শিরোনাম
প্রকাশ: ১৬:০৩, মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১ আপডেট:

ওরা কেন বাঙালির বক্ষবিদীর্ণ করতে ১৫ আগস্টকে বেছে নিল?

ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার
অনলাইন ভার্সন
ওরা কেন বাঙালির বক্ষবিদীর্ণ করতে ১৫ আগস্টকে বেছে নিল?

প্রতিটি মানুষেরই জীবনদর্শন ও লক্ষ্য থাকে, থাকে দর্শনের মূলে মহৎ ব্যক্তিবর্গের অনুসরণীয় প্রেরণা- এই প্রেরণার অফুরান শক্তি সঞ্চারিত হয় পরিবার পরিজন কিংবা সমাজের অনুকরণীয় ব্যক্তিবর্গের নিকট থেকে। আবার ক্ষণজন্মা আলোর দিশারী মহামানবকে সৃষ্টিকর্তা যেন অমিয় সত্তাসমৃদ্ধ জীবনদর্শন আর মহত্ত্বের উৎসাধারে পূর্ণ করেই এই পৃথিবীতে পাঠান- যারা অমোঘ এই সম্পদকে পরিবারের শিক্ষা ও সমাজের অনুস্মরণীয় দৃষ্টান্তের সমন্বয়ে সৃষ্টিসুখের উল্লাসে, মানবের কল্যাণে কাজ করেন। 

মানবতার দূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকেই পিতা-মাতার উজ্জ্বল মানবীয় গুণাবলী ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন। পিতার চাওয়া ছিল পুত্র যেন ন্যায় ও সত্যের পথে থেকে আলোকিত মানুষ হয়ে সমাজে-দেশে বলিষ্ঠ অবদান রাখতে পারে- তাইতো সেই ছোটবেলা থেকেই শেখ মুজিব অধিকারবোধ জাগ্রতকরণের রাজনীতির পক্ষে ও গোঁড়ামি-বিভেদের বিপক্ষে অবস্থান নেন। এ বিষয়ে অনেক উজ্জ্বল প্রমাণ আমাদের সকলেরই জানা। পিতা শেখ লুৎফর রহমান জানতেন তার পুত্র কখনই কোনো অন্যায়ের সাথে আপোস করতে পারে না- এ কারণে পিতা বঙ্গবন্ধুর কোনো কাজে বাধা দেননি, কোনো কাজের বিরোধিতা করেননি। তিনি শুধুই বলেছেন সততা থাকলে জীবনে জয় অনিবার্য। তাইতো বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে পিতার সম্পর্কে বলেছেন, ‘বাবা রাজনীতি কর আপত্তি করবো না, পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করছ এ তো সুখের কথা, তবে লেখাপড়া করতে ভুলিও না। লেখাপড়া না শিখলে মানুষ হতে পারবে না। আর একটা কথা মনে রেখ, `Sincerity of purpose and honesty of purpose থাকলে জীবনে পরাজিত হবা না। একথা কোনোদিন আমি ভুলি নাই।’

পিতার এই নিদের্শনা বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। আদর্শই তাকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকলের প্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করে- শুধু বাংলাদেশই নয়, সমস্ত বিশ্বের বঞ্চিত-শোষিত-নিপীড়িতের অতি আপনজন হয়ে ওঠেন। পাকিস্তানের ২৩ বছরের সংগ্রামে তিনি ১৪ বছর কারা অভ্যন্তরে কাটিয়ে, অমানসিক নির্যাতন সহ্য করে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠলেন। বাংলার মানুষের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির একমাত্র অবলম্বন হয়ে আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র উপহার দিলেন। তার এই অবিনশ্বর সৃষ্টির মধ্যদিয়েই তিনি হলেন বাঙালি জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব তাকে হিমালয়সম উচ্চতায় আসীন করে। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘I have not seen the Himalayas. But I have seen Sheikh Mujib.’ 

ধর্ম-বর্ণ, জাত-পাতের ঊর্ধ্বে সকল মানুষকে মন প্রাণ উজাড় করে, নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসাই ছিল বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রাদয়িক মানসিকতা ও মানবতার বড় দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধু লক্ষ্য করেছিলেন যে, ধর্ম এদেশের সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের কারণ হতে পারে এবং মুষ্টিমেয় কিছু লোক ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে হিন্দু-মুসলিমকে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে বিভক্ত ও শত্রুতে পরিণত করতে চাইছে। এ ব্যাপারে তিনি সবসময় তৎপর ছিলেন যাতে কেউ সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘জনগণকে, ইসলাম ও মুসলমানের নামে স্লোগান দিয়ে ধোঁকা দেওয়া যায় না। ধর্মপ্রাণ বাঙালি মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে; কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না এ ধারণা অনেকেরই হয়েছিল। জনসাধারণ চায় শোষণহীন সমাজ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি।’  

বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কাজে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে মনোনিবেশ করেন এবং বর্ণনাতীত নির্যাতন উপেক্ষা করে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে সঠিক নির্দেশনা দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিকে বিজয় উপহার দিলেন। অতপর বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বীর বেশে দেশে ফিরে রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন। 

তিনি বললেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই যে, বাংলাদেশ একটি রাষ্ট্র হবে, রাষ্ট্রের স্তম্ভ কোনো ধর্মীয় কাঠামো দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হবে না। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি।’ সে অনুযায়ী স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য প্রণীত প্রথম সংবিধানে দেশের জাতীয় মূলনীতি স্বরূপ জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতাকেও যুক্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। 

মুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা এই রাষ্ট্রের কারো নাই; হিন্দুরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কারো নাই। বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম পালন করবে, খ্রিস্টানরা তাদের ধর্ম পালন করবে, তাদের কেউ বাধা দিতে পারবে না।’ ‘পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।’ সুতরাং ধর্মীয় ভেদাভেদের পথও বন্ধ হলো- এতে করে এক শ্রেণির লোক মনে মনে অসন্তুষ্ট হয়। 

অধিকার আদায়ে সোচ্চার বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তান সৃষ্টিতে সম্মুখভাগে ছিলেন তখন তাদের কোনো অসুবিধাবোধ হয়নি। কারণ সাধের পাকিস্তান তৈরির সময় ঐ শ্রেণি ভেবেছিল তারা অন্তত একটি ধর্মীয় ভিত্তির দেশ পেতে চলেছে এবং বঙ্গবন্ধু যেহেতু সেই কাজটি করছে তাতে কোন ক্ষতি নেই। ব্রিটিশ ইন্ডিয়াতে ইংরেজ আমলে বড় বড় লাট সাহেব কিংবা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে যারা এ অঞ্চল শাসন করেছে তাদের কাছে ওই সব ফিরিঙ্গিবাজেরা তেমন পাত্তা পায়নি। বাংলার সম্পদহানি আর সম্পদ লুণ্ঠন যাই বলি তাতে এরা তেমনভাবে উদরপূর্তি করতে পারেনি। এদের অনেক ক্ষেত্রেই  তখন লেজগুটিয়ে থাকা ছাড়া কোনো গত্যন্তর ছিল না। শুধুই চাটুকারী কিংবা চামচাগিরি করে যা পেয়েছে তাই আর কি!  বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তান সৃষ্টিতে পক্ষে অবস্থান নেন তখন তাদের পছন্দ হয়- এই কারণে যে এবার তারা যেন-তেন উপায়েই পেট পূরাতে পারবে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর যখন চরমভাবে বাঙালিরা উপেক্ষিত হচ্ছে, নির্যাতন-জুলুম-অত্যাচার আর শুভঙ্করের ফাঁকির মতোই বৈষম্যের মাত্রা চরমে তখন বঙ্গবন্ধু দেখলেন বাংলাকে, বাংলার মানুষকে বাঁচাতে হলে জাতিরাষ্ট্র বাংলদেশের বিকল্প কিছুই নেই। সুতরাং তিনি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুললেন- নিজের জীবনবাজী রেখে সার্বভৌম বাংলাদেশ আমাদেরকে উপহার দিলেন। ৩০লক্ষ শহিদ ও ২লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হারাতে হলো। 

প্রকৃতপক্ষে ওই মতলববাজরা বঙ্গবন্ধুকে বুঝে উঠতে পারেনি- তাই তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু হুঙ্কার দিবেন বটে মূলত পৃথক রাষ্ট্র সৃষ্টি করবেন না। বাংলা প্রবাদের মতো, ‘যে যেমন ঢেমনি, জগত দেখে তেমনি।’  আসলে বঙ্গবন্ধু যে ওদের ভাবনার উর্দ্ধে- দূরদর্শী মহান নেতা, তা কি আর ওদের কূপমণ্ডুক মনে অনুধাবন করার যোগ্যতা আছে? তবে যখন দেখলো বঙ্গবন্ধুকে আর কোনোভাবেই আটকানো গেল না- ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেই রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ এবং পবিত্র সংবিধানে তারই প্রতিফলন তাদেরকে ভাবিয়ে তুললো। আসল খেলা শুরু করতে দুষ্টচক্র তখন মাকড়সার জাল বুনতে থাকে। ওরা ওদের সতীর্থ খুঁজতে মোটেও ভুল করেনি- তাই বেছে বেছে সমমনা চক্র এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর গতিতে, পরিকল্পনা নেয় কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে জাতির মন থেকে মুছে ফেলা যায়- নিশ্চিহ্ন করা যায়! সত্যি সত্যিই তারা জাতির সূর্যসন্তান মুক্তির দূত স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।

একটি প্রশ্ন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে আজ অবধি আমাদের তাড়া করে ফিরছে- কী কারণে বাঙালির মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারাতে হলো, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবারে বর্বরোচিত হত্যার পিছনে কি ওই গুটিকয়েক বিপথগামী সেনাসদস্যই ছিলো- নাকি ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য নিহিত ছিল? আর কেনইবা ধিক্কারজনক হত্যাযজ্ঞ ১৫ আগস্টে সংঘটিত করা হলো? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো অল্পকথায় দেওয়াটা বেশ কঠিন- তবে সবকিছুর মূলে দেশি-বিদেশি গভীর চক্রান্ত যে ছিল এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়- এর বিশ্লেষণাত্বক বিশ্লেষণসহ প্রেক্ষিতও গাণিতিকভাবেই প্রমাণ করা সম্ভব, এ বিষয়ে অনেকেই লিখেছেন। বিশিষ্ট কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবদুল গাফফার চৌধুরী ২০০৭ সালের ১৫ আগস্ট জনকণ্ঠে প্রকাশিত লেখাটিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে লন্ডনের ‘টাইমস’ পত্রিকায় বিদেশি চক্রান্তের অনেক তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরেছেন। তবে পূর্ব পাকিস্তানকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র ২৩ বছর ধরে চলেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই ষড়যন্ত্রের শুধুমাত্র ধরণ ও ডাইমেনশন পরিবর্তন হয়। ভয়াবহতা বৃদ্ধিই পেয়েছে- বঙ্গবন্ধু ও তার আত্মাজ্ঞান বাংলাদেশ অধিক ষড়যন্ত্রে নিপতিত হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারী পাকিস্তানিরা যে ষড়যন্ত্রকারী এটা বঙ্গবন্ধু অনেক আগে থেকেই জানতেন। তিনি তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের রাজনীতি শুরু হল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে’।  

হত্যাকাণ্ডে আসলেই কি গুটিকয়েক ঘাতকই জড়িত কি-না সে কথায় আসি। সেই কালরাত্রীতে গুটিকয়েক ঘাতক রক্তের হোলিতে মেতেছিল বটে, তবে তারা মোটেই একা ছিলো না। কারণ বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠতম অর্জন বাঙালির হাজার বছরের অপ্রাপ্তির শুন্যখাতা পূর্ণ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় যেমন আমাদের জন্য আনন্দের বার্তাবহ তেমনইভাবে এ দেশের বিরোধীভাবাপন্ন পাকিস্তানপ্রেমী ও তাদের অনুকম্পাপ্রাপ্ত রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীর কাছে সাধের পাকিস্তান ভাঙা একটা দুঃসংবাদ! ফলে গোটা বাঙালি জাতি যখন বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা আর জাতির পিতা ব্যস্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর কাজে ঠিক তখন ঐ হায়েনারা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। সুযোগ বুঝে তারা জাতির পিতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। 

পাকিস্তানপ্রেমীদের নীল নকশায় যুক্ত ঈর্ষান্বিত মানুষ নামের কুলাঙ্গার ওই হায়েনাদের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্ব দেয় পাষাণ্ড খন্দকার মোশতাক। তবে কি শুধু খুনি মোশতাকই নাটের গুরু? স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে এ প্রশ্ন আজ স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্মের তরুণ সমাজের? শুধু সাদা চোখে দেখলে ঘটনার গভীরতা পরিমাপ করা সম্ভব নয়- এর জন্য অনুসন্ধিৎসু মনের বেশ প্রয়োজন। তবে একটু তলিয়ে দেখার চেষ্টা করলে অন্য একটি সম্পূরক প্রশ্ন অবধারিত- ব্যক্তি  বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে কারা লাভের পাল্লা ভারি করেছে? খুব বেশি একটা বিশ্লেষণের অবকাশ পড়ে না যে, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার তো দূরে থাক যাতে দোষীদের কেউ কখনও বিচারের আওতায় না আনতে পারে সে কারণে পবিত্র সংবিধানকে সংশোধন করা হয়েছে, ইনডেমনিটি নামক কালো আইনের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। 

তথ্যমতে, যারা হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছিল তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে! ১৯৯৬ সালের পূর্ববর্তী কোনো সরকারই ইতিহাসের ঘৃণ্য বর্বরোচিত এ হত্যাকাজ্ঞের ব্যাপারে মুখ খোলেনি! এখান থেকে সহজেই অনুমেয় হয় কারা এ চক্রের সাথে ছিলো কিংবা কারা এর সুবিধাভোগী! এখন জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডে আগস্টের ‘১৫ তারিখ’ দিনটি কেন? এ প্রশ্নের সমীকরণটি তুলনামূলকভাবে সোজা- ১৯৭১ এ বাংলাদেশের অভ্যুর্দয়ে সামগ্রিকভাবে সহযোগিতা, বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি আদায় করাতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের দায়ে ভারত তাদের কাছে দোষী। বাংলাদেশের কল্যাণে ভারতের উদার ইতিবাচক নীতি বিশাল এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাননীয় যশস্বী মানবতাবাদী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী যে শুভসূচনা করেছিলেন তা এদেশের প্রায় নিরঙ্কুশ মানুষের জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং আত্মসম্মানের হলেও গুটিকয়েক মানুষ যারা এদেশের বিরোধিতাকারী সেদিনে চূড়ান্তভাবে খুশি  হতে পারে নি। তাদের বিশ্বাস দুটি ভাইয়ের (কাল্পনিক) মধ্যে বিশাল ফারাক সৃষ্টি করে ভারত যে অন্যায় করেছে তার জন্য বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রী সম্পর্ক যেন কোনো দিন না থাকে- সে ব্যবস্থা তো তারা নেবেই। আর ১৫ আগস্ট  ভারতের স্বাধীনতা দিবস, খুশির দিন। এই দিন যেন বাংলাদেশের কান্না-বিষাদে কাটে, অকৃত্তিম বন্ধুর আনন্দের এই দিনে কখনও বাংলাদেশ সঙ্গী হতে না পারে হয়তো সে কারণেই ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেই ১৯৭৫ সালের কালরাত্রী থেকেই যেন অসম্ভব বেদনা বাঙালিকে কাঁদাচ্ছে আর গোটা আগস্ট মাস জুড়েই বাঙালির বক্ষবিদীর্ণ হয়ে রক্তক্ষরণের জ্বালা তীব্রতর হচ্ছে!  

তবুও বলি হতাশায় থামা নয়- আমরা এ শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে চলেছি, আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে, এগিয়ে আমরা যাবোই। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সুরে সুর মিলিয়ে বলতে চাই-
‘চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়’

যারা ভেবেছিল এমন মিথ্যার আকর সারাজীবন তারা খেয়ে যাবে! তারা ভুল ভেবেছিল, কারণ বেলা শেষে সত্যের জয় হবেই। তাইতো পূর্বদিগন্তে লাল সূর্যের আভা হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতির পিতার বাংলায় আবির্ভূত হয়েছেন- তিনি পথ দেখাতে শুরু করেছেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে উন্নত বাংলাদেশ সৃজনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা স্বাধীনতা পরবর্তীপ্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী হওয়ার সৌভাগ্য হয় নি, তাদের সামনে আজ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের অবশিষ্ট দায় এসেছে এবং সুযোগ এসেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শামিল হওয়ার। আসুন, বাঙলার নয়নমণি আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশের সার্থক রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাঁড়া দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারই স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোদ্ধা হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি- আমাদের দৈনন্দিন কর্মে বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনা মেনে প্রমাণ করে দিই বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও প্রেরণাকে কেউ মুছে ফেলতে পারেনি- পারবে না। যতদিন সৌরমণ্ডলে পৃথিবী গতিপথ অটল থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু মানুষের মণিকোঠাতে চিরভাস্মর হয়ে থাকবে।  

লেখক: অধ্যাপক, পরিসংখ্যান বিভাগ ও সাবেক প্রশাসক, জনসংযোগ দপ্তর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
সর্বশেষ খবর
বরগুনায় বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ পালিত
বরগুনায় বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ পালিত

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

৬ মিনিট আগে | জাতীয়

শিশুদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করছে মালয়েশিয়া
শিশুদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করছে মালয়েশিয়া

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি
অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি

১৮ মিনিট আগে | শোবিজ

‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেতে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে’
‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেতে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে’

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন, বিশ্বাস বিএনপির: রিজভী
প্রধান উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন, বিশ্বাস বিএনপির: রিজভী

২৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

চোট নিয়েই শুটিংয়ে ফিরলেন শ্রদ্ধা
চোট নিয়েই শুটিংয়ে ফিরলেন শ্রদ্ধা

২৪ মিনিট আগে | শোবিজ

মোহাম্মদপুরে অপহরণ ও নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯
মোহাম্মদপুরে অপহরণ ও নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯

৩২ মিনিট আগে | নগর জীবন

অবিশ্বাস্য রেকর্ডটি শুধুই মেসির
অবিশ্বাস্য রেকর্ডটি শুধুই মেসির

৩৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সাময়িক বন্ধ হচ্ছে এনআইডি সংশোধন কার্যক্রম
সাময়িক বন্ধ হচ্ছে এনআইডি সংশোধন কার্যক্রম

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

ঝিনাইদহে উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল ধ্বংস করল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
ঝিনাইদহে উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল ধ্বংস করল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন বেশিরভাগ আমেরিকান: জরিপ
ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন বেশিরভাগ আমেরিকান: জরিপ

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর
জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মেহেরপুরে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা আটক
মেহেরপুরে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ
হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম
দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!
অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ
ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা
নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

২২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে
নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

১৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

১৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প
সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে মারা গেলেন চিকিৎসক
কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে মারা গেলেন চিকিৎসক

পেছনের পৃষ্ঠা