শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

টি-২০-তে তাসকিন মিরাজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টি-২০-তে তাসকিন মিরাজ

ফাইল ছবি

তৃতীয়বারের মতো টেস্ট নেতৃত্ব পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। নেতৃত্ব পাওয়ার আগে ওয়ানডে, টি-২০ এর সাথে টেস্টেও খেলার বিষয়ে সাকিবের কমিটমেন্ট চেয়েছিল বিসিবি। দেশসেরা ক্রিকেটারও আশ্বস্ত করেছিলেন ক্রিকেট বোর্ডকে। তার নেতৃত্বেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ এবং হেরেছে টেস্ট দুটি। টাইগাররা এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের। ২, ৩ ও ৭ জুলাই ম্যাচ তিনটি। টাইগাররা ২০ ওভারের ম্যাচ খেলবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে। টেস্ট অধিনায়ক সাকিবও খেলবেন। তাকে নিয়েই স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। শুরুতে না থাকলেও নেওয়া হয়েছে ডান হাতি পেসার তাসকিন আহমেদ ও স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে। দুই ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন সিমিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, পেসার শহীদুল ইসলাম ও মিডল অর্ডার ব্যাটার ইয়াসির আলির ইনজুরির সুযোগে। টি-২০ সিরিজে থাকলেও ওয়ানডে সিরিজ থেকে মৌখিক বিশ্রাম চেয়েছেন সাকিব। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বিষয়টি স্বীকার করেছেন। টি-২০ সিরিজ খেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে যাবেন সাকিব। তার জায়গায় ওয়ানডে সিরিজে দেখা যাবে আরেক বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে। ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচ ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই। টি-২০ স্কোয়াডে ২০১৫ সালের পর ফিরেছেন এনামুল হক বিজয়।  

দুইবারের টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয় দলটির বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জয় ৫ এবং হার ৭। একটি ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি। দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়ে হেরেছিল টাইগাররা। দুবাইয়ে টি-২০ বিশ্বকাপে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী হেরেছিল মাত্র ৩ রানে। দুই দলের প্রথম মুখোমুখিতে অবশ্য জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০০৭ সালের প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে মোহাম্মদ আশরাফুলের অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে টাইগাররা জিতেছিল ৫ উইকেটে। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে দুবার পরস্পরের মুখোমুখি লড়াইয়ে দুইবারই হেরেছে টাইগাররা। চলতি বছর টাইগারদের এটা দ্বিতীয় টি-২০ সিরিজ। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিল প্রথম সিরিজ।

কাঁধের ইনজুরির জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ না খেলেই দেশে ফিরেছিলেন ডান হাতি পেসার তাসকিন। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও খেলেননি টেস্ট সিরিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট ও টি-২০ স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাকে। শুধু ছিলেন ওয়ানডে স্কোয়াডে। দলের ইনজুরির সুযোগে তাকে নেওয়া হয়েছে টি-২০ স্কোয়াডে। স্কোয়াডের দুই পেসার সাইফুদ্দিন ও শহীদুল ইনজুরিতে পড়লে তাসকিনকে নেওয়া হয়েছে। তাসকিন ক্যারিয়ারে টি-২০ খেলেছেন ৩৩টি। উইকেট নিয়েছেন ২৩টি। সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন মিরপুরে ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ৩.১ ওভার স্পেলে রান দিয়েছিলেন ১৬। মিরাজ নিয়মিত টেস্ট ও ওয়ানডে খেলছেন। সর্বশেষ টি-২০ ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৮ সালে। মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ১৯ রান করলেও বোলিংয়ে ছিলেন খরুচে। ২ ওভারে রান দিয়েছিলেন ২৬। এরপর আর সুযোগ পাননি মিরাজ। চার বছর পর এবার সুযোগ মিলেছে তিন ক্রিকেটারের ইনজুরির সুযোগে। টেস্ট ও ওয়ানডেতে যতটা সফল মিরাজ, ঠিক বিপরীত চিত্র টি-২০ ম্যাচে। ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ১৩টি এবং উইকেট মাত্র ৪টি। রান করেছেন ৯৪। এনামুল বিজয় ১৩ ম্যাচ টি-২০ ক্যারিয়ারে এক হাফসেঞ্চুরিতে রান করেন ৩৫৫। ২০১৫ সালে সর্বশেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে রান করেছিলেন ৫১ বলে ৪৭।  

বাংলাদেশ টি-২০ স্কোয়াড : মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মুনিম শাহরিয়ার, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর