ব্যাট-বলের খেলা ক্রিকেট। কিন্তু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার টি-২০ সিরিজ ব্যাট-বলের পাশাপাশি ক্রিকেটে যুক্ত হয়েছে অসাধারণ ক্যাচও। দুই দলের খেলোয়াড়দের অসাধারণ ক্যাচ ধরার প্রদর্শনীতে সিরিজটিকে পরিণত করেছে 'সিরিজ অব ক্যাচেস'-এ। টাইগার-লঙ্কানদের খেলোয়াড়দের ক্যাচ ধরার দৃশ্য দর্শকদের নিয়ে গেছে ফিল্ডিংয়ের স্বর্ণযুগ নব্বই দশকে। খেলোয়াড়রা বার বার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন সর্বকালের সেরা ফিল্ডার জন্টি রোডস, গাস লগি, আজহার উদ্দিনদের।
সিরিজের দুর্দান্ত ক্যাচ লুফার প্রদর্শনী শুরু হয় দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা বাংলাদেশি অল-রাউন্ডার ফাহাদ রেজার হাত ধরে। টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচের সপ্তম ওভারে সাকিবের বল লং অফে উড়িয়ে মারেন ব্যাটসম্যান দিনেশ চান্দিমাল। বলটি ছক্কা হবে ভেবে ক্রিজে দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যাটসম্যান কিন্তু অসাধারণ দক্ষতায় বলটি তালুবন্দী করে ছক্কাকে ক্যাচে পরিণত করেন ফাহাদ রেজা। এক ওভার পর সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম সেরা ক্যাচের প্রদর্শনী দেখায় টাইগার নাছির। লঙ্কান সেরা ব্যাটসম্যান সাঙ্গাকারার অসাধারণ এক ড্রাইভিং ক্যাচ ধরে সাঙ্গাকে সাজ ঘরে ফেরাতে বাধ্য করে টাইগাররা। পরের ওভারে আবার নাছিরের দুর্দান্ত ক্যাচ। এবার শিকার হচ্ছেন ব্যাটসম্যান প্রসন্ন। ইনিংসের ১৪তম ওভারে ফের অসাধারণ ক্যাচের প্রদর্শনী। এবার নাছিরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বিজয়। আরাফাত সানিকে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে বিজয়ের দমবন্ধ করা ক্যাচের শিকার হয়েছেন লঙ্কানদের ম্যাচ সর্বোচ্চ সংগ্রাহক কৌশল। বিজয় সীমানা দড়ির দুই ফুট উচ্চতায় লাফ দিয়ে ক্যাচটি লুফে নেন। ক্যাচ নিয়ে এক পায়ে দাঁড়িয়ে বলটিকে বাউন্ডারি হওয়া থেকে বাঁচান তিনি। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এসেও ফিল্ডাররা ধরে রেখেছে অসাধারণ ক্যাচ লুফার প্রদর্শনী। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে লঙ্কান স্পিনার সেনানায়েকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু বলটি টপ এজ হয়ে ওপরে ওঠে গেলে প্রায় ২০ ফুট দৌড়ে বলটি তালু বন্দী করেন নোয়ান কুলাসেকেরা। ষষ্ঠ ওভারে লঙ্কান ফিল্ডার কুশল পেরেরা দেখায় আরেক ক্যাচ লুফার প্রদর্শনী। এবার তিনি বিজয়ের একটি নিশ্চিত বাউন্ডারিকে ক্যাচে পরিণত করেন। বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ উইকেটটিও ছিল অসাধারণ ক্যাচের প্রদর্শনী। ডিপ কাভারে সাবি্বরের ক্যাচটি তালুবন্দী করেন কুলাসেকেরা।