শিরোনাম
প্রকাশ: ১৬:০৩, মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

ওরা কেন বাঙালির বক্ষবিদীর্ণ করতে ১৫ আগস্টকে বেছে নিল?

ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার
অনলাইন ভার্সন
ওরা কেন বাঙালির বক্ষবিদীর্ণ করতে ১৫ আগস্টকে বেছে নিল?

প্রতিটি মানুষেরই জীবনদর্শন ও লক্ষ্য থাকে, থাকে দর্শনের মূলে মহৎ ব্যক্তিবর্গের অনুসরণীয় প্রেরণা- এই প্রেরণার অফুরান শক্তি সঞ্চারিত হয় পরিবার পরিজন কিংবা সমাজের অনুকরণীয় ব্যক্তিবর্গের নিকট থেকে। আবার ক্ষণজন্মা আলোর দিশারী মহামানবকে সৃষ্টিকর্তা যেন অমিয় সত্তাসমৃদ্ধ জীবনদর্শন আর মহত্ত্বের উৎসাধারে পূর্ণ করেই এই পৃথিবীতে পাঠান- যারা অমোঘ এই সম্পদকে পরিবারের শিক্ষা ও সমাজের অনুস্মরণীয় দৃষ্টান্তের সমন্বয়ে সৃষ্টিসুখের উল্লাসে, মানবের কল্যাণে কাজ করেন। 

মানবতার দূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকেই পিতা-মাতার উজ্জ্বল মানবীয় গুণাবলী ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন। পিতার চাওয়া ছিল পুত্র যেন ন্যায় ও সত্যের পথে থেকে আলোকিত মানুষ হয়ে সমাজে-দেশে বলিষ্ঠ অবদান রাখতে পারে- তাইতো সেই ছোটবেলা থেকেই শেখ মুজিব অধিকারবোধ জাগ্রতকরণের রাজনীতির পক্ষে ও গোঁড়ামি-বিভেদের বিপক্ষে অবস্থান নেন। এ বিষয়ে অনেক উজ্জ্বল প্রমাণ আমাদের সকলেরই জানা। পিতা শেখ লুৎফর রহমান জানতেন তার পুত্র কখনই কোনো অন্যায়ের সাথে আপোস করতে পারে না- এ কারণে পিতা বঙ্গবন্ধুর কোনো কাজে বাধা দেননি, কোনো কাজের বিরোধিতা করেননি। তিনি শুধুই বলেছেন সততা থাকলে জীবনে জয় অনিবার্য। তাইতো বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে পিতার সম্পর্কে বলেছেন, ‘বাবা রাজনীতি কর আপত্তি করবো না, পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করছ এ তো সুখের কথা, তবে লেখাপড়া করতে ভুলিও না। লেখাপড়া না শিখলে মানুষ হতে পারবে না। আর একটা কথা মনে রেখ, `Sincerity of purpose and honesty of purpose থাকলে জীবনে পরাজিত হবা না। একথা কোনোদিন আমি ভুলি নাই।’

পিতার এই নিদের্শনা বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। আদর্শই তাকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকলের প্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করে- শুধু বাংলাদেশই নয়, সমস্ত বিশ্বের বঞ্চিত-শোষিত-নিপীড়িতের অতি আপনজন হয়ে ওঠেন। পাকিস্তানের ২৩ বছরের সংগ্রামে তিনি ১৪ বছর কারা অভ্যন্তরে কাটিয়ে, অমানসিক নির্যাতন সহ্য করে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠলেন। বাংলার মানুষের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির একমাত্র অবলম্বন হয়ে আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র উপহার দিলেন। তার এই অবিনশ্বর সৃষ্টির মধ্যদিয়েই তিনি হলেন বাঙালি জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব তাকে হিমালয়সম উচ্চতায় আসীন করে। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘I have not seen the Himalayas. But I have seen Sheikh Mujib.’ 

ধর্ম-বর্ণ, জাত-পাতের ঊর্ধ্বে সকল মানুষকে মন প্রাণ উজাড় করে, নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসাই ছিল বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রাদয়িক মানসিকতা ও মানবতার বড় দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধু লক্ষ্য করেছিলেন যে, ধর্ম এদেশের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের কারণ হতে পারে এবং মুষ্টিমেয় কিছু লোক ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে হিন্দু-মুসলিমকে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে বিভক্ত ও শত্রুতে পরিণত করতে চাইছে। এ ব্যাপারে তিনি সবসময় তৎপর ছিলেন যাতে কেউ সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘জনগণকে, ইসলাম ও মুসলমানের নামে স্লোগান দিয়ে ধোঁকা দেওয়া যায় না। ধর্মপ্রাণ বাঙালি মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে; কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না এ ধারণা অনেকেরই হয়েছিল। জনসাধারণ চায় শোষণহীন সমাজ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি।’  

বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কাজে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে মনোনিবেশ করেন এবং বর্ণনাতীত নির্যাতন উপেক্ষা করে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে সঠিক নির্দেশনা দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিকে বিজয় উপহার দিলেন। অতপর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বীর বেশে দেশে ফিরে রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন। 

তিনি বললেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই যে, বাংলাদেশ একটি রাষ্ট্র হবে, রাষ্ট্রের স্তম্ভ কোনো ধর্মীয় কাঠামো দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হবে না। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি।’ সে অনুযায়ী স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য প্রণীত প্রথম সংবিধানে দেশের জাতীয় মূলনীতি স্বরূপ জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতাকেও যুক্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। 

মুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা এই রাষ্ট্রের কারো নাই; হিন্দুরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কারো নাই। বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম পালন করবে, খ্রিস্টানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের কেউ বাধা দিতে পারবে না।’ ‘পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।’ সুতরাং ধর্মীয় ভেদাভেদের পথও বন্ধ হলো- এতে করে এক শ্রেণির লোক মনে মনে অসন্তুষ্ট হয়। 

অধিকার আদায়ে সোচ্চার বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তান সৃষ্টিতে সম্মুখভাগে ছিলেন তখন তাদের কোনো অসুবিধাবোধ হয়নি। কারণ সাধের পাকিস্তান তৈরির সময় ঐ শ্রেণি ভেবেছিল তারা অন্তত একটি ধর্মীয় ভিত্তির দেশ পেতে চলেছে এবং বঙ্গবন্ধু যেহেতু সেই কাজটি করছে তাতে কোন ক্ষতি নেই। ব্রিটিশ ইন্ডিয়াতে ইংরেজ আমলে বড় বড় লাট সাহেব কিংবা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে যারা এ অঞ্চল শাসন করেছে তাদের কাছে ওই সব ফিরিঙ্গিবাজেরা তেমন পাত্তা পায়নি। বাংলার সম্পদহানি আর সম্পদ লুণ্ঠন যাই বলি তাতে এরা তেমনভাবে উদরপূর্তি করতে পারেনি। এদের অনেক ক্ষেত্রেই  তখন লেজগুটিয়ে থাকা ছাড়া কোনো গত্যন্তর ছিল না। শুধুই চাটুকারী কিংবা চামচাগিরি করে যা পেয়েছে তাই আর কি!  বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তান সৃষ্টিতে পক্ষে অবস্থান নেন তখন তাদের পছন্দ হয়- এই কারণে যে এবার তারা যেন-তেন উপায়েই পেট পূরাতে পারবে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর যখন চরমভাবে বাঙালিরা উপেক্ষিত হচ্ছে, নির্যাতন-জুলুম-অত্যাচার আর শুভঙ্করের ফাঁকির মতোই বৈষম্যের মাত্রা চরমে তখন বঙ্গবন্ধু দেখলেন বাংলাকে, বাংলার মানুষকে বাঁচাতে হলে জাতিরাষ্ট্র বাংলদেশের বিকল্প কিছুই নেই। সুতরাং তিনি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুললেন- নিজের জীবনবাজী রেখে সার্বভৌম বাংলাদেশ আমাদেরকে উপহার দিলেন। ৩০লক্ষ শহিদ ও ২লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হারাতে হলো। 

প্রকৃতপক্ষে ওই মতলববাজরা বঙ্গবন্ধুকে বুঝে উঠতে পারেনি- তাই তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু হুঙ্কার দিবেন বটে মূলত পৃথক রাষ্ট্র সৃষ্টি করবেন না। বাংলা প্রবাদের মতো, ‘যে যেমন ঢেমনি, জগত দেখে তেমনি।’  আসলে বঙ্গবন্ধু যে ওদের ভাবনার উর্দ্ধে- দূরদর্শী মহান নেতা, তা কি আর ওদের কূপমণ্ডুক মনে অনুধাবন করার যোগ্যতা আছে? তবে যখন দেখলো বঙ্গবন্ধুকে আর কোনোভাবেই আটকানো গেল না- ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেই রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ এবং পবিত্র সংবিধানে তারই প্রতিফলন তাদেরকে ভাবিয়ে তুললো। আসল খেলা শুরু করতে দুষ্টচক্র তখন মাকড়সার জাল বুনতে থাকে। ওরা ওদের সতীর্থ খুঁজতে মোটেও ভুল করেনি- তাই বেছে বেছে সমমনা চক্র এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর গতিতে, পরিকল্পনা নেয় কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে জাতির মন থেকে মুছে ফেলা যায়- নিশ্চিহ্ন করা যায়! সত্যি সত্যিই তারা জাতির সূর্যসন্তান মুক্তির দূত স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।

একটি প্রশ্ন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে আজ অবধি আমাদের তাড়া করে ফিরছে- কী কারণে বাঙালির মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারাতে হলো, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবারে বর্বরোচিত হত্যার পিছনে কি ওই গুটিকয়েক বিপথগামী সেনাসদস্যই ছিলো- নাকি ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য নিহিত ছিল? আর কেনইবা ধিক্কারজনক হত্যাযজ্ঞ ১৫ আগস্টে সংঘটিত করা হলো? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো অল্পকথায় দেওয়াটা বেশ কঠিন- তবে সবকিছুর মূলে দেশি-বিদেশি গভীর চক্রান্ত যে ছিল এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়- এর বিশ্লেষণাত্বক বিশ্লেষণসহ প্রেক্ষিতও গাণিতিকভাবেই প্রমাণ করা সম্ভব, এ বিষয়ে অনেকেই লিখেছেন। বিশিষ্ট কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবদুল গাফফার চৌধুরী ২০০৭ সালের ১৫ আগস্ট জনকণ্ঠে প্রকাশিত লেখাটিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে লন্ডনের ‘টাইমস’ পত্রিকায় বিদেশি চক্রান্তের অনেক তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরেছেন। তবে পূর্ব পাকিস্তানকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র ২৩ বছর ধরে চলেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই ষড়যন্ত্রের শুধুমাত্র ধরণ ও ডাইমেনশন পরিবর্তন হয়। ভয়াবহতা বৃদ্ধিই পেয়েছে- বঙ্গবন্ধু ও তার আত্মাজ্ঞান বাংলাদেশ অধিক ষড়যন্ত্রে নিপতিত হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারী পাকিস্তানিরা যে ষড়যন্ত্রকারী এটা বঙ্গবন্ধু অনেক আগে থেকেই জানতেন। তিনি তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের রাজনীতি শুরু হল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে’।  

হত্যাকাণ্ডে আসলেই কি গুটিকয়েক ঘাতকই জড়িত কি-না সে কথায় আসি। সেই কালরাত্রীতে গুটিকয়েক ঘাতক রক্তের হোলিতে মেতেছিল বটে, তবে তারা মোটেই একা ছিলো না। কারণ বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠতম অর্জন বাঙালির হাজার বছরের অপ্রাপ্তির শুন্যখাতা পূর্ণ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় যেমন আমাদের জন্য আনন্দের বার্তাবহ তেমনইভাবে এ দেশের বিরোধীভাবাপন্ন পাকিস্তানপ্রেমী ও তাদের অনুকম্পাপ্রাপ্ত রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীর কাছে সাধের পাকিস্তান ভাঙা একটা দুঃসংবাদ! ফলে গোটা বাঙালি জাতি যখন বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা আর জাতির পিতা ব্যস্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর কাজে ঠিক তখন ঐ হায়েনারা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। সুযোগ বুঝে তারা জাতির পিতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। 

পাকিস্তানপ্রেমীদের নীল নকশায় যুক্ত ঈর্ষান্বিত মানুষ নামের কুলাঙ্গার ওই হায়েনাদের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্ব দেয় পাষাণ্ড খন্দকার মোশতাক। তবে কি শুধু খুনি মোশতাকই নাটের গুরু? স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে এ প্রশ্ন আজ স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মের তরুণ সমাজের? শুধু সাদা চোখে দেখলে ঘটনার গভীরতা পরিমাপ করা সম্ভব নয়- এর জন্য অনুসন্ধিৎসু মনের বেশ প্রয়োজন। তবে একটু তলিয়ে দেখার চেষ্টা করলে অন্য একটি সম্পূরক প্রশ্ন অবধারিত- ব্যক্তি  বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে কারা লাভের পাল্লা ভারি করেছে? খুব বেশি একটা বিশ্লেষণের অবকাশ পড়ে না যে, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার তো দূরে থাক যাতে দোষীদের কেউ কখনও বিচারের আওতায় না আনতে পারে সে কারণে পবিত্র সংবিধানকে সংশোধন করা হয়েছে, ইনডেমনিটি নামক কালো আইনের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। 

তথ্যমতে, যারা হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছিল তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে! ১৯৯৬ সালের পূর্ববর্তী কোনো সরকারই ইতিহাসের ঘৃণ্য বর্বরোচিত এ হত্যাকাজ্ঞের ব্যাপারে মুখ খোলেনি! এখান থেকে সহজেই অনুমেয় হয় কারা এ চক্রের সাথে ছিলো কিংবা কারা এর সুবিধাভোগী! এখন জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডে আগস্টের ‘১৫ তারিখ’ দিনটি কেন? এ প্রশ্নের সমীকরণটি তুলনামূলকভাবে সোজা- ১৯৭১ এ বাংলাদেশের অভ্যুর্দয়ে সামগ্রিকভাবে সহযোগিতা, বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি আদায় করাতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের দায়ে ভারত তাদের কাছে দোষী। বাংলাদেশের কল্যাণে ভারতের উদার ইতিবাচক নীতি বিশাল এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাননীয় যশস্বী মানবতাবাদী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী যে শুভসূচনা করেছিলেন তা এদেশের প্রায় নিরঙ্কুশ মানুষের জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং আত্মসম্মানের হলেও গুটিকয়েক মানুষ যারা এদেশের বিরোধিতাকারী সেদিনে চূড়ান্তভাবে খুশি  হতে পারে নি। তাদের বিশ্বাস দুটি ভাইয়ের (কাল্পনিক) মধ্যে বিশাল ফারাক সৃষ্টি করে ভারত যে অন্যায় করেছে তার জন্য বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রী সম্পর্ক যেন কোনো দিন না থাকে- সে ব্যবস্থা তো তারা নেবেই। আর ১৫ আগস্ট  ভারতের স্বাধীনতা দিবস, খুশির দিন। এই দিন যেন বাংলাদেশের কান্না-বিষাদে কাটে, অকৃত্তিম বন্ধুর আনন্দের এই দিনে কখনও বাংলাদেশ সঙ্গী হতে না পারে হয়তো সে কারণেই ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেই ১৯৭৫ সালের কালরাত্রী থেকেই যেন অসম্ভব বেদনা বাঙালিকে কাঁদাচ্ছে আর গোটা আগস্ট মাস জুড়েই বাঙালির বক্ষবিদীর্ণ হয়ে রক্তক্ষরণের জ্বালা তীব্রতর হচ্ছে!  

তবুও বলি হতাশায় থামা নয়- আমরা এ শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে চলেছি, আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে, এগিয়ে আমরা যাবোই। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সুরে সুর মিলিয়ে বলতে চাই-
‘চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়’

যারা ভেবেছিল এমন মিথ্যার আকর সারাজীবন তারা খেয়ে যাবে! তারা ভুল ভেবেছিল, কারণ বেলা শেষে সত্যের জয় হবেই। তাইতো পূর্বদিগন্তে লাল সূর্যের আভা হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতির পিতার বাংলায় আবির্ভূত হয়েছেন- তিনি পথ দেখাতে শুরু করেছেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে উন্নত বাংলাদেশ সৃজনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা স্বাধীনতা পরবর্তীপ্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী হওয়ার সৌভাগ্য হয় নি, তাদের সামনে আজ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের অবশিষ্ট দায় এসেছে এবং সুযোগ এসেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শামিল হওয়ার। আসুন, বাঙলার নয়নমণি আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশের সার্থক রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাঁড়া দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারই স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোদ্ধা হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি- আমাদের দৈনন্দিন কর্মে বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনা মেনে প্রমাণ করে দিই বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও প্রেরণাকে কেউ মুছে ফেলতে পারেনি- পারবে না। যতদিন সৌরমণ্ডলে পৃথিবী গতিপথ অটল থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু মানুষের মণিকোঠাতে চিরভাস্মর হয়ে থাকবে।  

লেখক: অধ্যাপক, পরিসংখ্যান বিভাগ ও সাবেক প্রশাসক, জনসংযোগ দপ্তর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
সর্বশেষ খবর
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না

৩৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির
চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির

৫৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক
তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল
তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর
ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি
শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খিলগাঁওতে মাইক্লোর শোরুম উদ্বোধন করলেন হাবিব
খিলগাঁওতে মাইক্লোর শোরুম উদ্বোধন করলেন হাবিব

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাশকতায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : আমানউল্লাহ আমান
নাশকতায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : আমানউল্লাহ আমান

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা শহর লন্ডন
২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা শহর লন্ডন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম
স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা
মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক
এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান
ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেলজিয়ামে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট
বেলজিয়ামে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিল ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা