১৫ জুলাই, ২০১৯ ০৮:১১

গৌরব ও ঐতিহ্যের ১৯ বছরে শেকৃবি

ওলী আহম্মেদ, শেকৃবি

গৌরব ও ঐতিহ্যের ১৯ বছরে শেকৃবি

সবুজের সমারোহ, নির্মল বাতাস আর বিচিত্র পাখ-পাখালির কলরবে মুখরিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র শেরেবাংলানগরে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘শিক্ষা-গবেষণা-সম্প্রসারণ’ এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে দেশে কৃষি উন্নয়নে যথোপযোগী দক্ষ কৃষিবিদ ও কৃষিবিজ্ঞানী তৈরীতে ২০০১ সাল থেকে যাত্রা শুরু করলেও উপমহাদেশের কৃষি উন্নয়নে এর রয়েছে দীর্ঘ ৮১ বছরের সমুজ্জ্বল গৌরবগাঁথা। আজ ১৫ জুলাই শেকৃবি’র প্রতিষ্ঠা দিবস। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি পদার্পণ করলো ১৯ বছরে।

তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯৩৮ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটিকে ‘দি বেঙ্গল কৃষি ইন্সটিটিউট’ নামে প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৯৪৭ সালে এটি ‘পূর্ব পাকিস্তান কৃষি ইনস্টিটিউট ও স্বাধীনতা পরবর্তী এর নাম হয় ‘বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউট’। ২০০১ সালের এই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কৃষি অনুষদ, কৃষিব্যবসা ব্যবস্থাপনা অনুষদ, পশুপালন ও চিকিৎসা অনুষদ, ফিশারিজ ও অ্যাকোয়াকালচার অনুষদ ও সিড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট’র অধীনে স্লাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি কোর্সে ৩ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। অনুষদসমূহের অধীনে ৩৫ টি বিভাগে মোট ৩০৩ জন শিক্ষক পাঠদান ও সংশ্লিষ্ট গবেষণায় নিয়োজিত আছেন।

কাজী পেয়ারা’র জনক বাংলাদেশ সরকারের ‘সায়েন্টিস্ট এ্যামিরিটস’ পদে ভূষিত ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা এখানকারই ছাত্র। এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র এ এস এম কামাল উদ্দিন দেশের সর্বত্র পৌঁছে দিয়েছেন অমৃত কলার চাষ। ড. নূর মোহাম্মদ মিয়া ও ড. ছিদ্দিক আলীসহ অনেক কৃষিবিদ উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত আবিষ্কার করে শুধু দেশেই নয় প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও পশ্চিম আফ্রিকায় পেয়েছেন নানা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

তাছাড়া ক্যান্সার প্রতিরোধী সবজি সাউ টমাটিলো-১ ও সাউ টমাটিলো-২; সরিষার উন্নতজাত সাউ সরিষা-১, সাউ সরিষা-২ ও সাউ সরিষা-৩; ভুট্টার উচ্চফলনশীল জাত সাউ হাইব্রিড ভুট্টা-১ ও সাউ হাইব্রিড ভুট্টা-২; ভিনদেশি ফুলের পরিবেশ সহিষ্ণু নতুন জাত বঙ্গবন্ধু-১ ও বঙ্গবন্ধু-২; একই গাছে আলু ও টমেটোর জাত পমেটো; ভিনদেশি সবজি ব্রাসেলস স্প্রাউট, সলুক, উন্নত পানের জাত নির্বাচন এবং প্রাণিদেহে অনুজীবঘটিত রোগবিষয়ক সফল গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির সব গবেষণাকর্মের মধ্যে অন্যতম।

শুধু কৃষি উন্নয়নেই নয়, বাহান্ন’র ভাষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর