মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মহাখালী ফ্লাইওভারে নজরকাড়া গ্রাফিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহাখালী ফ্লাইওভারে নজরকাড়া গ্রাফিতি

রাজধানীর মৌচাক-মগবাজারের পর মহাখালী ফ্লাইওভারে শুরু হলো সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। মূলত পোস্টার লাগানো ঠেকাতেই ঢাকার ফ্লাইওভারের পিলারে গ্রাফিতি আঁকার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মগবাজার ফ্লাইওভারের মতো মহাখালী ফ্লাইওভারেও বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতির মাধ্যমে সাজানো হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি পিলারের অংশের কাজ শেষ হয়েছে। শহরকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পিলারে আঁকা এসব চিত্রকর্মের মাধ্যমে কিছু ‘শিক্ষণীয়’ বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে আছে ‘হর্ন বাজানো নিষেধ’, ‘শহরটাকে ভালোবাসি’, ‘গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই’সহ নানা স্লোগান। যাতে মানুষ পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতন হয়। পাশাপাশি ফ্লাইওভারের বিভিন্ন পিলারে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। যাতে কেউ এসব চিত্রকর্ম নষ্ট করতে না পারে। গতকাল সোমবার মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে পিলারে করা গ্রাফিতির উদ্বোধন শেষে এসব কথা জানান উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসি এলাকার প্রত্যেকটি ফ্লাইওভারেই এই দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট করা হবে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমে মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়েছে। এরপর মহাখালী ফ্লাইওভারের পিলারেও বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতির মাধ্যমে সাজানো হচ্ছে।

এই গ্রাফিতি আর্ট যেখানে সেখানে পোস্টারিং বন্ধে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শহরের নামি রিকশা পেইন্টাররা গ্রাফিতির কাজ করছেন। এসব গ্রাফিতির রঙ করার কাজে সাহায্য করছে বার্জার পেইন্টস।

মহাখালী ফ্লাইওভারে গ্রাফিতি প্রসঙ্গে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, আমরা একটি সুস্থ, সুন্দর, আধুনিক ঢাকা চাই। তাই পরিবেশ সুন্দর রাখতে, যত্রতত্র পোস্টার লাগানো বন্ধ করতে শুধু মগবাজার বা মহাখালী ফ্লাইওভার নয়, শহরের অন্যান্য ফ্লাইওভারেও সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতির কাজ করা হবে। সব ফ্লাইওভারে পর্যায়ক্রমে নানা রঙে রঙিন করে সাজানো হবে। এসব কাজ করতে আমাদের পাশে থাকার জন্য বার্জারের রূপালী চৌধুরীকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান মেয়র আতিক।

উল্লেখ্য, মহাখালীতে রাওয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে থেকে আমতলী সিগন্যাল পর্যন্ত ফ্লাইওভারে মোট ১৪টি খুঁটি রয়েছে। এর মধ্যে রাওয়া কনভেনশনের সামনে মহাখালী ফ্লাইওভার অংশে এই গ্রাফিতির কাজ চলছে। বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতির মাধ্যমে তা সাজানো হচ্ছে। এরই মধ্যে একটি পিলারের অংশের কাজ শেষ হয়েছে।

এরআগে মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভারের মগবাজার অংশে কয়েকটি পিলারে গ্রাফিতি আর আলপনা আঁকা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শহরের নামি রিকশা পেইন্টাররা গ্রাফিতি এঁকেছেন বলে জানিয়েছেন উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন, মানুষ নিজেরাই এই শহরে পোস্টার লাগিয়ে ‘দৃষ্টি দূষণ’ করছে। আমরা শব্দ দূষণ করছি, বায়ু দূষণ করছি। আমাদের নিজেদের ঠিক হতে হবে। আমরা সচেতন হলেই শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে পারব। ফ্লাইওভারের পিলারের পোস্টার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র বলেন, আমরা সবাই অমানুষ হয়ে গেছি, নিজেদের খেয়াল করি না। এই শহরে বাচ্চারা থাকে, নতুন প্রজন্ম থাকে, তাদের কী মেসেজ দিই আমরা? যত ধরনের তেল মারা, পামপট্টি মারা, ফোলানো সব এই পোস্টারের মধ্যে। যারা এই ধরনের পোস্টার লাগান, তাদের প্রতি একটাই মেসেজ, জরিমানা হবে, জেল হবে। উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পিলারে আঁকা এসব চিত্রকর্মের মাধ্যমে ডিএনসিসি কিছু ‘শিক্ষণীয়’ বার্তা দিতে চায়।

সর্বশেষ খবর