টানা ১১ দিনের আন্দোলনের মাথায় বরিশাল বিশ্বাবদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে রুদ্ধদ্বার আলোচনায় বসেছেন সরকারের প্রতিমন্ত্রী, সিটি মেয়রসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বরিশাল সার্কিট হাউজের হলরুমে এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ সদস্যর শিক্ষার্থী দল অংশগ্রহণ করেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কমিটির সদস্য ও বিভাগীয় কমিশনার এই বৈঠকের আহ্বান করেন।
বরিশাল সদর আসনের এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী (কর্নেল) জাহিদ ফারুক শামীম, সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস, বিএমপি কমিশনার মোশারফ হোসেন, জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. হাসিনুর রহমান ছাড়াও ১২ সদস্যের শিক্ষক প্রতিনিধি দল এবং ৩ সদস্যর সুশীল সমাজ নেতৃবৃন্দ এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। সভার শুরুতে গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত থাকলেও এক পর্যায়ে তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নেতা লোকমান হোসেন জানান, তারা উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। প্রশাসনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমঝোতা সভায় উপস্থিত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. হাসিনুর রহমান জানান, প্রশাসন সভা আহ্বান করায় তারা সেখানে হাজির হয়েছেন।
গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদ করলে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের কটূক্তি করেন। এই কটূক্তির প্রতিবাদ ও প্রত্যাহারসহ ১০ দফা দাবিতে ২৭ মার্চ থেকে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গত ২৯ মার্চ উপাচার্য তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এতে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট না হওয়ায় তার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
এদিকে শিক্ষার্থী আন্দোলনের মুখে গত ২৮ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
গত কয়েক দিনের ধারাবাহিক আন্দোলনে তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচি, প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রতিবাদী আলপনা আঁকা, রক্ত দিয়ে দেয়াল লিখন, মশাল মিছিল, মহাসড়ক অবরোধ এবং প্রতীকি অনশন করেন। এমন অবস্থায় প্রশাসন এই সমঝোতা সভার আয়োজন করে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল