একই সিরিজে দুটি ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড একেবারে কম নয়। এক ব্র্যাডম্যানেরই আছে চারটা! এর মধ্যে ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনটা। কিন্তু ব্রেন্ডন ম্যাককালামের একই সিরিজে দুটি ডাবল সেঞ্চুরির প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে সিরিজের প্রথম টেস্টে ম্যাককালামের ২২৪ রানই নিউজিল্যান্ডকে এনে দিয়েছিল ৪০ রানের চমৎকার এক জয়। ওয়েলিংটনে অধিনায়ক ম্যাককালামই ব্ল্যাক ক্যাপসদের আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে উঠলেন। প্রথম ইনিংসে ১৯২ রানে অলআউট হওয়ার পর অনেকেই নিউজিল্যান্ডের পরাজয় দেখছিলেন দিব্য দৃষ্টিতে। বিশেষ করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ধোনিরা ৪৩৮ রান করলে ব্ল্যাক ক্যাপসদের পরাজয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কালের গতি রুদ্ধ করে দিয়েই ভারতের বিপক্ষে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। গতকাল ম্যাচের চতুর্থ দিনে ২৮১ রান করে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন তিনি। ৬ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫৭১ রান! যারা বিজয়ের প্রহর গুনছিল সেই ভারত এখন চাপা পড়েছে ৩২৫ রানের নিচে!
দিন শেষে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম মাঠ ছাড়ার সময় এগিয়ে এলেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতীয় অধিনায়ক হাতে হাত ধরে পিঠ চাপড়ে দিলেন প্রতিপক্ষের সেনাপতির। অভিনন্দন জানালেন দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরির জন্য। অবশ্য ব্রেন্ডন ম্যাককালাম একাই নন, তাকে নির্ভীক অভিযাত্রী হিসেবে সঙ্গ দিয়েছেন ওয়াটলিং ও জিমি নিশাম। ওয়াটলিং ১২৪ রান করে আউট হলেও ৬৭ রানে অপরাজিত আছেন নিশাম। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন জহির খান। ১২৯ রান দিয়ে তিনি ৩টি উইকেট শিকার করেছেন। এ ছাড়া মোহাম্মদ সামি ২টি ও জাদেজা ১টি উইকেট শিকার করেছেন। ওয়েলিংটন টেস্টের ফলাফল কী হতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তর আন্দাজ করার জন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। পঞ্চম দিনে একটা সেশনও যদি খেলে নিউজিল্যান্ড, তবে টেস্টটা ড্রতেই শেষ হবে। যদি ঝুঁকি নিয়ে আজ দিনের শুরুতেই ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড তবে যে কোনো কিছুই হতে পারে। ৩২৫ রান খুব বেশি কিছু নয়। আবার এক দিনে ১০ উইকেটের পতনও অসম্ভব কিছু নয়। দেখা যাক, ব্ল্যাক ক্যাপসদের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কী সিদ্ধান্ত নেন। ক্যারিয়ারের প্রথম ত্রিপল সেঞ্চুরি থেকে তিনি মাত্র ১৯ রান দূরে দাঁড়িয়ে আছেন।