মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, করোনা সংক্রমণ রোধে আমাদের জনসমাগম থেকে দূরে থাকেতে হবে। এজন্য ডিজিটাল ব্যবস্থাকে রপ্ত করতে হবে এবং সেটা কাজে লাগাতে হবে। সমগ্র বাংলাদেশ ডিজিটাল ব্যবস্থায় এগিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষও এখন ডিজিটাল ব্যবস্থায় যুক্ত হতে পারছে। এ বাস্তবতায় বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ডিজিটাল হাট সময়োপযোগী উদ্যোগ।
তিনি বলেন, এ বছর মোট কেরবানির পশুর ২৫ শতাংশ ডিজিটাল ব্যবস্থায় বিপণনে আমাদের লক্ষ্য রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ১১৬ কোটি টাকা মূল্যের ১ লাখ ৫৭ হাজার গবাদিপশু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিক্রয় হয়েছে। এটি খুবই আশাব্যঞ্জক।
মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন (ই-ক্যাব)-এর যৌথ উদ্যোগে এবং এটুআই এর কারিগরি সহায়তায় আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে কোরবানির এ অনলাইন হাট উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ এবং এটুআই-এর প্রকল্প প্ররিচালক ড. আব্দুল মান্নান। এটুআই এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী সকল জেলা-উপজেলার কোরবানির পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের একই প্ল্যাটফর্মে আনার লক্ষ্য নিয়ে দেশব্যাপী ডিজিটাল হাট চালু করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে এবং এটুআই এর কারিগরি সহায়তায় এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর আওতায় www.digitalhaat.net প্ল্যাটফর্মে সারাদেশের ২৪১টি ডিজিটাল হাট যুক্ত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত