বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সম্ভাব্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে। ২৬ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ধার্য করা হলেও চূড়ান্ত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এগিয়েও আসতে পারে বা পেছানোরও সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। নির্বাচন ঘিরে বেশকিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। সেই কাজগুলো এখনো শুরু করেনি বাফুফে। হয়তো ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি চলছে। তবে নির্বাচনে একটি পদ ঘিরে আলোচনা এখনই তুঙ্গে। আর তা সভাপতি প্রার্থী নিয়ে। ২০০৮ সাল থেকেই কাজী সালাউদ্দিন বাফুফের নির্বাচিত সভাপতি।
রেকর্ড গড়া চার মেয়াদ দায়িত্ব পালন করলেও শোনা যাচ্ছে সালাউদ্দিন আবারও সভাপতি পদে নির্বাচন করতে চান। তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, ‘ফুটবলে অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে সালাউদ্দিন ভাই সভাপতি পদে ফের নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’ তবে এ ক্ষেত্রে আবার বয়স প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা নিয়ম অনুযায়ী কারও বয়স ৭২ হলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। প্রশ্ন উঠেছে তাই সালাউদ্দিনের বয়স কত? বয়স তো আর মাপা যায় না, জন্ম সনদ দেখে তা নির্ধারণ হয়।
২০০৮ সাল থেকে দুই প্যানেলে বিভক্ত হয়ে বাফুফের নির্বাচন হয়ে আসছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও সালাউদ্দিনের প্যানেল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। এবার সালাউদ্দিনের প্যানেলে কারা থাকবেন বা কেউ বের হয়ে যাবেন কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ গুঞ্জন উঠেছে এবার সভাপতি পদে শুধু সালাউদ্দিন একা নন। আরও কজনার নাম শোনা যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের সঙ্গী বাফুফের সিনিয়র সভাপতি সালাম মুর্শেদীও নাকি সভাপতি পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী। আবার সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদের কথাও শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তারা যেমন মুখ খুলছেন না তেমনি নির্বাহী কমিটির কেউ টু শব্দ করছেন না। একজন অবশ্য বলেছেন, ‘এখানে অবাক হওয়ার কী আছে? যে কোনো প্রার্থী যে কোনো পদে নির্বাচন করতে পারেন। এটা তো তার অধিকার।’
প্রশ্ন হচ্ছে সত্যি সত্যি সালাউদ্দিনের প্যানেলের পরিচিত কেউ যদি সভাপতি পদে নির্বাচন করেন তাহলে কী হবে? সালাউদ্দিন লড়বেন না সরে দাঁড়াবেন। তারপর আবার তরফদার রুহুল আমিনও নাকি সভাপতি পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী। এসব কিছুই চূড়ান্ত নয়, আলোচনায় নানা গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে এই যা। তারপর আবার দেশের পরিস্থিতি কেমন থাকে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। এখনো নির্বাচন কমিশনই গঠন হয়নি। তাই কী হবে বা কারা প্রার্থী হবেন তা সময়ই বলে দেবে।