গত বছর টাইগাররা শেষ করেছিল জয়ে। এবারও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিমরা। কিন্তু ফিনিশিং টাচের অভাবে সেটার দেখা পায়নি টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ছাড়া সবগুলো ম্যাচেই চালকের আসনে বসেছিল টাইগাররা। বিশেষ করে টি-২০ সিরিজ ও প্রথম ওয়ানডেতে। এই তিন ম্যাচই হেরেছে নিজেদের ভুলে। টি-২০ ম্যাচ দুটি হেরেছে শেষ বলে। পরশু প্রথম ওয়ানডে হেরেছে ক্যাচ মিস করে এবং ব্যাটসম্যানদের আত্দাহূতিতে। প্রতিপক্ষের কোচ হিসেবে পল ফারব্রেস খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন মুশফিকদের। কাল সাত ক্রিকেটারকে নিয়ে অনুশীলনে লঙ্কান কোচ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জয়ের কাছাকাছিই রয়েছে। ড্রেসিং রুমের চেহারা পাল্টে যাবে শুধু একটি জয় পেলে। জয় পেলেই ফিরবে টাইগারদের আত্দবিশ্বাস।
প্রথম টেস্ট দ্বীপরাষ্ট্র জিতেছিল ইনিংস ব্যবধানে। তখন মনে হয়েছিল তিক্ত স্বাদ নিয়েই এশিয়া কাপে অংশ নিতে হবে টাইগারদের। কিন্তু চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে ড্র করে। ফিরে পায় হারানো মনোবল। সেই মনোবল নিয়েই লড়াইয়ে নামে টি-২০ সিরিজে। লড়াই করে সমানতালে। কিন্তু হেরে যায় ছোট্ট ছোট্ট ভুলে। সেই ভুলগুলো শুধরে উঠার সুযোগও পেয়েছিলেন মুশফিকরা প্রথম ওয়ানডেতে। ৬৭ রানে ৮ উইকেট তুলে দ্বীপরাষ্ট্রকে ঠেলে দিয়েছিলেন খাঁদের কিনারায়। সেখান থেকে ক্যাচ মিসের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ১৮০ রানে পেঁৗছায় লঙ্কা, অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরার হাফসেঞ্চুরিতে। ১৮১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে এক পর্যায়ে ২ উইকেটে ১১৪ রান তুলে নেয় মুশফিকবাহিনী। তখন দরকার ২৩ ওভারে ৬৭ রান। হাতে ৭ উইকেট। সেখান থেকে পারেনি স্বাগতিকরা ব্যাটসম্যানদের অকাতরে প্রাণ বিলানোয়। আত্দাহূতিতে ২২ বল আগেই টাইগাররা গুটিয়ে যায় ১৬৭ রানে। ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশের প্রশংসা করেন দ্বীপরাষ্ট্রের ৪৬ বর্ষীয় ইংলিশ কোচ ফারব্রেস, 'ম্যাচে আমরা খুব চাপে ছিলাম। কেননা দুর্দান্ত খেলছিল বাংলাদেশ। এছাড়া ঘরের মাঠে তারা ভয়ঙ্কর দল। ইদানীং তারা দারুণ খেলছেন। বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্টের মাঝামাঝি সময়ে তারা অনেক উন্নতি করেছে। তারা হারলেও জয়ের দোরগোড়ায় রয়েছে। একটি জয় পেলেই অনেকদূর যাবে দলটি।'
ফারব্রেস স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন গ্রাহাম ফোর্ডের। তার কোচিংয়ে দ্বীপরাষ্ট্রের পারফরম্যান্সের গ্রাফ এখন উপরেই উঠছে। প্রথম ওয়ানডেতে চার চারটি ক্যাচ মিস। তারপরও সমালোচনা করেনি স্বাগতিকদের ফিল্ডিংয়ের, 'বাংলাদেশের ফিল্ডিং ভালো। যদিও তারা ক্যাচ মিস করেছে। আমি মনে করি দলটিতে সাকিব, মুশফিকের মতো বেশ কিছূ স্কিল্ড ক্রিকেটার রয়েছেন।'