শিরোনাম
প্রকাশ: ১৬:০৩, মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

ওরা কেন বাঙালির বক্ষবিদীর্ণ করতে ১৫ আগস্টকে বেছে নিল?

ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার
অনলাইন ভার্সন
ওরা কেন বাঙালির বক্ষবিদীর্ণ করতে ১৫ আগস্টকে বেছে নিল?

প্রতিটি মানুষেরই জীবনদর্শন ও লক্ষ্য থাকে, থাকে দর্শনের মূলে মহৎ ব্যক্তিবর্গের অনুসরণীয় প্রেরণা- এই প্রেরণার অফুরান শক্তি সঞ্চারিত হয় পরিবার পরিজন কিংবা সমাজের অনুকরণীয় ব্যক্তিবর্গের নিকট থেকে। আবার ক্ষণজন্মা আলোর দিশারী মহামানবকে সৃষ্টিকর্তা যেন অমিয় সত্তাসমৃদ্ধ জীবনদর্শন আর মহত্ত্বের উৎসাধারে পূর্ণ করেই এই পৃথিবীতে পাঠান- যারা অমোঘ এই সম্পদকে পরিবারের শিক্ষা ও সমাজের অনুস্মরণীয় দৃষ্টান্তের সমন্বয়ে সৃষ্টিসুখের উল্লাসে, মানবের কল্যাণে কাজ করেন। 

মানবতার দূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকেই পিতা-মাতার উজ্জ্বল মানবীয় গুণাবলী ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন। পিতার চাওয়া ছিল পুত্র যেন ন্যায় ও সত্যের পথে থেকে আলোকিত মানুষ হয়ে সমাজে-দেশে বলিষ্ঠ অবদান রাখতে পারে- তাইতো সেই ছোটবেলা থেকেই শেখ মুজিব অধিকারবোধ জাগ্রতকরণের রাজনীতির পক্ষে ও গোঁড়ামি-বিভেদের বিপক্ষে অবস্থান নেন। এ বিষয়ে অনেক উজ্জ্বল প্রমাণ আমাদের সকলেরই জানা। পিতা শেখ লুৎফর রহমান জানতেন তার পুত্র কখনই কোনো অন্যায়ের সাথে আপোস করতে পারে না- এ কারণে পিতা বঙ্গবন্ধুর কোনো কাজে বাধা দেননি, কোনো কাজের বিরোধিতা করেননি। তিনি শুধুই বলেছেন সততা থাকলে জীবনে জয় অনিবার্য। তাইতো বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে পিতার সম্পর্কে বলেছেন, ‘বাবা রাজনীতি কর আপত্তি করবো না, পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করছ এ তো সুখের কথা, তবে লেখাপড়া করতে ভুলিও না। লেখাপড়া না শিখলে মানুষ হতে পারবে না। আর একটা কথা মনে রেখ, `Sincerity of purpose and honesty of purpose থাকলে জীবনে পরাজিত হবা না। একথা কোনোদিন আমি ভুলি নাই।’

পিতার এই নিদের্শনা বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। আদর্শই তাকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকলের প্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করে- শুধু বাংলাদেশই নয়, সমস্ত বিশ্বের বঞ্চিত-শোষিত-নিপীড়িতের অতি আপনজন হয়ে ওঠেন। পাকিস্তানের ২৩ বছরের সংগ্রামে তিনি ১৪ বছর কারা অভ্যন্তরে কাটিয়ে, অমানসিক নির্যাতন সহ্য করে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠলেন। বাংলার মানুষের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির একমাত্র অবলম্বন হয়ে আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র উপহার দিলেন। তার এই অবিনশ্বর সৃষ্টির মধ্যদিয়েই তিনি হলেন বাঙালি জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব তাকে হিমালয়সম উচ্চতায় আসীন করে। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘I have not seen the Himalayas. But I have seen Sheikh Mujib.’ 

ধর্ম-বর্ণ, জাত-পাতের ঊর্ধ্বে সকল মানুষকে মন প্রাণ উজাড় করে, নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসাই ছিল বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রাদয়িক মানসিকতা ও মানবতার বড় দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধু লক্ষ্য করেছিলেন যে, ধর্ম এদেশের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের কারণ হতে পারে এবং মুষ্টিমেয় কিছু লোক ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে হিন্দু-মুসলিমকে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে বিভক্ত ও শত্রুতে পরিণত করতে চাইছে। এ ব্যাপারে তিনি সবসময় তৎপর ছিলেন যাতে কেউ সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘জনগণকে, ইসলাম ও মুসলমানের নামে স্লোগান দিয়ে ধোঁকা দেওয়া যায় না। ধর্মপ্রাণ বাঙালি মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে; কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না এ ধারণা অনেকেরই হয়েছিল। জনসাধারণ চায় শোষণহীন সমাজ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি।’  

বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কাজে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে মনোনিবেশ করেন এবং বর্ণনাতীত নির্যাতন উপেক্ষা করে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে সঠিক নির্দেশনা দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিকে বিজয় উপহার দিলেন। অতপর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বীর বেশে দেশে ফিরে রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন। 

তিনি বললেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই যে, বাংলাদেশ একটি রাষ্ট্র হবে, রাষ্ট্রের স্তম্ভ কোনো ধর্মীয় কাঠামো দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হবে না। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি।’ সে অনুযায়ী স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য প্রণীত প্রথম সংবিধানে দেশের জাতীয় মূলনীতি স্বরূপ জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতাকেও যুক্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। 

মুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা এই রাষ্ট্রের কারো নাই; হিন্দুরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কারো নাই। বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম পালন করবে, খ্রিস্টানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের কেউ বাধা দিতে পারবে না।’ ‘পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।’ সুতরাং ধর্মীয় ভেদাভেদের পথও বন্ধ হলো- এতে করে এক শ্রেণির লোক মনে মনে অসন্তুষ্ট হয়। 

অধিকার আদায়ে সোচ্চার বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তান সৃষ্টিতে সম্মুখভাগে ছিলেন তখন তাদের কোনো অসুবিধাবোধ হয়নি। কারণ সাধের পাকিস্তান তৈরির সময় ঐ শ্রেণি ভেবেছিল তারা অন্তত একটি ধর্মীয় ভিত্তির দেশ পেতে চলেছে এবং বঙ্গবন্ধু যেহেতু সেই কাজটি করছে তাতে কোন ক্ষতি নেই। ব্রিটিশ ইন্ডিয়াতে ইংরেজ আমলে বড় বড় লাট সাহেব কিংবা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে যারা এ অঞ্চল শাসন করেছে তাদের কাছে ওই সব ফিরিঙ্গিবাজেরা তেমন পাত্তা পায়নি। বাংলার সম্পদহানি আর সম্পদ লুণ্ঠন যাই বলি তাতে এরা তেমনভাবে উদরপূর্তি করতে পারেনি। এদের অনেক ক্ষেত্রেই  তখন লেজগুটিয়ে থাকা ছাড়া কোনো গত্যন্তর ছিল না। শুধুই চাটুকারী কিংবা চামচাগিরি করে যা পেয়েছে তাই আর কি!  বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তান সৃষ্টিতে পক্ষে অবস্থান নেন তখন তাদের পছন্দ হয়- এই কারণে যে এবার তারা যেন-তেন উপায়েই পেট পূরাতে পারবে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর যখন চরমভাবে বাঙালিরা উপেক্ষিত হচ্ছে, নির্যাতন-জুলুম-অত্যাচার আর শুভঙ্করের ফাঁকির মতোই বৈষম্যের মাত্রা চরমে তখন বঙ্গবন্ধু দেখলেন বাংলাকে, বাংলার মানুষকে বাঁচাতে হলে জাতিরাষ্ট্র বাংলদেশের বিকল্প কিছুই নেই। সুতরাং তিনি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুললেন- নিজের জীবনবাজী রেখে সার্বভৌম বাংলাদেশ আমাদেরকে উপহার দিলেন। ৩০লক্ষ শহিদ ও ২লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হারাতে হলো। 

প্রকৃতপক্ষে ওই মতলববাজরা বঙ্গবন্ধুকে বুঝে উঠতে পারেনি- তাই তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু হুঙ্কার দিবেন বটে মূলত পৃথক রাষ্ট্র সৃষ্টি করবেন না। বাংলা প্রবাদের মতো, ‘যে যেমন ঢেমনি, জগত দেখে তেমনি।’  আসলে বঙ্গবন্ধু যে ওদের ভাবনার উর্দ্ধে- দূরদর্শী মহান নেতা, তা কি আর ওদের কূপমণ্ডুক মনে অনুধাবন করার যোগ্যতা আছে? তবে যখন দেখলো বঙ্গবন্ধুকে আর কোনোভাবেই আটকানো গেল না- ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেই রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ এবং পবিত্র সংবিধানে তারই প্রতিফলন তাদেরকে ভাবিয়ে তুললো। আসল খেলা শুরু করতে দুষ্টচক্র তখন মাকড়সার জাল বুনতে থাকে। ওরা ওদের সতীর্থ খুঁজতে মোটেও ভুল করেনি- তাই বেছে বেছে সমমনা চক্র এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর গতিতে, পরিকল্পনা নেয় কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে জাতির মন থেকে মুছে ফেলা যায়- নিশ্চিহ্ন করা যায়! সত্যি সত্যিই তারা জাতির সূর্যসন্তান মুক্তির দূত স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।

একটি প্রশ্ন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে আজ অবধি আমাদের তাড়া করে ফিরছে- কী কারণে বাঙালির মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারাতে হলো, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবারে বর্বরোচিত হত্যার পিছনে কি ওই গুটিকয়েক বিপথগামী সেনাসদস্যই ছিলো- নাকি ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য নিহিত ছিল? আর কেনইবা ধিক্কারজনক হত্যাযজ্ঞ ১৫ আগস্টে সংঘটিত করা হলো? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো অল্পকথায় দেওয়াটা বেশ কঠিন- তবে সবকিছুর মূলে দেশি-বিদেশি গভীর চক্রান্ত যে ছিল এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়- এর বিশ্লেষণাত্বক বিশ্লেষণসহ প্রেক্ষিতও গাণিতিকভাবেই প্রমাণ করা সম্ভব, এ বিষয়ে অনেকেই লিখেছেন। বিশিষ্ট কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবদুল গাফফার চৌধুরী ২০০৭ সালের ১৫ আগস্ট জনকণ্ঠে প্রকাশিত লেখাটিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে লন্ডনের ‘টাইমস’ পত্রিকায় বিদেশি চক্রান্তের অনেক তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরেছেন। তবে পূর্ব পাকিস্তানকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র ২৩ বছর ধরে চলেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই ষড়যন্ত্রের শুধুমাত্র ধরণ ও ডাইমেনশন পরিবর্তন হয়। ভয়াবহতা বৃদ্ধিই পেয়েছে- বঙ্গবন্ধু ও তার আত্মাজ্ঞান বাংলাদেশ অধিক ষড়যন্ত্রে নিপতিত হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারী পাকিস্তানিরা যে ষড়যন্ত্রকারী এটা বঙ্গবন্ধু অনেক আগে থেকেই জানতেন। তিনি তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের রাজনীতি শুরু হল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে’।  

হত্যাকাণ্ডে আসলেই কি গুটিকয়েক ঘাতকই জড়িত কি-না সে কথায় আসি। সেই কালরাত্রীতে গুটিকয়েক ঘাতক রক্তের হোলিতে মেতেছিল বটে, তবে তারা মোটেই একা ছিলো না। কারণ বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠতম অর্জন বাঙালির হাজার বছরের অপ্রাপ্তির শুন্যখাতা পূর্ণ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় যেমন আমাদের জন্য আনন্দের বার্তাবহ তেমনইভাবে এ দেশের বিরোধীভাবাপন্ন পাকিস্তানপ্রেমী ও তাদের অনুকম্পাপ্রাপ্ত রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীর কাছে সাধের পাকিস্তান ভাঙা একটা দুঃসংবাদ! ফলে গোটা বাঙালি জাতি যখন বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা আর জাতির পিতা ব্যস্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর কাজে ঠিক তখন ঐ হায়েনারা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। সুযোগ বুঝে তারা জাতির পিতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। 

পাকিস্তানপ্রেমীদের নীল নকশায় যুক্ত ঈর্ষান্বিত মানুষ নামের কুলাঙ্গার ওই হায়েনাদের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্ব দেয় পাষাণ্ড খন্দকার মোশতাক। তবে কি শুধু খুনি মোশতাকই নাটের গুরু? স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে এ প্রশ্ন আজ স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মের তরুণ সমাজের? শুধু সাদা চোখে দেখলে ঘটনার গভীরতা পরিমাপ করা সম্ভব নয়- এর জন্য অনুসন্ধিৎসু মনের বেশ প্রয়োজন। তবে একটু তলিয়ে দেখার চেষ্টা করলে অন্য একটি সম্পূরক প্রশ্ন অবধারিত- ব্যক্তি  বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে কারা লাভের পাল্লা ভারি করেছে? খুব বেশি একটা বিশ্লেষণের অবকাশ পড়ে না যে, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার তো দূরে থাক যাতে দোষীদের কেউ কখনও বিচারের আওতায় না আনতে পারে সে কারণে পবিত্র সংবিধানকে সংশোধন করা হয়েছে, ইনডেমনিটি নামক কালো আইনের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। 

তথ্যমতে, যারা হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছিল তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে! ১৯৯৬ সালের পূর্ববর্তী কোনো সরকারই ইতিহাসের ঘৃণ্য বর্বরোচিত এ হত্যাকাজ্ঞের ব্যাপারে মুখ খোলেনি! এখান থেকে সহজেই অনুমেয় হয় কারা এ চক্রের সাথে ছিলো কিংবা কারা এর সুবিধাভোগী! এখন জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডে আগস্টের ‘১৫ তারিখ’ দিনটি কেন? এ প্রশ্নের সমীকরণটি তুলনামূলকভাবে সোজা- ১৯৭১ এ বাংলাদেশের অভ্যুর্দয়ে সামগ্রিকভাবে সহযোগিতা, বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি আদায় করাতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের দায়ে ভারত তাদের কাছে দোষী। বাংলাদেশের কল্যাণে ভারতের উদার ইতিবাচক নীতি বিশাল এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাননীয় যশস্বী মানবতাবাদী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী যে শুভসূচনা করেছিলেন তা এদেশের প্রায় নিরঙ্কুশ মানুষের জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং আত্মসম্মানের হলেও গুটিকয়েক মানুষ যারা এদেশের বিরোধিতাকারী সেদিনে চূড়ান্তভাবে খুশি  হতে পারে নি। তাদের বিশ্বাস দুটি ভাইয়ের (কাল্পনিক) মধ্যে বিশাল ফারাক সৃষ্টি করে ভারত যে অন্যায় করেছে তার জন্য বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রী সম্পর্ক যেন কোনো দিন না থাকে- সে ব্যবস্থা তো তারা নেবেই। আর ১৫ আগস্ট  ভারতের স্বাধীনতা দিবস, খুশির দিন। এই দিন যেন বাংলাদেশের কান্না-বিষাদে কাটে, অকৃত্তিম বন্ধুর আনন্দের এই দিনে কখনও বাংলাদেশ সঙ্গী হতে না পারে হয়তো সে কারণেই ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেই ১৯৭৫ সালের কালরাত্রী থেকেই যেন অসম্ভব বেদনা বাঙালিকে কাঁদাচ্ছে আর গোটা আগস্ট মাস জুড়েই বাঙালির বক্ষবিদীর্ণ হয়ে রক্তক্ষরণের জ্বালা তীব্রতর হচ্ছে!  

তবুও বলি হতাশায় থামা নয়- আমরা এ শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে চলেছি, আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে, এগিয়ে আমরা যাবোই। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সুরে সুর মিলিয়ে বলতে চাই-
‘চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়’

যারা ভেবেছিল এমন মিথ্যার আকর সারাজীবন তারা খেয়ে যাবে! তারা ভুল ভেবেছিল, কারণ বেলা শেষে সত্যের জয় হবেই। তাইতো পূর্বদিগন্তে লাল সূর্যের আভা হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতির পিতার বাংলায় আবির্ভূত হয়েছেন- তিনি পথ দেখাতে শুরু করেছেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে উন্নত বাংলাদেশ সৃজনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা স্বাধীনতা পরবর্তীপ্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী হওয়ার সৌভাগ্য হয় নি, তাদের সামনে আজ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের অবশিষ্ট দায় এসেছে এবং সুযোগ এসেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শামিল হওয়ার। আসুন, বাঙলার নয়নমণি আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশের সার্থক রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাঁড়া দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারই স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোদ্ধা হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি- আমাদের দৈনন্দিন কর্মে বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনা মেনে প্রমাণ করে দিই বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও প্রেরণাকে কেউ মুছে ফেলতে পারেনি- পারবে না। যতদিন সৌরমণ্ডলে পৃথিবী গতিপথ অটল থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু মানুষের মণিকোঠাতে চিরভাস্মর হয়ে থাকবে।  

লেখক: অধ্যাপক, পরিসংখ্যান বিভাগ ও সাবেক প্রশাসক, জনসংযোগ দপ্তর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
সর্বশেষ খবর
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ
খুলনায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত, ১ রেল যোগাযোগ বন্ধ

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

৪১ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কনসার্ট

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী
কাপড়ের ব্যাগে লুকিয়ে কারাগার থেকে পালালেন বন্দী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ
বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন স্লোগান, রাবি জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রতিবাদ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার
রাবির ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কার

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড
পোল্যান্ডে আবিষ্কৃত হলো ৫৫০০ বছর আগের দুটি প্রাচীন পিরামিড

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে
আড়াই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকিতে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত
বগুড়ায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’ উদযাপন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল
রাবিতে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হবে কোডিং পদ্ধতিতে, থাকবে না রোল

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কমে যাচ্ছে মা-সন্তানের যোগাযোগ: গবেষণা

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
গাজায় নেতানিয়াহুর মানবিক শহর, নিন্দায় দুই সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক
যশোরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ছয় সদস্য আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেন যুুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ৫০ দিন দিলেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ
জুলাই অভ্যুত্থানের সাহসী নারীদের হারিয়ে যেতে দেবো না: শারমীন মুরশিদ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫
প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, আটক ৫

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণে প্রস্তুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'
'হারার পর আমি ফোন খুলতেই ভয় পাচ্ছিলাম'

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা
ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কর্মজীবন শেষে নৈশপ্রহরীর রাজকীয় বিদায়
কর্মজীবন শেষে নৈশপ্রহরীর রাজকীয় বিদায়

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা
আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে
থাকেন ভারতে, বেতন তোলেন বাংলাদেশে

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'
'টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না তাদের নিয়ে কাজ করতে হবে'

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি
সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি
রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে হলের ছাদ থেকে লাফ: ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট
আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার, সাফাই সাক্ষ্য ১১ আগস্ট

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন
লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে যা বললেন লিটন

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা
মেট্রোরেল চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের
ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট
বিচারিক আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি: হাইকোর্ট

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির
বিএনপি ও তারেক রহমানের চরিত্র হননের ঘৃণ্য অপচেষ্টার প্রতিবাদ বিএনপির

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পিএসজিকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে চেলসি রূপকথা
পিএসজিকে গুঁড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে চেলসি রূপকথা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য
মেয়ের জন্মের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে দীপিকা, নিন্দুকদের 'বিষাক্ত' মন্তব্য

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন
তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি বরদাস্ত করা হবে না : জয়নুল আবদিন

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল
অনেকেই চেষ্টা করছে দেশে যেন নির্বাচন না হয়: মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত
১২ ইংলিশ ব্যাটারকে বোল্ড করে ইতিহাসে ভারত

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’
নাটোরে ছড়িয়ে পড়ছে নীরব ঘাতক ‘পার্থেনিয়াম’

৫ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?
ক্লাব বিশ্বকাপে কে কত প্রাইজমানি পেল?

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো
বিটকয়েনের দাম ইতিহাসে প্রথমবার ১ লাখ ২০ হাজার ডলার ছাড়ালো

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি সুইস বিনিয়োগকারীর

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর
ফিরে এলো হাজারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : দুই ভাই রিমান্ডে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের
টেস্টের শতবর্ষের ইতিহাসে সেরা বোলিং গড় এখন বোল্যান্ডের

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন
বিক্ষোভে উত্তাল নয়াপল্টন

প্রথম পৃষ্ঠা

উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা
উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে
১৪ হাজার কোটি টাকার পায়রা বন্দর চ্যালেঞ্জে

নগর জীবন

আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র
আরও পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় যুক্তরাষ্ট্র

শিল্প বাণিজ্য

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ
বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা বাড়ছেই কয়েক দফা পিছিয়েছে কাজ

পেছনের পৃষ্ঠা

টার্গেট তারেক রহমান
টার্গেট তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ
১০ মাসে ৩৫৫৪ খুন, ৪১০৫ ধর্ষণ, ৮১৯ অপহরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক
ভয়ংকর ভোগান্তির এক মহাসড়ক

পেছনের পৃষ্ঠা

জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’
জেলায় জেলায় গডফাদার কামাল যাদের ‘সর্দার’

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল
সঞ্চয়পত্রের সুদ আসলে কতটা কমল

শিল্প বাণিজ্য

টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা
টিকা কর্মসূচিতে বড় ধাক্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

নগর জীবন

ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা
ঢাকার রাস্তায় গ্রাফিতি হয়ে উঠছে প্রতিবাদের ভাষা

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য

সম্পাদকীয়

তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
তিন দিনেও কিলিং মিশনের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল
আওয়ামী লীগ এক নম্বর স্বৈরাচারী দল

প্রথম পৃষ্ঠা

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য
ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করাই সংস্কারের লক্ষ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি
ইউনাইটেড গ্রুপের শত কোটি টাকার কর ফাঁকি

পেছনের পৃষ্ঠা

শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন
শনাক্ত হয়নি কিলিং মিশনের তিনজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের
ক্ষমা চাচ্ছি লিখে ছাদ থেকে লাফ ঢাবি ছাত্রের

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন
নায়িকা মৌসুমী ভেবে ফোন

শোবিজ

মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি
মার্কিন শুল্ক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি
ইরান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৩০ বাংলাদেশি

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা
নায়িকা হতে এসে খলনায়িকা

শোবিজ

শাকিবের নতুন রোমাঞ্চ
শাকিবের নতুন রোমাঞ্চ

শোবিজ

সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ বিচার শুরু আটজনের

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বামীভক্ত মেহজাবীন
স্বামীভক্ত মেহজাবীন

শোবিজ

চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল
চোখের সামনে ভেসে গেল সহায়সম্বল

প্রথম পৃষ্ঠা