ৬২ ছক্কা নিয়ে চারে মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ছক্কার ফিফটি নেই বাংলাদেশের আর কারও। ৮৫ ইনিংসে ৪৯ ছক্কা নিয়ে পাঁচে আছেন এক সময়ের বিনোদনদায়ী ব্যাটসম্যান আফতাব আহমেদ। সাকিব আল হাসানের ছক্কা ২০৯ ইনিংসে ৪৬টি।
ছক্কার বিশ্বরেকর্ডের ধারেকাছে অবশ্য নেই বাংলাদেশ। ৩৬৯ ইনিংসে ৩৫১ ছক্কায় সবার ওপরে শহিদ আফ্রিদি। ২৯৪ ইনিংসে ক্রিস গেইলের ছক্কা ৩৩১টি। তিনশ ছক্কা নেই আর কারও।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন সংস্করণ মিলিয়েও বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কা তামিমের, ১৮৪টি। মাহমুদউল্লাহ এখানে দুইয়ে ১৫৮ ছক্কায়, মুশফিকের ছক্কা ১৫৩টি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১০০ ছক্কা আছে আর কেবল সাকিব আল হাসান (১০৯) ও মাশরাফির (১০৭)।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ