১৪ জুলাই, ২০১৯ ১৭:৩৮

চবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি: ভারপ্রাপ্ত দিয়েই ২৭ বছর পার

বাইজিদ ইমন, চবি থেকে:

চবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি: ভারপ্রাপ্ত দিয়েই ২৭ বছর পার

ভারপ্রাপ্ত দিয়েছে চলছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)’র কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির কার্যক্রম। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এ লাইব্রেরি গত ২৭ বছর ধরেই চলছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে লাইব্রেরির সামগ্রিক কার্যক্রম।

২৭ বছরেও স্থায়ী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে চবি উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত)  প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘আমি সবেমাত্র দায়িত্ব নিয়েছি। আশা যোগ্য লোকবল দিয়েই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চবি’র এক অধ্যাপক বলেন, ‘লাইব্রেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গুরুত্বপূণ জায়গা। অথচ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে লাইব্রেরিতে স্থায়ী কোন কর্মকর্তা নেই। এ চিন্তা করলেই বুঝা যায় চবি’র লাইব্রেরির মান কোন পর্যায়ে গেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরীয়ান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় গ্রন্থাগারিক আতাউর রহমানকে। এরপর ১৯৬৮ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত ২৩ বছর স্থায়ী লাইব্রেরিয়ানের দায়িত্ব পালন করেন শামসুল ইসলাম। এরপর থেকে স্থায়ী হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। ১৯৯১ সালে লাইব্রেরীয়ান হিসেবে দায়িত্ব পান মোঃ আনিসুর রহমান। দক্ষ লাইব্রেরীয়ান হওয়ার কারণে ময়মনসিংহের একটি লাইব্র্ররী থেকে তাকে আনা হয় । ১৯৯৬ সাল থেকে  দায়িত্ব পালন করেন এস এম আবু তাহের। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের দিয়ে চালানো হয়েছে চট্টগ্রামের সবচাইতে বৃহৎ এ লাইব্রেরি। এর মধ্যে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ (১৯১৯৯৭-১৯৯৭), রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. জহুরুল আলম চৌধুরী (২০০০-২০০১), বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: শামসুল আলম,(১৯৯৭-২০০০), প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ড. মোহাম্মাদ আনিসুল ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষকগণ  লাইব্রেরীর দায়িত্বে ছিলেন। তবে এখন এই লাইব্রেরীতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এ কে এম মাহফুজুল হক । চিকিৎসা অনুষদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত। একই সাথে তিনি আবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতিরও সভাপতি।

সরেজমিনে পরিদর্শন করে এবং লাইব্রেরীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দিনের একটি সামান্য সময় তিনি লাইব্রেরী অফিসে থাকেন। অন্যান্য ব্যাস্ততার কারণে তিনি পুরোটা সময় লাইব্রেরীতে দিতে পারেন না। 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লাইব্রেরী আমার মূল কর্মস্থল নয়। আমি চিকিৎসা অনুষদের ডেপুটি রেজিস্ট্রার। লাইব্রেরী পরিচালনার যোগ্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে লাইব্রেরী সায়েন্সে ডিপ্লোমা করেছিলাম।’

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর