শিরোনাম
প্রকাশ: ১৬:০৩, মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

ওরা কেন বাঙালির বক্ষবিদীর্ণ করতে ১৫ আগস্টকে বেছে নিল?

ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার
অনলাইন ভার্সন
ওরা কেন বাঙালির বক্ষবিদীর্ণ করতে ১৫ আগস্টকে বেছে নিল?

প্রতিটি মানুষেরই জীবনদর্শন ও লক্ষ্য থাকে, থাকে দর্শনের মূলে মহৎ ব্যক্তিবর্গের অনুসরণীয় প্রেরণা- এই প্রেরণার অফুরান শক্তি সঞ্চারিত হয় পরিবার পরিজন কিংবা সমাজের অনুকরণীয় ব্যক্তিবর্গের নিকট থেকে। আবার ক্ষণজন্মা আলোর দিশারী মহামানবকে সৃষ্টিকর্তা যেন অমিয় সত্তাসমৃদ্ধ জীবনদর্শন আর মহত্ত্বের উৎসাধারে পূর্ণ করেই এই পৃথিবীতে পাঠান- যারা অমোঘ এই সম্পদকে পরিবারের শিক্ষা ও সমাজের অনুস্মরণীয় দৃষ্টান্তের সমন্বয়ে সৃষ্টিসুখের উল্লাসে, মানবের কল্যাণে কাজ করেন। 

মানবতার দূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকেই পিতা-মাতার উজ্জ্বল মানবীয় গুণাবলী ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন। পিতার চাওয়া ছিল পুত্র যেন ন্যায় ও সত্যের পথে থেকে আলোকিত মানুষ হয়ে সমাজে-দেশে বলিষ্ঠ অবদান রাখতে পারে- তাইতো সেই ছোটবেলা থেকেই শেখ মুজিব অধিকারবোধ জাগ্রতকরণের রাজনীতির পক্ষে ও গোঁড়ামি-বিভেদের বিপক্ষে অবস্থান নেন। এ বিষয়ে অনেক উজ্জ্বল প্রমাণ আমাদের সকলেরই জানা। পিতা শেখ লুৎফর রহমান জানতেন তার পুত্র কখনই কোনো অন্যায়ের সাথে আপোস করতে পারে না- এ কারণে পিতা বঙ্গবন্ধুর কোনো কাজে বাধা দেননি, কোনো কাজের বিরোধিতা করেননি। তিনি শুধুই বলেছেন সততা থাকলে জীবনে জয় অনিবার্য। তাইতো বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে পিতার সম্পর্কে বলেছেন, ‘বাবা রাজনীতি কর আপত্তি করবো না, পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করছ এ তো সুখের কথা, তবে লেখাপড়া করতে ভুলিও না। লেখাপড়া না শিখলে মানুষ হতে পারবে না। আর একটা কথা মনে রেখ, `Sincerity of purpose and honesty of purpose থাকলে জীবনে পরাজিত হবা না। একথা কোনোদিন আমি ভুলি নাই।’

পিতার এই নিদের্শনা বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। আদর্শই তাকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকলের প্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করে- শুধু বাংলাদেশই নয়, সমস্ত বিশ্বের বঞ্চিত-শোষিত-নিপীড়িতের অতি আপনজন হয়ে ওঠেন। পাকিস্তানের ২৩ বছরের সংগ্রামে তিনি ১৪ বছর কারা অভ্যন্তরে কাটিয়ে, অমানসিক নির্যাতন সহ্য করে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠলেন। বাংলার মানুষের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির একমাত্র অবলম্বন হয়ে আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র উপহার দিলেন। তার এই অবিনশ্বর সৃষ্টির মধ্যদিয়েই তিনি হলেন বাঙালি জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব তাকে হিমালয়সম উচ্চতায় আসীন করে। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘I have not seen the Himalayas. But I have seen Sheikh Mujib.’ 

ধর্ম-বর্ণ, জাত-পাতের ঊর্ধ্বে সকল মানুষকে মন প্রাণ উজাড় করে, নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসাই ছিল বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রাদয়িক মানসিকতা ও মানবতার বড় দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধু লক্ষ্য করেছিলেন যে, ধর্ম এদেশের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের কারণ হতে পারে এবং মুষ্টিমেয় কিছু লোক ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে হিন্দু-মুসলিমকে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে বিভক্ত ও শত্রুতে পরিণত করতে চাইছে। এ ব্যাপারে তিনি সবসময় তৎপর ছিলেন যাতে কেউ সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘জনগণকে, ইসলাম ও মুসলমানের নামে স্লোগান দিয়ে ধোঁকা দেওয়া যায় না। ধর্মপ্রাণ বাঙালি মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে; কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না এ ধারণা অনেকেরই হয়েছিল। জনসাধারণ চায় শোষণহীন সমাজ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি।’  

বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কাজে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে মনোনিবেশ করেন এবং বর্ণনাতীত নির্যাতন উপেক্ষা করে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে সঠিক নির্দেশনা দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিকে বিজয় উপহার দিলেন। অতপর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বীর বেশে দেশে ফিরে রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন। 

তিনি বললেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই যে, বাংলাদেশ একটি রাষ্ট্র হবে, রাষ্ট্রের স্তম্ভ কোনো ধর্মীয় কাঠামো দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হবে না। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি।’ সে অনুযায়ী স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য প্রণীত প্রথম সংবিধানে দেশের জাতীয় মূলনীতি স্বরূপ জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতাকেও যুক্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। 

মুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা এই রাষ্ট্রের কারো নাই; হিন্দুরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কারো নাই। বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম পালন করবে, খ্রিস্টানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের কেউ বাধা দিতে পারবে না।’ ‘পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।’ সুতরাং ধর্মীয় ভেদাভেদের পথও বন্ধ হলো- এতে করে এক শ্রেণির লোক মনে মনে অসন্তুষ্ট হয়। 

অধিকার আদায়ে সোচ্চার বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তান সৃষ্টিতে সম্মুখভাগে ছিলেন তখন তাদের কোনো অসুবিধাবোধ হয়নি। কারণ সাধের পাকিস্তান তৈরির সময় ঐ শ্রেণি ভেবেছিল তারা অন্তত একটি ধর্মীয় ভিত্তির দেশ পেতে চলেছে এবং বঙ্গবন্ধু যেহেতু সেই কাজটি করছে তাতে কোন ক্ষতি নেই। ব্রিটিশ ইন্ডিয়াতে ইংরেজ আমলে বড় বড় লাট সাহেব কিংবা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে যারা এ অঞ্চল শাসন করেছে তাদের কাছে ওই সব ফিরিঙ্গিবাজেরা তেমন পাত্তা পায়নি। বাংলার সম্পদহানি আর সম্পদ লুণ্ঠন যাই বলি তাতে এরা তেমনভাবে উদরপূর্তি করতে পারেনি। এদের অনেক ক্ষেত্রেই  তখন লেজগুটিয়ে থাকা ছাড়া কোনো গত্যন্তর ছিল না। শুধুই চাটুকারী কিংবা চামচাগিরি করে যা পেয়েছে তাই আর কি!  বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তান সৃষ্টিতে পক্ষে অবস্থান নেন তখন তাদের পছন্দ হয়- এই কারণে যে এবার তারা যেন-তেন উপায়েই পেট পূরাতে পারবে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর যখন চরমভাবে বাঙালিরা উপেক্ষিত হচ্ছে, নির্যাতন-জুলুম-অত্যাচার আর শুভঙ্করের ফাঁকির মতোই বৈষম্যের মাত্রা চরমে তখন বঙ্গবন্ধু দেখলেন বাংলাকে, বাংলার মানুষকে বাঁচাতে হলে জাতিরাষ্ট্র বাংলদেশের বিকল্প কিছুই নেই। সুতরাং তিনি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুললেন- নিজের জীবনবাজী রেখে সার্বভৌম বাংলাদেশ আমাদেরকে উপহার দিলেন। ৩০লক্ষ শহিদ ও ২লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হারাতে হলো। 

প্রকৃতপক্ষে ওই মতলববাজরা বঙ্গবন্ধুকে বুঝে উঠতে পারেনি- তাই তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু হুঙ্কার দিবেন বটে মূলত পৃথক রাষ্ট্র সৃষ্টি করবেন না। বাংলা প্রবাদের মতো, ‘যে যেমন ঢেমনি, জগত দেখে তেমনি।’  আসলে বঙ্গবন্ধু যে ওদের ভাবনার উর্দ্ধে- দূরদর্শী মহান নেতা, তা কি আর ওদের কূপমণ্ডুক মনে অনুধাবন করার যোগ্যতা আছে? তবে যখন দেখলো বঙ্গবন্ধুকে আর কোনোভাবেই আটকানো গেল না- ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেই রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ এবং পবিত্র সংবিধানে তারই প্রতিফলন তাদেরকে ভাবিয়ে তুললো। আসল খেলা শুরু করতে দুষ্টচক্র তখন মাকড়সার জাল বুনতে থাকে। ওরা ওদের সতীর্থ খুঁজতে মোটেও ভুল করেনি- তাই বেছে বেছে সমমনা চক্র এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর গতিতে, পরিকল্পনা নেয় কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে জাতির মন থেকে মুছে ফেলা যায়- নিশ্চিহ্ন করা যায়! সত্যি সত্যিই তারা জাতির সূর্যসন্তান মুক্তির দূত স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।

একটি প্রশ্ন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে আজ অবধি আমাদের তাড়া করে ফিরছে- কী কারণে বাঙালির মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারাতে হলো, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবারে বর্বরোচিত হত্যার পিছনে কি ওই গুটিকয়েক বিপথগামী সেনাসদস্যই ছিলো- নাকি ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য নিহিত ছিল? আর কেনইবা ধিক্কারজনক হত্যাযজ্ঞ ১৫ আগস্টে সংঘটিত করা হলো? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো অল্পকথায় দেওয়াটা বেশ কঠিন- তবে সবকিছুর মূলে দেশি-বিদেশি গভীর চক্রান্ত যে ছিল এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়- এর বিশ্লেষণাত্বক বিশ্লেষণসহ প্রেক্ষিতও গাণিতিকভাবেই প্রমাণ করা সম্ভব, এ বিষয়ে অনেকেই লিখেছেন। বিশিষ্ট কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবদুল গাফফার চৌধুরী ২০০৭ সালের ১৫ আগস্ট জনকণ্ঠে প্রকাশিত লেখাটিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে লন্ডনের ‘টাইমস’ পত্রিকায় বিদেশি চক্রান্তের অনেক তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরেছেন। তবে পূর্ব পাকিস্তানকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র ২৩ বছর ধরে চলেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই ষড়যন্ত্রের শুধুমাত্র ধরণ ও ডাইমেনশন পরিবর্তন হয়। ভয়াবহতা বৃদ্ধিই পেয়েছে- বঙ্গবন্ধু ও তার আত্মাজ্ঞান বাংলাদেশ অধিক ষড়যন্ত্রে নিপতিত হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারী পাকিস্তানিরা যে ষড়যন্ত্রকারী এটা বঙ্গবন্ধু অনেক আগে থেকেই জানতেন। তিনি তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের রাজনীতি শুরু হল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে’।  

হত্যাকাণ্ডে আসলেই কি গুটিকয়েক ঘাতকই জড়িত কি-না সে কথায় আসি। সেই কালরাত্রীতে গুটিকয়েক ঘাতক রক্তের হোলিতে মেতেছিল বটে, তবে তারা মোটেই একা ছিলো না। কারণ বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠতম অর্জন বাঙালির হাজার বছরের অপ্রাপ্তির শুন্যখাতা পূর্ণ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় যেমন আমাদের জন্য আনন্দের বার্তাবহ তেমনইভাবে এ দেশের বিরোধীভাবাপন্ন পাকিস্তানপ্রেমী ও তাদের অনুকম্পাপ্রাপ্ত রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীর কাছে সাধের পাকিস্তান ভাঙা একটা দুঃসংবাদ! ফলে গোটা বাঙালি জাতি যখন বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা আর জাতির পিতা ব্যস্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর কাজে ঠিক তখন ঐ হায়েনারা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। সুযোগ বুঝে তারা জাতির পিতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। 

পাকিস্তানপ্রেমীদের নীল নকশায় যুক্ত ঈর্ষান্বিত মানুষ নামের কুলাঙ্গার ওই হায়েনাদের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্ব দেয় পাষাণ্ড খন্দকার মোশতাক। তবে কি শুধু খুনি মোশতাকই নাটের গুরু? স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে এ প্রশ্ন আজ স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মের তরুণ সমাজের? শুধু সাদা চোখে দেখলে ঘটনার গভীরতা পরিমাপ করা সম্ভব নয়- এর জন্য অনুসন্ধিৎসু মনের বেশ প্রয়োজন। তবে একটু তলিয়ে দেখার চেষ্টা করলে অন্য একটি সম্পূরক প্রশ্ন অবধারিত- ব্যক্তি  বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে কারা লাভের পাল্লা ভারি করেছে? খুব বেশি একটা বিশ্লেষণের অবকাশ পড়ে না যে, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার তো দূরে থাক যাতে দোষীদের কেউ কখনও বিচারের আওতায় না আনতে পারে সে কারণে পবিত্র সংবিধানকে সংশোধন করা হয়েছে, ইনডেমনিটি নামক কালো আইনের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। 

তথ্যমতে, যারা হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছিল তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে! ১৯৯৬ সালের পূর্ববর্তী কোনো সরকারই ইতিহাসের ঘৃণ্য বর্বরোচিত এ হত্যাকাজ্ঞের ব্যাপারে মুখ খোলেনি! এখান থেকে সহজেই অনুমেয় হয় কারা এ চক্রের সাথে ছিলো কিংবা কারা এর সুবিধাভোগী! এখন জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডে আগস্টের ‘১৫ তারিখ’ দিনটি কেন? এ প্রশ্নের সমীকরণটি তুলনামূলকভাবে সোজা- ১৯৭১ এ বাংলাদেশের অভ্যুর্দয়ে সামগ্রিকভাবে সহযোগিতা, বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি আদায় করাতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের দায়ে ভারত তাদের কাছে দোষী। বাংলাদেশের কল্যাণে ভারতের উদার ইতিবাচক নীতি বিশাল এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাননীয় যশস্বী মানবতাবাদী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী যে শুভসূচনা করেছিলেন তা এদেশের প্রায় নিরঙ্কুশ মানুষের জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং আত্মসম্মানের হলেও গুটিকয়েক মানুষ যারা এদেশের বিরোধিতাকারী সেদিনে চূড়ান্তভাবে খুশি  হতে পারে নি। তাদের বিশ্বাস দুটি ভাইয়ের (কাল্পনিক) মধ্যে বিশাল ফারাক সৃষ্টি করে ভারত যে অন্যায় করেছে তার জন্য বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রী সম্পর্ক যেন কোনো দিন না থাকে- সে ব্যবস্থা তো তারা নেবেই। আর ১৫ আগস্ট  ভারতের স্বাধীনতা দিবস, খুশির দিন। এই দিন যেন বাংলাদেশের কান্না-বিষাদে কাটে, অকৃত্তিম বন্ধুর আনন্দের এই দিনে কখনও বাংলাদেশ সঙ্গী হতে না পারে হয়তো সে কারণেই ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেই ১৯৭৫ সালের কালরাত্রী থেকেই যেন অসম্ভব বেদনা বাঙালিকে কাঁদাচ্ছে আর গোটা আগস্ট মাস জুড়েই বাঙালির বক্ষবিদীর্ণ হয়ে রক্তক্ষরণের জ্বালা তীব্রতর হচ্ছে!  

তবুও বলি হতাশায় থামা নয়- আমরা এ শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে চলেছি, আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে, এগিয়ে আমরা যাবোই। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সুরে সুর মিলিয়ে বলতে চাই-
‘চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়’

যারা ভেবেছিল এমন মিথ্যার আকর সারাজীবন তারা খেয়ে যাবে! তারা ভুল ভেবেছিল, কারণ বেলা শেষে সত্যের জয় হবেই। তাইতো পূর্বদিগন্তে লাল সূর্যের আভা হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতির পিতার বাংলায় আবির্ভূত হয়েছেন- তিনি পথ দেখাতে শুরু করেছেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে উন্নত বাংলাদেশ সৃজনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা স্বাধীনতা পরবর্তীপ্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী হওয়ার সৌভাগ্য হয় নি, তাদের সামনে আজ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের অবশিষ্ট দায় এসেছে এবং সুযোগ এসেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শামিল হওয়ার। আসুন, বাঙলার নয়নমণি আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশের সার্থক রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাঁড়া দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারই স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোদ্ধা হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি- আমাদের দৈনন্দিন কর্মে বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনা মেনে প্রমাণ করে দিই বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও প্রেরণাকে কেউ মুছে ফেলতে পারেনি- পারবে না। যতদিন সৌরমণ্ডলে পৃথিবী গতিপথ অটল থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু মানুষের মণিকোঠাতে চিরভাস্মর হয়ে থাকবে।  

লেখক: অধ্যাপক, পরিসংখ্যান বিভাগ ও সাবেক প্রশাসক, জনসংযোগ দপ্তর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
সর্বশেষ খবর
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আফ্রিকাকে চরম মূল্য দিতে হবে: গুতেরেস
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আফ্রিকাকে চরম মূল্য দিতে হবে: গুতেরেস

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প সতর্কতা : সিলেটে বন্ধ হলো গ্যাস কূপ খনন
ভূমিকম্প সতর্কতা : সিলেটে বন্ধ হলো গ্যাস কূপ খনন

১৬ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে নারী চিকিৎসকের মৃত্যু
কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে নারী চিকিৎসকের মৃত্যু

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
এতিম নাতনিদের শিক্ষিত করতে চান বৃদ্ধা, পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

২২ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল
পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রবিউল, সম্পাদক ফয়সাল

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

৩৬ মিনিট আগে | শোবিজ

ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত
ঢাবির প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভায় তিন সিদ্ধান্ত

৪২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা
কানাডার টরন্টোতে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত সন্ধ্যা

৪৮ মিনিট আগে | পরবাস

স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম
স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই : সালাম

৪৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

৫২ মিনিট আগে | শোবিজ

খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন
খুচরা সার ডিলার বহাল রাখার দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন

৫৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ
কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ

৫৮ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা
দুই বছর পর মাঠে ফিরলেন পল পগবা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত
বগুড়ায় ট্রাক চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টুঙ্গিপাড়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আ.লীগের ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
টুঙ্গিপাড়ায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আ.লীগের ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজশাহীতে মাদকসহ ৬ কারবারি গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে মাদকসহ ৬ কারবারি গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১০৪৫ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১০৪৫ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৪৮ ঘন্টার জন্য দেশের জ্বালানি কূপগুলোতে ড্রিলিং কার্যক্রম বন্ধ
৪৮ ঘন্টার জন্য দেশের জ্বালানি কূপগুলোতে ড্রিলিং কার্যক্রম বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে দুই দিনে ডিএমপির ২৪৮৩ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে দুই দিনে ডিএমপির ২৪৮৩ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হবিগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
হবিগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ইবির তিন বিভাগে বাড়লো ৩০ আসন
ইবির তিন বিভাগে বাড়লো ৩০ আসন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শেখ হাসিনা-রেহানার মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-রেহানার মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা